প্রতারক ইউনুসের শুরুতেই গোলমাল
সৈয়দা ফারহানা ফাহমিদা, যুক্তরাজ্য
সুদখোর, প্রতারক ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর যে সুষ্ঠুভাবে হতে হয় এর প্রমাণ পুরো দেশ এতো দ্রুত পেয়ে যাবে ভাবিনি। একটি সরকার (ভাল-মন্দ সেই আলোচনা ভিন্ন) -কে একদিনের মাথায় টেনে ক্ষমতা থেকে নামানোটা রোমাঞ্চকর মনে হলেও বাস্তবিক অর্থে তা ভয়াবহ দূর্ভোগ টেনে আনে। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যদি অগণতান্ত্রিক হয় এবং অনির্বাচিত লোকজন সরকার চালাতে আসে তবে তারা শুধু হিমশিম খায় না বরং বড় রকমের দূর্ভোগ টেনে নিয়ে আসে দেশের জন্য।
অরাজনৈতিক যে কোন ব্যক্তিকে নমিনেশন দেয়ার বিরোধিতা করেছি সবসময়। এমনকি পারিবারিক সূত্রে হুট করে দলীয় নমিনেশান দেয়াটাও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা করে এসেছে আমাদের প্রধান দলগুলো সবসময়। সে সব নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু একটি দূর্যোগকালীন সময়ে দেশে রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থাকা এবং অরাজনৈতিক সরকারের ক্ষমতায় থাকার পার্থক্যটা খুবই স্পষ্ট হলো গত তিনদিনে। কোন রকম সমন্বয় নেই সরকারের। কোন আগাম প্রস্তুতি নেই। গত জুলাই মাসের শুরুতে যখন সতর্ক করা হলো, সেটাও আমলে নেয়নি নতুন অন্তবর্তিকালীন সরকার। ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে ব্যস্ত আছেন নিজেদের পছন্দের লোকজনকে নানা পদে বসানো ও পুরো দেশে একটা মবোক্রেসিকে প্রশ্রয় দেয়াতে।
কী কারণে, প্রতিটি উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মূহুর্তের নোটিশে বরখাস্ত করতে হলো। বিকল্প তৈরি না করে, এসব পদক্ষেপের ফলাফল পুরো প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়া। দূর্যোগ কালীন সময়ে সবচেয়ে বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সরকারী আমলাদের দিয়ে দেশ চালানো এবং দূর্যোগ মোকাবিলা যে সম্ভব নয়, এটা প্রমানিত সত্য।
এই যে মানুষগুলো পাগলের মতো ছুটছে সাহায্য নিয়ে, যে মানুষগুলো আর্তনাদ করছে বাঁচার জন্য – এসবই অনেকটুকু নিয়ন্ত্রণ করা যেতো যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সক্রিয় থাকতে পারতেন। আফসোস, আমরা দেখলাম জনপ্রতিনিধিই শুধু নয়, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এমনকি স্কুলগুলোতেও চলছে হুমকি ধামকি দিয়ে পদত্যাগ করানোর এক অসুস্থ প্রতিযোগীতা।
অপরদিকে চলছে আমাদের তথা কথিত “মেধা” কোটায় উপদেষ্টা হওয়াদের ভারতবিরোধী বক্তব্য। কেউ কেউ তো হুমকি দিয়ে বসেছেন, সেভেন সিস্টার ও চিকেন নেক নিয়ে। এরা না জানে কূটনীতি, না জানে একটি সরকার কীভাবে পরিচালনা করতে হয়। এদের বক্তব্য শুনে ভয় হয়, দেশে একটা যুদ্ধ না লাগানো পর্যন্ত এরা থামবে না। আরেকটা সিরিয়া হবার জন্য এদের এসব বক্তব্যই যে কতটা রশদ যোগায় তা আদৌ বুঝে না কি, জেনে বুঝেই সেদিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে দেশকে। এখন দেখার বিষয় ইউনুসের মত এত বড় ধোকাবাজ ও প্রতারক দিয়ে দেশ কিভাবে চলে তা দেখা। আমরা সাধারণ মানুষ দর্শক হয়েই দেখে যাই

