‘নতুন’ আর্জেন্টিনার লাপাজ জয়
’হাতি-ঘোড়া গেল তল, পিঁপড়া বলে কত জল।’ বলিভিয়ার লাপাজে সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে ৩ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতায় আর্জেন্টিনার জয়ের প্রত্যয়কে এমন প্রবাদের ছলে উপহাস করাই যায়।
শক্তিশালী আর্জেন্টিনা দলের বলিভিয়ায় ব্যর্থ হওয়ার গল্প তো কম নয়! সেই হিসেবে এই আলবেসেলেস্তো দলে পুরনো কেবল লিওনলে মেসি। ওটামেন্ডিও কিছুটা।
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই ’নতুন’ আর্জেন্টিনাই জয় করলো লাপাজ। কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে হারাল বলিভিয়াকে।
দুই ম্যাচেই তুলে নিল জয়। এই জয়টা আর্জেন্টিনার কাছে বিশেষ কিছু। কারণ ১৫ বছর পরে বলিভিয়ার মাঠে জয় পেল আর্জেন্টিনা।
ভয়টা যেমন ছিল ম্যাচে ঠিক তেমনটাই শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। লাপাজের স্টাডিও হার্নান্দো সাইলে ২০০৯ সালে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার গল্প আছে আকাশি-নীল জার্সিধারীদের। এ ম্যাচেও আর্জেন্টিনা ভক্তদের হতাশা উপহার দিতে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিক বলিভিয়া।
কিন্তু প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে আলবেসেলেস্তেরা। আর্জেন্টিনার নতুন প্রজন্মের পতাকাবাহী স্ট্রাইকার লউতারো মার্টিনেজ ৪৫ মিনিটে গোল করে দলকে সমতা এনে দেন। প্রথমার্ধেই এনে দেন স্বস্তি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৭৯ মিনিটে বদলি নেমে গোল করেন জ্যাকুইন কোরেইরা। ২৬ বছর বয়সী ল্যাজিও ফরোয়ার্ড অকাম্পোসের বদলি হিসেবে নামেন। দলকে এনে দেন জয়। তাকে গোলে সহায়তা দেন মার্টিনেজ।
ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতলেও বলিভিয়া অবশ্য বলের দখলে এগিয়ে ছিল। এমনকি আক্রমণ করেও ত্রস্ত রাখে লিওনেল স্কালোনির দলকে। ম্যাচের ছয় মিনিটেই তারা এগিয়ে যাওয়ার অসাধারণ এক সুযোগ নষ্ট করে। ওদিকে লিওনার্দো প্যারাদেসের একটা শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়।