সীমান্তে রোগ প্রতিরোধে প্রকল্প আছে, কাজ হয়নি

ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং সুবিধাসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এক বছরেও কাজটি এখনো শুরু করতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে আটটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র করার জন্য অর্থ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একটি কেন্দ্রও হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রকল্প ছাড়াও আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০১৭ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি কর্মসূচি চালু আছে।তাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে প্রশিক্ষণে। সীমান্তের বন্দরগুলোতে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে দেশটির সঙ্গে সীমান্তের মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। যেসব নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, শুধু তাঁরাই ভারতে বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তি নিয়ে বেনাপোলসহ একাধিক স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন। শুরুতে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হলেও কয়েক দফায় তা বেড়েছে। এর আগে আকাশপথে ভারতের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ করে সরকার।

অবশ্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিকহেলথ রেগুলেশন (২০০৫) অনুযায়ী সীমান্তে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, তা নেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। ধারণা করা হয়, প্রতিবেশী দেশের সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *