লস অ্যাঞ্জেলেসে করোনায় প্রতি ১০ মিনিটে একজনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে করোনাভাইরাসে প্রতি ১০ মিনিটে মারা যাচ্ছেন একজন। শহরটিতে গত সাতদিনে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি। করোনার নতুন ধরন কিনা তা শনাক্তে তথ্য বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় সময় শনিবার শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসে করোনায় মারা গেছেন প্রায় দেড় শতাধিক, আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার। আগের দিন শুক্রবার বড়দিনে করোনায় মারা গেছেন ১৪৮ জন। লস অ্যাঞ্জেলেসে এখন পর্যন্ত এটিই একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। বৃহ্স্পতিবার সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিলো ১৪৬ জন।
এক বিবৃতিতে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হেলথ ডিরেক্টর বারবারা ফেরেরা বলেন, একদিনে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক।
সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের মিউটেশনের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, মূলত যে অঞ্চলে সংক্রমণ অনেক বেড়ে গেছে, সেখানেই নতুন ধরনের করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসে সংক্রমণের হার অনেক বেশি, তাই বিজ্ঞানীরা করোনার নতুন ধরন এই অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে কি না, তা শনাক্তে জোর নিরীক্ষা চালাচ্ছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি হেলথ ডিরেক্টর বারবারা ফেরেরা বলেন, ইতোমধ্যে ল্যাবে স্থানীয় আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাসের জীন সিকুয়েন্স গবেষণা করে দেখা হচ্ছে। সাতদিন পর এই গবেষণার ফল জানা যাবে।
করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিউইয়র্ককে ছাড়িয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যস্ত এখন ক্যালিফোর্নিয়া। এ পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেসে করোনায় মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার, আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ লাখ। আর পুরো ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার। আক্রান্তের দিক দিয়ে প্রথম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া ২০ লাখ অতিক্রম করেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ইতোমধ্যেই হাসপাতাল হয়ে পড়েছে বেডশূন্য। সদ্য সমাপ্ত বড়দিন ও আসন্ন ইংরেজি নতুন বছর উৎসব শেষে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।