লকডাউন শিথিল করা ভুল সিদ্ধান্ত: বিএনপি

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। 

ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ঈদের আগে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এসব কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এমরান সালেহ বলেন, ‘সরকার করোনা মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, দিন আয় দিন খায়, তাদের অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া ছাড়া লকডাউন, কঠোর লকডাউন, কারফিউ—কোনোটাই কার্যকর হবে না। সেটাই আজ প্রমাণিত হয়েছে।’ জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজ এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। নয়াপল্টনে ফকিরাপুল এলাকায় দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বিএনপি নেতা এমরান সালেহ দাবি করেন, লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। রোজার ঈদের পরপরই যদি সরকার নিম্ন আয়ের পরিবারকে খাদ্য ও অর্থ দিয়ে কঠিন ও কঠোর লকডাউন দিত এবং সবার জন্য টিকা আনতে সমর্থ হতো, তাহলে এখন লকডাউনের প্রয়োজন হতো না। সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই জনগণ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়েছে। এ সময় তিনি দ্রুত দিন আনে দিন খায় প্রান্তিক মানুষের এককালীন ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানান।

শাহ আবদুল আল বাকীর সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *