বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা : ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন চালকের সহকারী
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার চালকের সহকারী রশিদ আহমদ (২২) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, রশিদ আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রশিদ আহমদ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের কামরাঙ্গিরচর গ্রামের হাবিব আহমদের ছেলে।
রোববার গভীর রাতে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাস মালিকের সহায়তায় জেলার ছাতক উপজেলার বুরাইরগাঁও গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে রশিদ আহমদকে আটক করে। তবে বাসের চালক শহীদ মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন। শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে আসার সময় দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে বাসে একা পেয়ে চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই সময় মেয়েটি চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। পরে আহত অবস্থায় মেয়েটিকে দিরাই হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। নির্যাতিত মেয়েটির বাড়ি দিরাই পৌর শহরে। তিনি দিরাই ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
এরপর ওই বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। শনিবার রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রীর বাবা দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন। ওই ছাত্রী বর্তমানে সিলেটের এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।