১৯ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার কোর্টে ধর্ম অবমাননার মামলা

গত ৩ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী আদালত সাভার) কোর্টে এথিস্ট এরা ম্যাগাজিনের সম্পাদক আনিকা হক মল্লিক সহ মোট ১৯ জন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে একটি ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হৃদয় কাজী হেফাজত ইসলামের একজন কর্মী বলে জানা যায়। এইদিন সোমবার এই মামলাকে ঘিরে আদালতে তীব্র উত্তেজনা দেখা যায় এবং হেফাজতের শত শত কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গন ঘিরে রাখে। মামলা দায়েরের পর তারা নারায়ে তাকবীর আল্লহ হু আকবর বলে স্লগান দিতে দিতে দিতে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে অগ্রসর হয়। এই সময় এই  মিছিল থেকে কিছু রিকশা ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায় মামলার বাদী হৃদয় কাজী “এথিস্ট এরা” নামক একটি ইসলাম বিদ্বেষী ম্যগাজিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ২৯৫ ধারাতে ধর্ম অবমাননার মামলা দাখিল করেন। এই মামলায় ১৯ জনকে আসামী দেখানো হয়। উল্লেখ্য এই ঘাতক নাম্নী ব্লগারের বিরুদ্ধে অনেক আগের থেকেই ধর্ম অবমাননার অভিযোগ রয়েছে।

আরো জানা যায় যে এই উক্ত ম্যাগাজিনটি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় ইসলামী জনতার আবেগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কদর্য ভাষায় ইসলামকে আক্রমণ করে লেখালেখি চালিয়ে আসছে। আনিকা হক মল্লিক সম্পাদিত এই ম্যাগাজিনটির বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষের অভিযোগ বেশ পুরোনো। এই মামলাতে সর্বমোট ১৯ জন ব্যাক্তিকে আসামী করা হয় যারা হচ্ছেন মূল আসামী আনিকা হক মলিইক, এম ডি রাসেল মিয়া, জনি চন্দ্র সাহা,এম ডি মারাজ মিয়া, পুজা সাহা,এম ডি শাইম, এম ডি আসিফ ইসলাম, আরিফুল হক , আল মাহফুজ, আবু সাঈয়ীদ, উম্মা কুলসুম নারগিস বানু, ফারজানা ইসলাম, এম ডি জহিরুল ইসলাম, তানভীর আহমেদ প্রমুখ।

এই ব্যাপারে বাদী হৃদয় কাজীর সাথে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই এথিস্ট এরা’ ম্যাগাজিনটি ইসলামের শত্রু। এইখানকার লেখকেরা ক্রমাগতভাবে প্রতিদিন ইসলামকে নানাভাবে অপমান ও অপদস্ত করে যায় কিন্তু সরকার কিংবা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় একটি কথাও বলে না”

তিনি আরো বলেন, “আল্লাহর জমিনে কোনো নাস্তিকের বাচ্চার ঠাঁই হবে না। আর অভিযুক্তদের সবাইকে দেশে নিয়ে এসে প্রকাশ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে শিরচ্ছেদ করতে হবে”

বাংলাদেশে তো প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদের আইন নেই বা পদ্ধতি নেই তাহলে তিনি কেন এমন দাবী করছেন, এই প্রশ্নের জবাবে জনাব হৃদয় কাজী বলেন, ৯৮% মুসলমানের দেশে শরীয়া আইন করতে হবে, তা না হলে এই দেশে কোন সরকার টিকে থাকবে না।

এই ব্যাপারে মূল আসামীদের কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এদিকে এই ঘটনার রেশ ধরে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ছিলো অত্যন্ত সরব। সেখানে নানাবিধ মিসগ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই ব্যাপারে কোনো রকমের মন্তব্য করা হবে না বলে আমাদের প্রতিবেদককে জানান।