ঋণখেলাপিদের জন্য ফের সময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে ফের সময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। যারা খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য এরই মধ্যে আবেদন করেছেন, তাদের সুবিধা দিতে এ বাড়তি সময় পাবে ব্যাংকগুলো।
বুধবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে এ নিয়ে পাঁচ দফায় সময় বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপনে বলেছে, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম চালানো যাবে। তবে নতুন করে কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। প্রজ্ঞাপনটি দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ১৬ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, পুনঃতফসিলের সুবিধা নিতে ঋণখেলাপিদের আবেদনের সময় দেওয়া হয় ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর পর নতুন করে আর কোনো আবেদনপত্র নেওয়া যাবে না।
এর আগে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চার দফায় সময় বাড়ায়। গত ১৬ মে জারি করা নির্দেশনায় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করতে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু খেলাপিদের দাবির মুখে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। পরে আবার সময় বাড়িয়ে করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর। সর্বশেষ এক মাস সময় বাড়িয়ে নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণখেলাপিরা ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবেন। তারা পুনঃতফসিল হওয়া ঋণ পরিশোধে সময় পাবেন টানা ১০ বছর। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরাও এ সুযোগ পাচ্ছেন। এমনকি এ ধরনের ঋণখেলাপিদের প্রথম এক বছর কোনো কিস্তিও দিতে হবে না। আর চিহ্নিত এই ঋণখেলাপিদের গুনতে হবে ৯ শতাংশেরও কম সুদ।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট ও ৯ শতাংশ সরল সুদে ১০ বছরের জন্য ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে জারি করা হয় খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ নীতিমালা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকগুলো পাঁচ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ১৫ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে।