Uncategorized

বাংলাদেশের সর্প ও ওঝা একজনই- তিনি শেখ হাসিনা

একটা কথা বলি, লিখে রাখেন। বাংলাদেশে যে দল মূর্তি ভেঙে দেয় এবং যে দল কাওয়ালী আসরে হামলা করে আমার মতে- তারা এক ও অভিন্ন। অর্থনীতিতে একটা সূত্র আছে- ফলো দ্যা মানি, মানে টাকাকে অনুসরণ করেন।

আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করেন যারা প্রতিমা ভেঙে দেয় ও যারা কাওয়ালী আসরে হামলা করে এই দুইদলেরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি?

এবং এই দুই গ্রুপই হামলা টামলা করার পরে কার ভাষণ দেয়ার সুযোগ আসে?

প্রতিবারই বিপদে পড়ে কারে সবসময় গিয়া আপনার বলতে হয়- ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?

এই ব্যক্তি আর কেউ না। স্বয়ং শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদ তিনিই, যিনি নানান কায়দায় বারবার উল্টে গেছেন।

একবার শফি হুজুরের সমালোচনা করে তিরস্কার করেছেন, আরেকবার শফি হুজুরের পাশে বসে ‘কাওমি জননী’ হয়েছেন।

একবার ব্লগার হত্যার বিচার করা হবে আশ্বাস দিয়েছেন, আরেকবার ব্লগারদের ধর্মের ব্যাপারে লিখতে কেন হবে সেই প্রশ্ন করেছেন।

মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে ইয়াবা বদিকে নিয়ে সমুদ্রে পা ভিজিয়েছেন।

বিশ্বাস না হলে রামু, নাসিরনগর, শাল্লাসহ এই পর্যন্ত যতগুলো জায়গায় অন্য ধর্মের মানুষের ওপর হামলা হয়েছে সবখানে যাদের নাম উঠে এসেছে প্রধান আসামী হিসেবে, তাদের প্রত্যেকের পলিটিক্যাল আইডেন্টিটি হলো আওয়ামিলীগ ও ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগ।

আপনি কোথায় কোন হামলায় কয়টা বিচার হতে দেখেছেন?

একটা একদলীয় শাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি একটা পোষা আনস্মার্ট অথর্ব বিরোধীদল থাকা, বিভ্রান্ত জনগণ থাকা, দেশ থেকে প্রতিবাদী সব মানুষকে চলে যেতে বাধ্য করা(যেমন আমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিলো) কিংবা মত প্রকাশের জন্য মিথ্যা মামলা করা, প্রতিবাদী সব মানুষকে একঘরে করা, বুদ্ধিজীবীদের দাসত্ব, জাতীয়তাবাদ বেচা এবং চেতনার সাইনবোর্ড টানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা, টিভি চ্যানেল থেকে প্রিন্ট মিডিয়ার অধিকাংশই কিনে ফেলা, পাঠ্যপুস্তক থেকে ভিন্ন ধর্মের লেখকদের লেখা সরানো।

প্রতিটা কাজ তিনি ও তার দলের লোকরা সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছে। একদিন তার পতন হলে তিনি নিজে কি করেছেন তাও আমাদের সামনে আসবে।

কিন্তু তদ্দিনে বাংলাদেশের কপালে আছে সীমাহীন দুঃখ। কারণ এইদেশ যাদের টাকায় চলে তাদের কথা কেউই শোনে না, প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স দিয়ে শেখ হাসিনার চেলারা বিদেশে অট্টালিকা বানায় কিন্তু সেই শ্রমিকের অধিকার কোনোদিন পাওয়া হয়না, সমুদ্র পাড়ি দিতে হাজার হাজার শ্রমিক মারা যায়। কারণ একটা ফ্যাসিস্ট টিকে থাকে মূলত ধর্মান্ধতা আর জাতীয়তাবাদে ভর করে।

শেখ মুজিব থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ সবই শেখ হাসিনার জাতীয়তাবাদের প্রিয় টুল।

আর ধর্মান্ধতার কথা যদি বলি তাহলে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত ধর্মীয় যত দল আছে তাদের ৯০% আওয়ামীগের। অর্থাৎ বাংলাদেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েম হলেও ক্ষমতা উনারই থাকবে!

বা’ঙালি মুসলমানকে ধর্ম দিয়ে কাবু করা থেকে জাতীয়তাবাদ দিয়ে বশিভূত করার সমস্ত অস্ত্র শেখ হাসিনার আছে।

আর আল জাজিরার কল্যাণে আমরা জানি আমাদের ওপর নজরদারিতে সরকার কীভাবে স্পা’ইওয়ার কিনেছে।

এতো কথা বলার কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের সর্প ও ওঝা একজনই- তিনি শেখ হাসিনা। কাজেই আমার প্রেডিকশন হচ্ছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নে ৩৫টি সরস্বতীর প্রতিমা ভাঙচুর যারা করেছে তারা আর কেউ না, অল দ্যা প্রাইমিনিস্টার্স ম্যান! বাজি ধরবেন?