চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হচ্ছে ৪ কোটি ৭০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল

দামের অস্থিরতার মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে চার জাহাজ থেকে খালাস হচ্ছে ৪৭ হাজার টন বা ৪ কোটি ৭০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল। একাধিক আমদানিকারক এসব তেল আমদানি করেছেন। এর মধ্যে দুটি জাহাজে রয়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। অপর দুটিতে পাম অয়েল। 

দেশে দফায় দফায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই গত মাসে বিশ্ববাজারে পাম অয়েল বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেয় ইন্দোনেশিয়া। দেশটি বিশ্বের সর্বাধিক পাম অয়েল রপ্তানিকারক। ঘোষণা অনুযায়ী তারা ২৮ এপ্রিল থেকে পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েন দেশের আমদানিকারকরা। তারা নতুন এলসি খুলতে পারছেন না। বন্ধ ঘোষণার আগে যেসব এলসি খোলা হয়েছিল তার বিপরীতে তেল আমদানি নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে কিছু পাম অয়েল জাহাজে বোঝাই করতে পেরেছেন তারা। মূলত সেসব পাম অয়েলই এখন চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, এ বন্দরের বহির্নোঙরে ওই চারটি জাহাজ থেকে ভোজ্যতেল খালাসের কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শেষ হবে। এগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জো বন্দর থেকে ৭ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ২৯ এপ্রিল এ বন্দরে আসে এনএস স্টেলা নামের জাহাজ। একই বন্দর থেকে ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ নামের অপর একটি জাহাজ ২১ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে ২ মে। ইন্দোনেশিয়ার দুমাই বন্দর থেকে মেঘনা প্রাইড ৪ মে এ বন্দরে এসেছে ৭ হাজার ৭৯৯ টন পাম অয়েল নিয়ে। একই দিন একই বন্দর থেকে সানঝিন ৩০২৫ নামের জাহাজটি নিয়ে এসেছে ১১ হাজার ২৪৫ টন পাম অয়েল। 

বন্দর সূত্রে আরও জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে ১ হাজার ২০০ টন পাম অয়েল নিয়ে সুমাত্রা পাম নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসেছে বৃহস্পতিবার। তবে এ জাহাজের তেল খালাস এখনো শুরু হয়নি।