বাংলাদেশ ভালো নেই
এম ডি কামরুল হাসান, যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশ ভালো নেই … অবোধ শিশু আছিয়ার মৃত্যু আজ সারা বাংলায় নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদে পরিণত হয়েছে। আছিয়া শব্দের অর্থ হলো ‘পাপীকে পথ দেখানো’ … কিন্তু এই পাপীদের কি কোনও বিচার হবে? আরও কয়জন পাপী হলে তাদের আইন বিভাগ সঠিক পথ দেখাবে? দেশে আরও কতজন পাপীর সংখ্যা বাড়লে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের টনক নড়বে?
মাত্র সপ্তাহখানেক আগে বরগুনা পৌরসভার কালিবাড়ি এলাকার মন্টু চন্দ্র দাসের ৭ম শ্রেনীর কিশোরী কন্যা ধর্ষিত হয়। শোকাহত বাবা, প্রতিবাদী বাবা দোকান কর্মচারী মন্টু চন্দ্র দাস বিচারের আশায় মামলা করেছিলেন। তাই ধারনা করা হচ্ছে বিচার চেয়েছিলেন বলেই হয়তো খুন হতে হলো তাঁকে। কেউ কি বলতে পারেন কেন এই কিশোরী ও তার পরিবারের কথা প্রকাশ্যে বা খবরে আসে না বেশি? কেউ বলতে পারেন এই সংসারটি এখন চলছে কী করে? কেউ বলতে পারেন এই বাবার হত্যাকারী বা হত্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কখনো পদক্ষেপ নিবে?
এছাড়াও এরই মধ্যে সারা দেশে আরও অনেক নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ঘরে, বাইরে, চলন্ত বাসে, পার্কে যেগুলি আমরা পত্রপত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জেনেছি। যেখানে এই ধর্ষকদেরকে হয়তো আইনের আওতায় আনা হবে না বা লোক দেখানোর মতো কারাগারে রাখা হবে কয়দিন কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক কোনও শাস্তি হবে না। যেটা আমরা বহন করছি বিচারহীনতার সংস্কৃতি নিয়ে।
এরপরও যারা বলেন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় আছে, যারা বলেন দেশে আরও সংস্কার করে তারপর নির্বাচন দেয়া হবে, অথবা ঘটনাগুলিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে আমি বদ্ধ উন্মাদ, অথবা সুবিধাবাদী অথবা ডিপ স্টেটের অর্থের খনির স্বাদ পেয়েছে বলবো… এ ছাড়া আর কী বলা যায়, বলুন।
সরকার আসে সরকার যায় এবং এরই মধ্যে এই চাটুকারদের দলবদলের রাজনীতিও বদলে যায়। এমন কী পরিচিত মুখগুলিও বদলে গেছে নাটকীয়ভাবে। মুল্যবোধ, বিবেক, মানবিকতা, আত্মসম্মান আজ শুধু হয়তো কিছু শব্দ ছাড়া আর কিছুই নয় এবং একদিন সহসা এই শব্দগুলিও অপ্রত্যাশিতভাবে হারিয়ে যাবে অভিধানের পাতা থেকে।
