চ্যাম্পিয়নরা জিতল চ্যাম্পিয়নের মতই
শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আগের ম্যাচেই। ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় তাই আবাহনীর বিপক্ষে আজকের (২৫ জুলাই) ম্যাচটা ছিল নিয়মরক্ষার। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ দলের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ম্যাচের পরতে পরতে। আবাহনীর বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। কিংসের হয়ে জোড়া গোল করেছেন রবসন রবিনিয়ো, অন্য গোলটি এসেছে নুহা মারংয়ের কাছ থেকে। আবাহানীর হয়ে গোল করেছেন রাকিব হোসেন এবং ড্যানিয়েল আগুস্তো।
ম্যাচে স্কোর লাইন দেখে উত্তাপ টের পাওয়া না গেলেও আক্রমন-প্রতিআক্রমনের ম্যাচে দুই দলই ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষনে। ম্যাচের উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে দুই দলের ফুটবলারদের বাক-বিতন্ডায়। ম্যাচে বেশ কয়েকবারই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পরেন দুই দলের ফুটবলাররা।
উদযাপনের মঞ্চ তৈরি ছিল আগে থেকেই। শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দলকে সমর্থন দিতে সমর্থকদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল লাল জার্সিধারিদের উৎসব। পুরো বসুন্ধরা কিংসে ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। বাদ্য-বাজনায় চলছিল শিরোপা জয়ের আনন্দ। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষনে ভীতি ছড়াতে থাকে বসুন্ধরার আক্রমন ভাগ।
১৭ মিনিটে দুই দলের মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। আবাহনীর মিলাদ শেখের ট্যাকলে মাটিতে পড়ে যান মিগেল ফিগেইরা। এ নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মারিও লেমসসহ অন্যরা চেষ্টা করতে থাকেন। দুই দলের দুজনকে হলুদ কার্ড দেখানোর পর খেলা ফের শুরু হয়।
এরপর ম্যাচের ২০ মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মিগেল দামাসেনার ফ্রি-কিক। হেড থেকে গোল করেন নুহা মারং। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে আবাহনী।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে আবাহনী। রাকিব হোসেনের গোলে স্বস্তি ফেরে মারিও লেমোসের দলে। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে নিঁখুত পাস দেন দোরিয়েল্তন, রাকিব ডান প্রান্ত দিয়ে বল পেয়ে কোনাকুনি জোরালো শটে আনিসুর রহমান জিকোকে পরাস্ত করেন।
৭০তম মিনিটে রবিনিয়োর কোনাকুনি শটে কিংস এগিয়ে যায় আবারও। ৮২তম মিনিটে দোরিয়েলতের হেড পোস্টে লেগে ফেরে। যোগ করা সময়ে রবিনিয়োর গোলে চলতি লিগে নিজেদের মাঠে কিংসের অপরাজিত থাকা নিশ্চিত হয়ে যায় অনেকটাই। শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান দোরিয়েলতন। এই ব্রাজিলের শট প্রথম দফায় আনিসুর রহমান জিকো ফেরালেও ফিরটি শট আটকাতে পারেননি। তাতে অবশ্য কিংসের জয়ের উৎসবে ভাটা পড়েনি একটুও।