ইউনুস কি বাংলাদেশের ভবিষ্যত নরক বানাচ্ছেন?
সৈয়দা ফারহানা ফাহমিদা, যুক্তরাজ্য
প্রথমে শিবির তাদের কচি কচি কর্মীদের দ্বারা উস্কানি দিয়ে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করলো। গলায় জুতার মালা পরানো, গাছের সাথে বেঁধে অপদস্ত, মারধর ও জোর পূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনাগুলো কিন্তু উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়েই করানো হয়েছে কথিত স্বৈরাচারের দালাল ট্যাগ দিয়ে। দেখলো পুরো জাতি চুপচাপ তা মেনে নিয়েছে।
পর্যায়ক্রমে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেনস্তা, অপদস্ত ও পদত্যাগ করানো ঘটনাগুলোতেও দেখলো জাতির মেরুদন্ড নেতিয়ে আছে, তখন তাদের সাহস এতোটাই বেড়েছে যার ফলাফল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা ও দাঁড়ি ধরে টানাটানি। একজন শিক্ষক অপমান বোধ করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
ইতিপূর্বে ঘটনাস্থলে স্ট্রোক করার মতো ঘটনা ঘটার পরেও যখন পুরো জাতির বিবেক শীতনিদ্রায় ছিল, তখন এইসব ঘটনা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকতা পেশায় যারা আছেন, তাদের জন্য সামনে আরও খারাপ দিন অপেক্ষা করছে।
গত ১১ মাসে একটিবারও ইউনুস শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় ফিরে যেতে বলেনি। উল্টো নানা রকম উস্কানি দিয়েছে। “সজাগ” থাকার আহবান জানিয়েছে, কোথায় কোথায় “স্বৈরাচারের দোসর” আছে তা নিজ নিজ এলাকায় খুঁজে মব সন্ত্রাস করার উস্কানি দিয়েছে। সচিবালয় থেকে শুরু করে স্থানীয় থানাগুলোতে তাদেরকে বসিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের প্রশ্রয় দিয়েছে। চাকুরীবিমুখ করে সবাইকে উদ্যোক্তা হবার আহবানের আড়ালে অর্থের লোভ দেখিয়ে আদতে পড়াশুনাবিমুখ করেছে।
এইসবই সে করেছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে। মিষ্টি কথার আড়ালে যে ভয়াবহ সর্বনাশ করে চলেছে এই লোক তা মাথায় ঘিলু থাকলেই বুঝতে পারার কথা। আর না বুঝলে, সেই সকল জোম্বীদের আসলে ধ্বংস অনিবার্য ও উচিত।
পুরো দেশটাকে অস্থিতিশীল করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির আড়ালে যা যা করছে তার কিছু কিছু ইতিমধ্যেই খালি চোখেই দেখা যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মার্কিন সেনার আনাগোনা এখন সাধারণ মানুষের নজর এড়াচ্ছে না। কথিত মহড়ার নামে এক বছরের আট মাসে তিনবার বিশাল বিশাল সেনা বহরের আগমন মোটেই স্বাভাবিক নয়। বন্দর চলে যাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘনিষ্ট বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে।
এরপরেও নাকি দুধের শিশুরা বুঝতেই পারছে না, মহাজনের আসল উদ্দেশ্যটা কী! বুঝতে পারছে না দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিকদলগুলো। আর শিক্ষিত এলিটরা? তারা কোনদিনও এই দেশের কোন সমস্যায় সঠিক অবস্থান নিতে পারেনি, দেশের সকল সুবিধা নেয়া ব্যতীত।
সামনের দিনগুলোর ভয়াবহতা ভাবতেই ভয় হয়।

