NewsOpinionPolitics

ইউনুস আজারবাইজানে টাকা পাচার করছে

আফরোজা আলীম আশা, যুক্তরাজ্য

গতকাল ৭ ডিসেম্বর অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের কন্যাদ্বয় লেয়লা আলিয়েভা এবং আরজু আলিয়েভা।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের দুই কন্যাই মাশাল্লাহ দুর্নীতি, অফশোর কোম্পানি তৈরির মাধ্যমে মানি লন্ডারিং, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কর্মকান্ডের মাধ্যমে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছে। তাদের নাম এসেছে পানামা পেপার্স কেলেংকারিতেও।

এ সময়ে এই দুইজনের বাংলাদেশে এসে ইউনুসের সাথে সাক্ষাৎ মোটেও কাকতালীয় কোন ঘটনা না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এমনকি আজারবাইজানের দূতাবাসও নেই, নেই বড় পরিসরের অর্থনৈতিক সম্পর্কও। তাহলে কেন এসেছে তারা?

লেয়লা এবং আরজু আলিয়েভা যৌথভাবে আজারবাইজানের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর আজারসেল নিয়ন্ত্রণ করে। মোদ্দাকথা হলো তারাই পর্দার আড়ালের মালিক। নিয়মিত প্রতিষ্ঠানটির লভ্যাংশ অফশোর একাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে সরিয়ে নেয়, এবং এর মাধ্যমেই যুক্ত্ররাজ্য সহ অন্যান্য দেশে গড়ে তুলেছে বিশাল সাম্রাজ্য।

এ দিকে গ্রামীন ব্যাংকের টাকায় গড়ে তোলা এবং বর্তমানে ডঃ ইউনুসের একক নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামীন টেলিকমও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল কোম্পানী গ্রামীনফোনের ৩৪.২% শেয়ারের মালিক। ২০২৫ সাল নাগাদ গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীন ফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

গ্রামীন ফোনের বর্তমান মার্কেট ভ্যালু ৩.২৭ বিলিয়ন ডলার। এ হিসেবে গ্রামীন টেলিকমের অংশের ভ্যালু হলো ১.১২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৩ হাজার ৭০০ কোটি। গ্রামীন ফোন থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, সেটার বিনিয়োগ এবং গ্রামীন ফোনের শেয়ার ভ্যালু মিলিয়ে গ্রামীণ টেলিকমের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটার একক নিয়ন্ত্রণ ডঃ ইউনুসের হাতে।

মূলত এই টাকাটা কিভাবে বাইরে নেয়া যায় সেটার শলা পরামর্শ করতেই ইউনুস ডেকে এনেছে এই লাইনের অভিজ্ঞ দুইজনকে। গ্রামীন টেলিকমকে বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে। এই ডিলটাই করে দিবে আরজু এবং লেয়লা। ক্ষমতা ছাড়ার আগেই ইউনুস এই সম্পদ বিদেশে নিয়ে যাবার বন্দোবস্ত করে ফেলবে।

একটা কথা পরিষ্কার ভাবে বলে রাখি, গ্রামীন টেলিকম গঠিত হয়েছিলো গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে, গ্রামীন ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে। গ্রামীন ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর ঋণগহীতাদের কল্যাণের জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্স প্রদান করেছিলেন যেন এ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে গ্রামীন টেলিকম তথা গ্রামীণ ব্যাংক লাভবান হতে পারে।

আর বাটপার ইউনুস এই গ্রামীণ টেলিকমের উপর একক কর্তৃত্ব স্থাপন করে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গিয়েছে। আর এখন সেই টাকা বিদেশে পাচারের ফন্দী ফিকির করছে।