পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বৃষ্টি-বন্যায় মৃত বেড়ে ১৩৬
রবল বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেলুচিস্তান। প্রদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী সোমবার পর্যন্ত ৪৭ শিশুসহ ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হয়েছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।
সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন বলছে, প্রবল বৃষ্টিতে ১৩ হাজার ৫৩৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে তিন হাজার ৪০৬টি বাড়ি। এ ছাড়া ১৬টি সেতু এবং ৬৪০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় ২০ হাজারের বেশি গবাদি পশুর মৃত্যু, আটটি বাঁধ এবং প্রায় দুই লাখ একর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বেলুচিস্তানের লাসবেলা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক সপ্তাহ পর কোয়েটা-করাচি মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে তিনটি সেতু ধসে পড়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মহাসড়কটি।
কিল্লা সাইফুল্লাহ জেলার খুশনব এলাকা পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের পুনর্বাসন ও ত্রাণ বিতরণে যৌথভাবে কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকার। বন্যায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতি পূরণের ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বেলুচিস্তান সরকারও মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, যারা আহত হয়েছে তাদেরও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য পাঁচ লাখ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বন্যায় কী পরিমাণ ফসল, গবাদি পশু ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা একটি যৌথ জরিপের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। ফসল ও গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
এদিকে সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর ব্যারেজের গেটে আটকে থাকা চারটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে পাঞ্জাব প্রদেশে প্রবল বর্ষণে বাড়ির ছাদ ভেঙে দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সূত্র : জিও নিউজ, ডন