বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা
চীনের ১৯৪৯ সালের সংবিধানে ব্যক্তিগত মালিকানাকে স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তবে বাংলাদেশের অবস্থা চীন বা সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো নয়। এ জন্যই তাজউদ্দীন বলেছেন, ‘৫০ বছর আগে সোভিয়েট ইউনিয়নের মানুষ যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থার সঙ্গে আমাদের এখনকার অবস্থার তুলনা করতে হবে। ২৫ বছর আগের পূর্ব জার্মানির সঙ্গে আমাদের তুলনা করতে হবে।’ এখানকার সোভিয়েত, চীন বা পূর্ব জার্মানির সঙ্গে তুলনা করে সংবিধান তৈরি করলে চলবে না। বিপ্লবের পরপর যে বিধান ছিল এসব দেশে সেখানে তো ব্যক্তিগত মালিকানাকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল- এই হচ্ছে তাজউদ্দীনের যুক্তি। বামপন্থি দলগুলোর সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি historicism-র অনুবর্তী; শুধু যুক্তির খাতিরে না, বিশ্বাস করেন বলেই। যে সমাজ বা দেশের সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিতুলনা করা হবে, তাদের সঙ্গে তুলনীয় পর্যায়ে আমরা আছি কিনা, সেটাই প্রথমে দেখা দরকার :
‘কেউ যদি সোভিয়েট ইউনিয়নের ১৯৪৭ সালের সংবিধানের সঙ্গে তুলনা করে সেই পর্যায়ে আমাদের সমাজতন্ত্রের বিধান করার দাবি জানান, তাহলে আমি বলব যে, সেই সমাজের সেই পর্যায়ে আমরা আছি কিনা, আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের মানসিকতা সেই পর্যায়ে আছে কিনা, সেটা বিবেচনা করতে হবে।’
এ থেকে স্পষ্ট করে বোঝা যায় কেন বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রকে এক চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেছিলেন, কেন বলেছিলেন যে, চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো অনেক দূরের পথ, এর জন্যে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
চতুর্থত, সবশেষে তাজউদ্দীন এ-ও বললেন, ‘সম্পূর্ণ সমাজতন্ত্রের’ কথা যাঁরা বলেন, তিনি তাদের দলে পড়েন না। কেননা, ‘সম্পূর্ণ’ বলা মানে সে আদর্শের বিকাশের গতি অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। দর্শন সম্পর্কে তার অবধানতার পরিচয় পাই এই স্তবকে :
‘সম্পূর্ণ সমাজতন্ত্র বলতে কী বোঝা যায়? আমি এটুকু জানি, সমাজতান্ত্রিক দর্শন সম্বন্ধে যে-কেউ যদি বলে, এই জিনিস করলে পরে পূর্ণ সমাজতন্ত্র হয়ে যাবে, তা হলে বলতে হবে যে, ভবিষ্যতে সভ্যতার পথ রুদ্ধ হয়ে গেল।’
অর্থাৎ পূর্ণ সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে হেগেলীয় End of Histroy প্রকল্পের মতোই সমার্থক চিন্তা। ‘পূর্ণতার’ দিকে আমরা কেবল পৌঁছানোর চেষ্টাই করে যেতে পারি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে- এর বেশি কিছু নয়। স্পষ্টতই, তাজউদ্দীন সমাজতন্ত্রের Idealized version-এ বিশ্বাসী ছিলেন না। সে জন্যেই তার সিদ্ধান্ত হলো, সংবিধানে সমাজতন্ত্র অভিমুখীন মিশ্র মালিকানা সমন্বিত অর্থনীতির প্রস্তাবনাই সঠিক হয়েছে :
‘ব্যক্তিগত মালিকানা দিয়েছি দেখে সেটার জন্য সমাজতন্ত্র দাবিদার একটা দল বলেছেন যে, এটা সমাজতন্ত্র হয়নি, আবার আর একটা দল বলছেন যে, ব্যক্তিগত মালিকানা যা দেওয়া হয়েছে, তা ঠিকভাবে দেওয়া হয়নি, খুব কম দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিগত মালিকরা বড় ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, দুই দলের কথায় যখন তারা ভয় পেয়ে যাচ্ছেন, তখন তাদের কারও কথায় কর্ণপাত না করে আমরা যেটা দিয়েছি, সেটাই তাদের গ্রহণ করা উচিত। কারণ, এটা সুসামঞ্জস্য হয়েছে এবং সুসমন্বিত হয়েছে।’
সবশেষে, তাজউদ্দীন হঠকারী ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী’ দলে দাবিদার বলে গোষ্ঠীর প্রতি দৃষ্টি দিলেন (এই গণপরিষদের অধিবেশন চলাকালীনই জাসদের জন্ম হবে)। কেন মালিকানা-প্রশ্নে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের প্রাধান্য রেখেই ব্যক্তি খাতের নিয়ন্ত্রিত বিকাশকে উৎসাহ দিতে হবে- এর পেছনে ‘প্র্যাকটিক্যাল নেসেসিটি’ ছাড়াও জনগণের ‘পশ্চাৎপদ মানসিকতার’ দিকেও সচেতন থাকার কথা বললেন তিনি। বিপ্লব ডি-রেইলড হয়ে যেতে পারে এই হঠকারী অতি বামপন্থি শক্তি ও দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির যুগপৎ সাঁড়াশি আক্রমণে। তাজউদ্দীন বললেন :
‘জনাব স্পিকার সাহেব, আপনি জানেন, আমার সমাজের শিক্ষিত এবং তরুণ এবং অত্যন্ত আদর্শবাদী বলে পরিচিত কিছু কিছু লোক- তাদের সংখ্যা বেশি কি কম, তা নির্ণয় করা আমার পক্ষে খুব কঠিন- যে কার্যকলাপ দেখাচ্ছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। যেখানে একটা সমাজতান্ত্রিক বিধানে স্বাভাবিকভাবে বলা যায় যে, যৌথ মালিকানা থাকবে, সেই জায়গায় একদিকে তারা প্রগতির কথা বলছে, আর একদিকে অপরের পকেট থেকে কেড়ে পর্যন্ত সম্পদ নিতে, পয়সা নিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। এই যে মনোবৃত্তি, এতে আর যাই হোক, সমাজতন্ত্র যে হবে না, তাতে কোনো সন্দেহ নাই।’
এ রকম হতাশার কথা বঙ্গবন্ধুও তার ১৯৭২-৭৫ পর্বের নানা ভাষণে ব্যক্ত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু ক্ষেদোক্তি করেছিলেন। প্রথমে তিনি চিহ্নিত করলেন পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টি ও সমমনা অন্যান্য হঠকারী অতি বামদের :
‘এক রাতের অন্ধকারে গুলি করে মারে, আর বলে রাজনীতি করে। রাতে একজন লোক শুয়ে আছে, তাকে জানালা দিয়ে গুলি করে মারল। বলে আমি বিপ্লবী। তুমি বিপ্লবী, না দাগী চোর? এদের কোনো নীতি নাই, এদের কোনো আদর্শ নাই, এদের কিছুই নাই। এরা বড় বড় কথা বলে।… হাটবাজার, চিনির দোকানে, মুরগির দোকানে, সবজির দোকানে ডাকাতি করে বিপ্লব হয় না। ঐ রণদিভের থিওরি ইট মারো, সেপাইয়ের আস্তানায় ইট মারো, ওয়ালে একটা পাথর মারো, এতে বিপ্লব হয় না।’
এই হটকারী অতি বামপন্থি শক্তির মধ্যে দক্ষিণপন্থি সাম্প্রদায়িক শক্তিও প্রথম থেকেই বা একপর্যায়ে এসে মিশে গিয়েছিল। মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বলে আসলে তারা সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে লিপ্ত ছিল। তাদের উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধু সেই ভাষণে বলেছিলেন :
‘যারা মনে করেন রাতের অন্ধকারে গুলি করে কিংবা রেললাইন তুলে দিয়ে টেররিজম করে বিপ্লব হয়, তারা কোথায় আছেন তারা জানেন না। … এই টেররিজম দিয়ে দেশের বিপ্লব হয় না, হয় নাই, হতে পারে না। … দুঃখের বিষয়, অনেকে এখনও টেররিজম-এ বিশ্বাস করেন। যাই হোক, ভবিষ্যতে তাদের ভুল ভাঙবে। … আর একটা জিনিস। রাজনীতিতে যারা সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে, যারা সাম্প্রদায়িক- তারা হীন, নীচ, তাদের অন্তর ছোট। যে মানুষকে ভালোবাসে, সে কোনোদিন সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। … সেই জন্যেই এক মুখে সোশ্যালিজম ও প্রগতির কথা এবং আর এক মুখে সাম্প্রদায়িকতা চলতে পারে না। সমাজতন্ত্র প্রগতি আর সাম্প্রদায়িকতা পাশাপাশি চলতে পারে না। একটা হচ্ছে পূর্ব আর একটা হচ্ছে পশ্চিম।’
এ ছাড়াও দলের ভেতরে সুবিধালিপ্সু শক্তির অনুপ্রবেশ, দুর্নীতির প্রসার, শৃঙ্খলার স্খলন প্রভৃতি সমস্যার কথা বলেছিলেন সেদিনের ভাষণে বঙ্গবন্ধু। এর থেকে বোঝা যায়, সমাজতন্ত্র গড়ার পথে বাধা কত প্রত্যাশিত ও অপ্রত্যাশিত দিক থেকে আসতে পারে। এর জন্য নতুন মানুষ ও নতুন সংস্কৃতির সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। নতুন মানুষ প্রয়োজন- এটা বঙ্গবন্ধু বা তাজউদ্দীনের জন্য শুধু কথার কথা নয়। গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র কেন রাতারাতি বা স্বল্পতম সময়ে করা যাবে না সে সম্পর্কে তাজউদ্দীনের সর্বশেষ যুক্তির দিকে এটা আবারও আমাদের ধাবিত করে। ১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবরের সেই ভাষণে তাজউদ্দীন তাই স্বীকারোক্তি সুরে বলে উঠেছিলেন :
‘মানসিকতার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত, প্রত্যেকটি মানুষ সমাজতন্ত্রের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কেবল আইন লিখে সুষ্ঠুভাবে আমরা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব না। তাই আমি আবার বলছি, বারবার বলতে চাচ্ছি যে, যে সমস্ত প্রগতিশীল দল এবং দেশপ্রেমিক দল, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী, শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক অর্থ-ব্যবস্থায় বিশ্বাসী, তাদের কর্তব্য হবে আজকে সেই মানুষ গড়ে তোলা, যে মানুষ সমাজতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন হবেন, যে মানুষ যৌথ মালিকানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী হবেন। যে মানুষ অপরের থেকে কেড়ে নিয়ে মালিক বনে সমাজতন্ত্রবাদী হওয়ার দাবি করবেন না। ব্যক্তি হিসেবে তিনি যেই হোন আর যাই হোন, তিনি সেই ব্যক্তিগত পুঁজিবাদী থেকে কোনো অংশে কম দোষী হবেন না, তার চাইতে কোনো অংশেই ভালো মানুষ বলে পরিচিত হবেন না। কাজেই আজকে সেই মানুষ আমাদের সৃষ্টি করতে হবে।’
নতুন মানুষ আগে সৃষ্টি হবে, নাকি নতুন উৎপাদন সম্পর্ক আগে সৃষ্টি হবে, নাকি দুই-ই ‘দ্বান্দ্বিকভাবে’ একত্রে সৃষ্টি হবে- এটি মার্কসীয় সমাজ বদলের তত্ত্বের একটি অতি পুরাতন সমস্যা। সম্ভবত তাজউদ্দীন জানতেন যে, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়ন কতকগুলি বিষয়ীগত (সাবজেকটিভ) ও বস্তুগত (অবজেকটিভ) অবস্থার ওপরে নির্ভরশীল। সাধারণভাবে সমাজতন্ত্রের পূর্বশর্ত সম্পর্কে মার্কস যা বলেছিলেন তা ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। A Contribution to the Critique of Political Economy গ্রন্থের বিখ্যাত ‘ভূমিকায়’ মার্কস লিখেছিলেন :
‘No social order is ever developed before all the productive forces for wihch it is sufficient have been developed, and new superior relations of production never replace older ones before the material conditions for their existence have matured within the framework of the old society.’
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজটিও তাই শুধু ইচ্ছাপূরণের বিষয় না হয়ে বিষয়ীগত এবং বস্তুগত পরিস্থিতির বিকাশের ওপরে নির্ভর করে গড়ে উঠবে। এমনটাই বঙ্গবন্ধু ও তার নিকট সহকর্মীদের দ্বারা প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানের সার্বিক আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসে। তবে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র ধারণার মধ্যে কতটুকু গণতন্ত্রের ওপরে জোর দেওয়া হবে, আর কতটুকু সমাজন্ত্রের ওপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে, এ নিয়ে সেদিনের গণপরিষদের ভেতরে এবং বাইরে বেশ কিছুটা ভিন্ন মত ছিল। গণপরিষদের ভেতরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন এই বলে যে, প্রথাগত সমাজতান্ত্রিক দেশের একটা বড় ত্রুটি তার মধ্যে গণতন্ত্রকে সেভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। যদিও সেসব দেশের সাম্প্রতিক ঝোঁক হলো রাষ্ট্রের আরও গণতন্ত্রায়নের প্রতি। এ জন্যে এসব দেশে নানা ধরনের সাংবিধানিক সংশোধনী আসছে। স্ট্যালিন আমলের সঙ্গে ক্রুশ্চেভের আমলে তুলনা করে তিনি বললেন যে, ‘কে ভুল ছিল, কে শুদ্ধ ছিল, বলব না। তবে ক্রুশ্চেভের সময় থেকে মৌলিক মানবিক অধিকার ও গণতন্ত্রকে দেওয়ার জন্য মানুষের একটা প্রচেষ্টা সোভিয়েট রাশিয়ায় চলছে এবং যা আজকে কোসিগিনকে পর্যন্ত করতে হচ্ছে। তাতে বোঝা যায় রাশিয়ায় আজ গণতন্ত্রকে গ্রহণ করার প্রচেষ্টা চলছে এবং কালের উত্তরণে এই প্রবণতা যদি এগিয়ে যায়, তাহলে এমন সময় আসতে পারে, যখন গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র আনা সম্ভব।’ অর্থাৎ, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের মডেল সোভিয়েতের জন্যও প্রযোজ্য। গণতন্ত্র ছাড়া সমাজতন্ত্র আখেরে কার্যকর হয় না এবং সে কারণে এসব দেশের জন্যও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রই চূড়ান্ত পরিণাম হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য। তার মানে ধ্রুপদি সমাজতন্ত্রের মডেলে বেশি করে গণতন্ত্রের প্রতি জোর দিতে হবে। এটাই হচ্ছে মূল যুক্তি :’সমাজতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নতুন নতুন কর্মপন্থা যারা দেবে, জনগণ তাদেরকেই ভোট দেবে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র হবে- এই আদর্শকে অবলম্বন করে যাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ নতুন কর্মপন্থা গ্রহণ করতে পারে।’ এম মনসুর আলীও একইভাবে মনে করেছেন যে, বাংলাদেশের সংবিধানের ‘সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের পাশাপাশি অবস্থান’। শুধু তাই নয়, সংবিধানে এর সংযোজন সারা বিশ্বেই একটি অনন্য উদাহরণ :’একমাত্র বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে এই যে গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের পাশাপাশি অবস্থান এবং অগ্রসর হওয়া এটা সম্ভব। কেননা, অস্বীকার করার উপায় নাই যে, যে সমাজতন্ত্র জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা সত্যিকারের সমাজতন্ত্র হতে পারে না। মানুষের মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, বিকাশ লাভ করে, সেই সমাজতন্ত্রই প্রকৃত সমাজতন্ত্র।’