বাংলাদেশে বিপন্ন বাক-স্বাধীনতা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও পুতুল বিচারবিভাগ প্রসঙ্গে
প্রথম প্রকাশিত – ২৮শে মে, ২০২১; আপডেট – ১৯শে অগাস্ট, ২০২১ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
পাঠকেরা অবগত আছেন আমরা গত এক বছর ধরে শুধুমাত্র মত প্রকাশের কারনে নানাবিধ রাজনৈতিক বিরূপ আচরণের শিকার হয়েছি। আমাদের এই পত্রিকায় পাঠক-সম্পাদক-কন্ট্রিবিউটরদের নানাবিধ মন্তব্য, লেখা তথা মতামত প্রকাশের জন্য বেশ কিছু আইনি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের সাংবাদিকতার কারণে। আমরা সত্য প্রকাশে পিঁছপা হইনি, জনমত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি নিরলস। অগণতান্ত্রিক এবং আইনের শাসন-এর পরিপন্থী ঘটনাসমূহ ও রাজনৈতিক চালচিত্র নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করবার প্রয়াস রাখি। এতদসত্বেও, বিভিন্ন ইস্যুতে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের সরকারপক্ষ-সমর্থন করে সংবাদ প্রকাশ বা প্রকাশ না করার যে ধারা, আমরা সেটি থেকে বাইরে থাকতে চেয়েছি এবং অনেকাংশেই আমরা সফল।
সংবাদমাধ্যমের “উইথাউট ফিয়ার অ্যান্ড ফ্যাভার” সংবাদ ও জনমত তুলে ধরবার অধিকার যদি ক্ষুণ্ণ হয়, খর্ব করা হয়, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত্তি নড়ে যায়, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জনগণের কাছে জবাবদিহিতার যে মৌলিক নীতির ওপরে একটা স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত, সে জবাবদিহিতার কোনো মানে আর থাকে না। কারন, মূল কথা এই যে – সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের দ্বাররক্ষক। এতে সরকারপক্ষের অসুবিধে হতে পারে সময়ে সময়ে, বিচার বিভাগ অপ্রস্তুত বোধ করতে পারেন অনেক সময়, আইন বিভাগ নিজেকে আক্রান্ত মনে করতে পারে প্রায়শঃ, কিন্তু তার মানে এই নয় যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করতে হবে। বরংচ এই প্রতিটি বিভাগ কিভাবে নিজেদের সমস্যাগুলো, ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে, সেই দিকে মনযোগ নিবেশ করলে দেশের উন্নতি নিশ্চিত হয়।
আমাদের সম্পাদকীয় নীতিমালার ভিত্তিতে আমরা মনে করেছি আল-জাজিরা নিউজে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট করে এই বছরের শুরুতে যে ঘন্টা-দীর্ঘ ডকুচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে এবং এতে নিশ্চিতভাবেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে যে আলোচনা/সমালোচনার ঝড় উঠেছে, এ-বিষয়টি আমাদের পাঠকদের সামনে নির্মোহভাবে তুলে ধরাটা জনস্বার্থের আওতাধীন এবং আমরা এ-বিষয়ে আমাদের পাঠকদের মতভঙ্গিও বুঝবার চেষ্টা করেছি যেকারণে তাদের মন্তব্য আমরা আহবান করেছিলাম।
একই সময়ে লেখক ও ক্যাপশনিস্ট মুশতাক আহমেদ এর কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় মৃত্যু সারা দেশে এবং আবারো আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলে। যেহেতু মুশতাক আহমেদ একটি কার্টুনের ক্যাপশন লিখবার কারণে ধৃত হয়েছিলেন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ২০১৮ এর অধীনে, আমরা যারা মত ও সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতায় তীব্রভাবে বিশ্বাস করি, আমরা শুরু থেকেই তার গ্রেপ্তার, তার বিরূদ্ধে মামলা ও তার প্রলম্বিত জামিনহীন কারাবাসের বিপক্ষে জোরালোভাবে বিরোধিতা করে গিয়েছি। তার মৃত্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন আমাদের দেশ ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে আমাদের সামনে নিয়ে আসে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বর্তমান গণতান্ত্রিক কাঠামোতে সহজ নয় কিন্তু আমরা আমাদের পাঠকদের ওপরে অনেকাংশে নির্ভব করি যেকোনো ইস্যুতে এবং এবারও আমাদের পাঠককূল আমাদের নিরাশ করেননি। তাদের মতামত-এর ওপর ভিত্তি করে আমরা মার্চ এর শেষের দিকে এবছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করি আমাদের পর্যবেক্ষণ-সমেত।
এই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা খবর পেতে শুরু করি যে বাংলাদেশে আমাদের পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী,প্রকাশক, পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ঠ এবং সে প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী মন্তব্যকারীদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদোহীতার এবং অন্যান্য অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ঢাকার মেট্রোপলিটান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। এ-ধরণের প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। দৈনিক নবযুগ এর আগেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রদোহীতার অভিযোগ খুবই গুরুতর এবং আমরা বিস্মিত ও ক্ষুদ্ধ কিভাবে এই অভিযোগ আমলে নেয়া হলো যেখানে সমস্ত আলামত সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশ করছে যে নবযুগ এবং এর পাঠকদের দেশপ্রেম অবিসাংবাদিত। আমাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে একজন মন্তব্যকারীও খুঁজে পাওয়া যাবে না যার প্রধাণতম দুঃশ্চিন্তা বাংলাদেশের মঙ্গলাকাঙ্খা নয়। কিন্তু এমন উদাহরণ অসংখ্য যেখানে সরকারদলীয় কর্মী সমর্থক বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রমাণ হাজির করা হয়েছে। তাদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদোহীতার মতো অভিযোগ আনা হয়নি কেন? আমরা সরকারপক্ষ বিব্রত হতে পারেন এমন খবর প্রকাশ করি বলে আমাদের ওপর এত আক্রমণ? আক্রমণ না করে ঐ বিব্রতকর কর্মকাণ্ড না করলেই তো যায়। যে সমস্যা কোথায় দেখিয়ে দিচ্ছে, তাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সমস্যা দূরীকরণ করাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পরিহাস!
খুব হতাশা নিয়ে আমরা লক্ষ্য করেছি যে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নামক যে সংগঠনের পৃষ্ঠপষোকতায় জনাব রবিউল আলাম জুয়েল আমাদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদোহীতার মামলা দিয়েছেন, সে সংগঠন আদতে কোনোভাবেই একটি বৈধ বা উল্লেখযোগ্য সংগঠন হতে পারেনা। এই সংগঠন বড়জোর ভক্তিমূলক কিন্তু আইনজীবী পরিষদ হতে গেলে যে নূন্যতম ব্যাপারগুলো থাকা দরকার, তার কিছুই এর নেই। এক অর্থে এটি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের হাতিয়ার এবং এই প্রেক্ষাপটে দেখলে এই ধরণের সংগঠনকে ভুঁইফোড় ছাড়া কিছুই বলা চলে না। রবিউল আলম জুয়েল হয়তো অনন্যপায় হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন অথবা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্যে – কোনো বড় পদ কী অপেক্ষা করছে তার জন্যে কোথাও? আমরা জানিনা, জানবোও না। এ-প্রসঙ্গে আমরা আমাদের একাধিক পাঠকের সাথে একমত।
এই মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমরা অনেক মন্তব্য পেয়েছি পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও অন্যান্য সাংবাদিকদের কাছ থেকে। অনেক বিবেচনার পর আমরা কিছু নির্বাচিত প্রতিক্রিয়া নীচে তুলে ধরছি যা সরকার পক্ষের জন্যে সতর্কবার্তা তুলে ধরে। এর মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আমাদের মার্চ এর প্রতিবেদনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মন্তব্যকারী হিশেবে এবং যারাও দূর্ভাগ্যজনকভাবে উপরোল্লিখিত মামলায় অভিযুক্ত এবং তাদের মন্তব্যকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি বেশি। আমরা আশা করি অন্যান্য পাঠকগণ এতে আশাহত হবেননা। মন্তব্যগুলো ধাপে ধাপে করা গত সাড়ে চাঁর মাসের বিভিন্ন সময়ে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। নিম্নোক্ত মন্তব্য-সমূহে আমাদের পাঠকেরা অনেক সময় আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেছেন। আমরা সে-ভাষা সমর্থন করিনা কিন্তু আমরা তাদের প্রকাশ-ভঙ্গীতে কোনো সম্পাদনার কাঁচি চালাইনি কারণ বাংলাদেশ সরকার, আওয়ামী লীগ এবং বিচার-বিভাগের জানা প্রয়োজন সাধারণ মানুষ আসলেই কী ভাবছে এবং কোন ভাষায় ভাবছে।
আমরা আমাদের পাঠকদের নিশ্চিত করতে চাই আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা জারি থাকবে। আমরা ভয়ে পিঁছপা হবো না। বাংলাদেশ-এর স্বাধীনতা ভুলন্ঠিত হবে যদি আজ আমরা সত্য প্রকাশে পিঁছিয়ে পড়ি। আপনাদের সমর্থন আমাদের গর্ব, আমাদের পাথেয়।
নির্বাচিত পাঠক মন্তব্যঃ
মোহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম জায়গীরদার (৩৬ / মোল্লার গাঁও, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী)
– “কষ্ট ও হতাশা নিয়ে এই ই-মেইল লিখছি। আমি একজন জামায়াত-এ-ইসলামী সমর্থক এবং আমার আপন ভাই শিবির এর সিলেট এর প্রচার সম্পাদক ছিলেন। আপনাদের এই বছরের মার্চে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই অধমের-ও একটি মন্তব্য ছাঁপা হয়েছিল। আমার ভাই এর রাজনীতির কারণে আমার বিরূদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল বহু আগেই এবং সে বাস্তবতা নিয়ে বেঁচে আছি বহু বছর। কিন্তু মত প্রকাশের কারণে এভাবে আপনারা এবং আমার মতো সাধারণ মানুষ মামলার জুলুমে অত্যাচারিত হবো, এটি ভাবিনি। বলছিনা এটি অসম্ভব কারণ এই অমানবিক আওয়ামী জালেম সরকারের পক্ষে সবই সম্ভব। আপনারা আপনাদের সাংবাদিকতার ধরণ বদলাবেননা। ইতিহাস আপনাদের মর্যাদা দেবে। হাসিনার বাপ যেমন পুরোপুরি অযোগ্য ছিলেন দেশ চালানোতে, তার বেটি হাসিনা শুধু অযোগ্যই না, সে একটা ক্রিমিনাল-ও বটে। এই মামলা যে ব্যাক্তি দিলেন, রবিউল আলম জুয়েল, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো অর্থহীন চাটুকারিতা-সর্বস্ব একটা ভুঁয়া সংগঠন এর সে সাংগঠনিক সম্পাদক, তার বিপক্ষেই রাষ্ট্রদোহীতার মামলা হওয়া উচিত। আমার বা আপনাদের বিরূদ্ধে না। কিন্তু বাংলাদেশের আদালত কাঠামো একটা জোক।”
মোঃ আব্দুল রাজ্জাক (২৭/ হালিশহর, বন্দর, চট্টগ্রাম) – “আমি বেশ কিছুদিন ধরেই আপনাদের পত্রিকার পাঠক। আমি নিজে বহুদিন আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলাম। সেটা অবশ্য যদ্দূরনা আওয়ামী লীগ এর জন্যে ভালবাসা, তার চেয়ে বেশি বিএনপি-জামায়াত এর প্রতি তীব্র বিষেদাগার এর কারণে। তবে আমি বেশ অনিচ্ছার সাথে গত বেশ কয়েক বছরে টের পেলাম, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, যে আওয়ামী লীগ একটা স্বৈরতান্ত্রিক একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এবং সেজন্যে আমি শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করি। তার অপ্রকৃতস্থ মানসিকতা আওয়ামী সমর্থকদের ভেতরে সঞ্চারিত হয়েছে যেকারণে বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বাস্তবতাকে একপেশে এবং বর্বরসম বললে অত্যুক্তি হয় না। আল জাজিরার তথ্যচিত্র আমার জন্যে আওয়ামী লীগের নষ্টামির কফিনের শেষ পেরেক বলা চলে। এখানে যেভাবে সামরিক বাহিনীর রাজনীতিকরণ উঠে এসেছে, সেটা লজ্জাজনক এবং অনেকটাই মুজিবীয় রক্ষীবাহিনীর সমান্তরাল। এই সেনাপ্রধান-এর বিজিবি প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা পোষ্য শূকরের মতো নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ ও কলুষণ কিভাবে মানুষ ভুলে যাবে আমি জানি না। মুশতাক আহমেদ এর মৃত্যু আরো মর্মান্তিক এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক মূল্যবোধের চরমতম অবক্ষয়কে নির্দেশ করে বলে মনে করছি। এমাতাবস্থায় আপনাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে চিত্র উঠে এসেছে তা সত্য ও সঠিক। এই সত্য আওয়ামী সরকার বা তার সমর্থকেরা মেনে নিতে পারলো না বলেই আপনারা আইনি কারসাজির শিকার। এই যে ভুইফোঁড় আইনজীবী জুয়েল আওয়ামী চাটুকারিতার ভারে মামলা দায়ের করলেন, তার কী সামান্য দেশপ্রেম আছে? না, নেই। সে-ই হলো রাষ্ট্রদোহী! কিন্তু জেনে রাখুন ইতিহাস আপনাদের পক্ষে থাকবে যারা এই অবক্ষয়ী সময়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাখছেন। আপনাদের সকলের প্রতি বিশেষ করে সাধারণ মন্তব্যকারীরা যারা এই অপমামলার শিকার তাদের প্রতিও সমবেদনা ও অকুন্ঠ সমর্থন!”
মোঃ মাসুম সাজ্জাদ (৩২/ চিলাহাটি, নীলফামারী) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) – “… আমি আপনাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবার জন্যে আজ লিখছি। আমি খুবই সংক্ষুব্ধ আপনাদের পত্রিকা এবং আমার মতো সাধারণ মন্তব্যকারীদের বিরূদ্ধমত এর কারণে সরকার-তোষক আওয়ামী ধ্বজাধারীরা (জী, জুয়েল সাহেব, আপনার মতো অমানবিক ধান্ধাবাজকেই বলছি) মামলা ঠুকে দেওয়াতে। আমরা তো মামলা ঠুকে দিতে পারিনা চাইলেই! আমাদের মামলা থানা বা কোর্ট নেবে না কারণ আমরা শেখ পরিবারের চাটুকার নই, তাদের অসৎতা ও মানসিক ও নৈতিক স্খলন এর বিপরীতে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ়। আমি নিজে আগেও লিখেছি কিভাবে ব্যক্তিগত জীবনে আমি ও আমার পরিবার আওয়ামী দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছি, হেনস্থা হচ্ছি। কিন্তু একটি সংবাদমাধ্যমের এভাবে টুঁটি চেপে ধরা, এভাবে বাংলাদেশীদের মতামত প্রকাশের অধিকারকে হত্যা করতে চাওয়া ফৌজদারী মামলার বেঁড়াজালে, রাষ্ট্রদোহীতার মতো জঘন্য অপরাধে দুষ্ট করা… এইসবই বীভৎস মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। এবং এই বীভতসতার প্রতিভূ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার। এদের নিকেশ ছাড়া আমাদের মুক্তির উপায় নেই। আপনারা এগিয়ে যান নির্ভয়ে। আমরা আছি। আমি আছি।”
আবু বকর সিদ্দিকী (সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম)– “আমি আপনাদের পত্রিকার দীর্ঘদিনের মনযোগী পাঠক। বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করতে গিয়েও করিনি বিব্রত বোধ করাতে কিন্তু আপনাদের বিরূদ্ধে সম্প্রতি যা হয়েছে এবং হচ্ছে, তা তে আজ মন্তব্য না পাঠিয়ে পারলাম না। আমি নিজে সুদীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত। সরকারদলীয় অত্যাচার জুলুম কম সহ্য করিনি। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাধারণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি অধিকার। কিন্তু এই সরকার ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে এই দুটো অধিকারই ভুলন্ঠিত। আল জাজিরা ইস্যুতে আপনাদের প্রতিবেদন অতুলনীয় যার নজির পাওয়া দুরূহ হবে কিন্তু যেহেতু সরকারবিরোধী প্রতিক্রিয়া ফুটে উঠেছে জনমতে, আপনাদের বিরূদ্ধে বানোয়াট মামলা দিয়ে দিল এই রবিউল আল্ম জুয়েল নামক আওয়ামী পাপেট। বাংলাদেশের আদালত ব্যবস্থার শোচনীয়তা বোঝা যায় আপনাদের বিরূদ্ধে মামলা দেখে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ মুজিব-এর পুরো পরিবারই দেশ শাসনের জন্যে অনুপযোগী। শেখ হাসিনাকে আমার বিকৃতমনষ্ক এবং একজন চরম শঠ মহিলা ছাড়া কিছু মনে হয় না। এই মহিলা জামায়াত এর সাথে আন্দোলন করলো, মিটিং করলো, তারপর, ক্যাঙ্গারু কোর্ট করে তাদেরকে ফাঁসায়ে দিলো। এমন ভন্ড মিথ্যাবাদী মহিলা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কিভাবে সম্ভব? আপনারা আমাদের মতামত ও মনোভঙ্গি তুলে ধরার সৎ সাহস দেখিয়ে যান। আমরা আছি আপনাদের ঝঞ্চা বিক্ষুদ্ধ সময়ে। সোনার বাংলা কয়লা হয়ে যেতে দেবো না।”
এম ডি ওবায়দুর রহমান খান, ( ৩৭/ডেমরা, ঢাকা)– যে লেখার প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছিলো আমি সেই লেখার একজন অংশীদার ছিলাম। আমার মন্তব্যও সেখানে প্রকাশিত হয়েছিলো। আমি অত্যন্ত ব্যাথিত যে লেখার কারনে কিংবা মতামত প্রকাশের কারনে সরকারের দালালরা আজ কথায় কথায় মামলা দিচ্ছে এবং মানুষকে হয়রানি করছে। এই সরকারকে টেনে নামাতে না পারলে দেশের মানুষের শান্তি আসবে বলে অন্তত আমার মনে হয়না। আমি মনে করি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচিৎ এই দেশের শাসনভার নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেয়া। হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়াটা খুবই জরুরী।
মাহতাব উদ্দীন (৩৮/ কাশীগঞ্জ, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ) – “খুবই ব্যথিত যে আপনাদের পত্রিকার বিরূদ্ধে এবং মন্তব্যকারীদের বিরূদ্ধে আওয়ামী সরকার মামলা ঠুকে দিয়েছে সাধারণ মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বলে। আমার জন্যে দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভয়ংকরভাবে পিঁছিয়ে আছে। যেমন ধরুন, জেন্ডার/আইডেন্টিটি ইস্যুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অবস্থান জঘন্য ও পৈশাচিক। ফৌজদারী আইন এখনো অন্ধযুগে পড়ে আছে। অথচ, এইসকল ইস্যুতে আওয়ামী সরকার একত্রিত হয়েছে ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের সাথে কিন্তু দৈনিক নবযুগ আল জাজিরার চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্র ও মুশতাক আহমদ-এর দুঃখজনক মৃত্যু নিয়ে যখন জনমানুষের দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরে, তখন সাথে সাথে দৈনিক নবযুগকে এবং সাধারণ মানুষকে মামলার শিকার হতে হয় রবিউল আলম জুয়েলদের মতো আওয়ামী তোষক ও চোষকদের দ্বারা। এদের কী সামান্য মনুষত্ব্য নেই? ডরাইনা আমরা এইসব ফালতু শঠ আইনী কারসাজিতে! এর মানে এই নয় যে আমরা আশা ছেঁড়ে দেব দেশকে বাচাঁনোর। আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতার সাথে আছি, থাকবো।
রোমানা আক্তার রুমকি (৩০ / পাবনা ও ঢাকা) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) – “আবারো লিখছি আপনাদের। জানি না এটি আপনাদের নজরে পড়বে কি-না। আমি মূলতঃ সংহতি জানাবার জন্যে লিখছি। আপনাদের পত্রিকার বিরূদ্ধে মামলা বাংলাদেশের মতপ্রকাশে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করা প্রতিটি মানুষকে কুঠারাঘাত করার শামিল। আমার নিজের-ও একটা মন্তব্য আপনারা আপনাদের প্রতিবেদনে ছাঁপিয়েছিলেন যে-কারণে আমি কৃতজ্ঞ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখলাম যে মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় আমার নাম-ও রয়েছে। রাষ্ট্রদোহীতার মতো জঘণ্য অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছি দেশকে ভালবাসি বলে, দেশকে এই অবৈধ, জালেম ও রক্তচোষা হাসিনা সরকারের কবল থেকে উদ্ধার করা দরকার মনে করেছি বলে। দেশপ্রেম যখন দেশদ্রোহীতা হয়ে যায়, তখন পরিতাপ করা ছাড়া আর কিছু থাকে না। যে ব্যাক্তি মামলার বাদী হয়েছিলেন, তার প্রতি ঘেণ্ণা ছাঁড়া কিছু নেই। আপনাদের বলতে চাই – আপনাদের অসাধারণ সুন্দর নির্ভীক সাংবাদিকতা এগিয়ে যাক। মামলা হলে হোক।সত্যের জয় হবে। হাসিনা ও শেখ পরিবারের মানসিক বিকৃতি ও বৈকল্য থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হবে শীঘ্রই।”
আরিফুল হক আরিফ (২৬, সিলেট)– ‘ধিক্কার ছাড়া কিছু জানাবার নেই এই কুশাসকদের! হাসিনার যম হবে এই বাংলার জনগণ! সে হারে হারে বুঝবে যে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সঠিক হয়নি। জয়কে সাবধান করে দিচ্ছি তার মা ও পরিবারকে নিয়ে যেন আমেরিকা চলে যায়। নাহলে এই বাংলার মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে হাসিনাকে রেহানাকে পুতুলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রবিউল আলাম জুয়েলের মতো এইসব বাটপার স্বার্থান্ধ আইনজীবীরা বঙ্গবল্টু জাতির শত্রুর নামধারী পরিষদ চালাক এবং আওয়ামী অন্যায়ের মশাল বয়ে বেড়াক। সময়ে এদের টাইট দেয়া হবে। আপনাদের নির্ভীক সাংবাদিকতা চালিয়ে যান। সময় আসলে মানুষ আপনাদেরই সালাম দেবে।’
মোঃ জাকির হোসাইন (২৯ / পালং, শরীয়তপুর ও পল্টন, ঢাকা) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী)– “আমি আপনাদের পত্রিকার একজন নিয়মিত পাঠক এবং আপনাদের সাড়া-জাগানো মার্চ ২০২১ এর আল-জাজিরা-ভিত্তিক প্রতিবেদনে আমিও মন্তব্যকারী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পরিতাপের বিষয় হলো এই যে – আইনজীবী জুয়েলের মতো আওয়ামী তোষকরা সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আপনাদের এবং আমাদের ওপর, মামলা দিয়েছে রাষ্ট্রদোহীতার, আমাদের করে দিতে চায় পঙ্গু। কিন্তু আপনাদের নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের আর কেউ নেই। শেখ হাসিনা একজন মনোবিকারগ্রস্ত মহিলা যার পাগলা গারদে থাকার কথা, কিন্তু সে জেনোসাইড করে চলছে নিজের দেশের মানুষের উপর একজন কুৎসিত ম্যানিয়াকের মতো!। তাকে সরিয়ে দেয়া ছাড়া বাংলার মানুষের মুক্তি হবে না। আমার এই মতে আমি অটল, হাজারো মামলা দিলেও এই বিশ্বাস থেকে আমি নড়বো না। নির্ভীক সাংবাদিকতা চালিয়ে যান।”
আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী (৪৩ / মৌলভীবাজার সদর, মৌলভীবাজার, সিলেট)– “আমার সালাম জানবেন। আমি আপনাদের পত্রিকার একজন একনিষ্ঠ পাঠক। সংকোচের কারণে এর আগে মন্তব্য বা লেখা দেইনি যদিও অনেকবার-ই তা করতে চেয়েছি। আপনাদের সাংবাদিকতার সাহসিকতায় আমি মুগ্ধ এবং আল-জাজিরার ডকুমেন্টারী ইস্যুতে এবং লেখক মুশতাক আহমেদ-এর অপমৃত্য নিয়ে আপনাদের দুর্দান্ত প্রতিবেদন আমাদের মতো সাধারণ কিন্তু সচেতন মানুষের প্রাণ ছুঁয়ে গেছে। আমি সবসময়-ই মনে করেছি যে শেখ পরিবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোনো কিছুতে ইতিবাচক কোনো ভূমিকা রাখেনি (এই ব্যাপারেও যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে আসলে)। বরং এই পরিবারের বাংলাদেশকে নিজের সম্পত্তি ভাববার প্রবণতা দেখিয়ে গেছে বারেবার এবং ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে অনেকবার। আমি মনে করি শেখ হাসিনা একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মহিলা এবং তার পুরো পরিবার-ই খুবই নোংরা মানসিকতার অধিকারী এবং আমি নিজে যদিও হত্যযজ্ঞ পছন্দ করিনা, কিন্তু আমি মনে করি শেখ পরিবারের বিলুপ্তির প্রয়োজন ছিল, এবং আছে। আমার এই মতামত অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রগতি শেখ পরিবার ছাড়াই সম্ভব। আমি দৈনিক নবযুগের বিরূদ্ধে সরকার-সমর্থক গোষ্ঠীর মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং যে লোক মামলার বাদী হয়েছে (জুয়েল নাকি যেন নাম), তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেঁড়ে নেয়ার এসমস্ত ষড়যন্ত্র বানচাল করে দেয়া হবে এই শেখ হাসিনার পরিবারের মৃত্যুর সাথে সাথে। আপনাদের সাথে আছি।”
মোঃ রাজিম হোসাইন (৩০ / হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) –“আপনাদের জন্যে আমার অনেক ভালবাসা আছে কাড়ন আপনারা এই জল্লাদ আওয়ামী সরকারের জুলুমবাজি উপেক্ষা করে আমাদের মতামত তুলে ধরছেন এইজন্যে আপনাদের সাধুবাদ প্রাপ্য। আমি সারাজীবন বিএনপি করে এসেছি এবং এইসব মামলা মোকদ্দমা আমাকে নাড়াতে পারবে না। হয়তো দেশ থেকে কিছুদিন দূরে থাকতে হবে, কিন্তু তাতে কি? আমরা আপনাদের এই সাহসী সাংবাদিকতার ওপর ভরসা করে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করবো হায়েনা হাসিনার কবল থেকে। মামলা একটা হয়েছে। তো কি হয়েছে? আর হলে হবে। আমাদের মতামত দাবায়ে রাখতে পারবেনা এই বঙ্গবন্ধু নামক বাটপার পরিষদ আর এর অন্তর্ভুক্ত আইনজীবীরা। হায়েনা হাসিনাকে সমুচিত জবাব দেয়ার জন্যে দেশনায়ক তারক রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আসন্ন হয়ে পড়েছে। আমার বিরূদ্ধেও মামলা হয়েছে আপনাদের সাথে সাথে কিন্তু আমি ডরাইনি। আমি এই সরকার ও হায়েনা হাসিনার নিপাত চাই। দেশমাতৃকার মুক্তি চাই। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
শিপলু কুমার বর্মণ (নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ)(মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) – “আপনাদের সাম্প্রতিক মতামত বিভাগের লিখাটি দেখে খুবই মনঃকষ্ট পেয়েছি। আপনাদের আল-জাজিরা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আপনারা সত্য তুলে ধরাতে সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে আপনাদের এবং আমাদের মতো যারা নিজেদের মতামতটুকু তুলে ধরেছিলাম সে প্রতিবেদনে। আমাকে রাষ্ট্রদোহী বলা হচ্ছে? আমাকে? শেখ হাসিনা হচ্ছে রাষ্ট্রদোহী!! সেই মামলার বাদীকে আমি নিজের আত্মার কাছে বিশুদ্ধ থাকতে বলি। বলি, জুয়েল বাবু, আর কতো লোভ করবেন? কারণ পদ-লোভ ও দুর্নীতিপরায়ণ না হলে কেউ অমন মামলা দিতে পারেনা! আমি দেশের কী ক্ষতি করেছি যদ্দূর করেছে এই শেখ পড়িবার!? স্বাধীন মতামত প্রকাশ আজ যেন বাক্সে পেরেকের বন্ধি। স্বাধীন বাংলাদেশে মত প্রকাশের যে অধিকার বা স্বাধীনতা নেই এর চেয়ে বড় প্রমান আর হতে পারে না। গত দের দশক ধরে হাসিনা সরকার যে ভাবে অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে তা বলে বোঝানোর মতো আমার ভাষা নেই। হাসিনা সরকারের ভয়ে আজ গোটা সুশীল সমাজ ভীত, অত্যাচারিত ও নিপীড়িত। তাদের মনের মধ্যে ভয় কখন যে তার হিংস্র বাহিনী ধারা আক্রমণ করে স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য। এই সরকারের প্রতি ভীষণ ভাবে হতাশাগ্রস্ত। যানিনা অদূর ভবিষ্যতে আর কত কি নির্যাতন বা হিংসার শিকার হতে হবে। দেশে থাকলে হয়তো মামলার কারণে জেলে পুরে দিতো, টর্চার করতো, মেরেই ফেলতো হয়তো! কিন্তু আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের থেকে আরো সাহসী প্রকাশনা দেখবার আশায় রইলাম। ”
মুসা আহমেদ জায়গীরদার (৩১ / দক্ষিণ সুরমা, সিলেট)— “আপনাদের পত্রিকার বিরূদ্ধে মামলার খবর পেয়ে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি। যে প্রতিবেদন নিয়ে এত শোরগোল, সেখানে এমন কিছু লিখা নাই যেকারণে আপনাদের বিরূদ্ধে মামলা দেয়া যেতে পারে। এতে বোঝাই যায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগ এর অবস্থা কত শোচনীয়। আমার দুই ভাই এইসব বীভৎসতার শিকার ইতিমধ্যেই। আওয়ামী দুঃশাসন এর জ্বালায় আমার পরিবারের একটা বড় অংশ আতঙ্কে দিন গুজরান করে। তবুও আমি স্তম্ভিত আপনাদের বিরূদ্ধে মামলা দেখে কারণ। আমি আপনাদের এবং আমার দেশ ও এধরণের সাহসী সাংবাদিকতার প্রশংসা করি এবং আশা করি শেখ পরিবারের করাল গ্রাস থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে দ্রুত। পরিতাপের বিষয় এই যে আপনাদের মতো এবং আমার ভাইদের মতো দেশপ্রেমীদের আজ রাষ্ট্রদোহীতার অভিযোগ মোকাবিলা করতে হয় বিবেকশুণ্য জুয়েলের মতো আইনজীবীদের। এই দুঃসময়ের অবসান ঘটুক এই আশায় রইলাম।”
মোঃ শহীদুল ইসলাম (৩৮ / নবাবগঞ্জ, ঢাকা)– “সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশ এখন একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়ছে যেখানে গনত্রন্ত্র মারা যাচ্ছে প্রতিদিন। শেখ হাসিনা, একজন হত্যাকারী এবং একটি অবৈধ সরকারের প্রধান, যেকিনা সফলভাবে একটি একদলীয় রাজনৈতিক দল গঠন করে হত্যা, নির্যাতন, গুম সহ অনেক অপকর্ম করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি আল-জাজিরার একটি সত্য তথ্য চিত্র প্রকাশিত হয়ছে ‘’অল দ্যা প্রাইমিনিস্টার ম্যান’’ নামে যেখানে বাংলাদেশের একটি বীভৎস চিত্র উঠে এসেছে কিভাবে শেখ হাসিনা তার নিজেদের লোক দিয়ে অপকর্ম করে যাচ্ছে। আলজাজিরার এই প্রতিবেদনটি অত্যন্ত বস্তনিস্থ এবং সাতত্য বলে আমি মনে করি। মানুষের গনত্রন্তের মৌলিক অধিকার বলে আর কিছু নেই বাংলাদেশে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চালু করে মানুষের নুন্নতম কথা বলার যে অধিকার আছে সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা। মানুষ যেন ডিজিটাল প্লাটফর্ম বেছে না নিতে পারে তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য সেইজন্যই এই আইন। এই ডিজিটাল আইন একটি অশুভ আইন, এই সাইবার ট্রাইব্যুনাল একটি মানুষের গনত্রন্ত্র হরণের ট্রাইব্যুনাল এর প্রমাণ দেখা যায় সম্প্রতি ‘’ দৈনিক নবযুগ এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতা মামলা দায়ের মাধ্যমে। আমি দৈনিক নবযুগের একজন নিয়মিত পাঠক এবং এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা না বলে আর পারলাম না। বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতারও যে মৃত্যু হয়েছে শেখ হাসিনার ধারা দৈনিক নবযুগের বিরুদ্ধে মামলা তারি প্রমাণ করে। মার্চে যে প্রতিবেনটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে আমরা দেখতে পাই সাধারণ মানুষের ক্ষুব সরকারের প্রতি কিন্তু দৈনিক নবযুগ সেই মানুষের কথাগুলি প্রকাশ করেছে স্বাধীন ভাবে কিন্তু নিজেদের কুনো মন্তব্য নয় কিন্তু তারপরও দৈনিক নবযুগের বিরদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে কেন তারা সাধারণ মানুষের মত প্রকাশ করল বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো ফালতু ওয়ার্থলেস এবং চাটুকার সংগঠন। আমি সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচানা করছি এবং অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান করছি। মোট কথা যেই এই সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীন ভাবে কথা বলবে, তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে , তাদের বিপদ নিশ্চত। আমি, আমার পরিবার এবং আমার আত্মীয় অপজিসন পার্টি (বি এন পি ) করার কারণে এবং শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় পলিটিকাল হ্যারাসমেন্ট এর শিকার হচ্ছি যখন থেকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে। আমার আত্মীয় জেল খেটেছে বছরের পর বছর কোনো অপরাধ না করেও । আমার বিরূদ্ধে দিয়েছে গায়েবী মামলা। অপরাধ একটাই অন্য পার্টি করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। আপনাদের নির্ভীক সাংবাদিকতার সাথে আছি এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি দৈনিক নবযুগের পদাঙ্ক অনুসরণ করবার জন্যে।”
মোহাম্মেদ জিল্লুর রহমান– “এই খুনী হাসিনাকে গদি থেকে না নামালে আসলে কোনো আলোচনা , যে কোনো কিছুই সময় নষ্ট। আগে এই সরকারকে গদি থেকে নামাতে হবে তারপর অন্য কথা। আল জাজিরা বাংলাদেশের শুধু হাজার ভাগের একটা ভাগ মাত্র দেখিয়েছে। অনেক কিছু আছে যা দেখলে বিশ্ববাসীর মাথা ঘুরে যাবে। আল জাজিরার উচিৎ বাংলাদেশের ঘুষ ও দূর্নীতি নিয়ে কিছু করা। বিশেষ করে হাসিনা কিভাবে টাকা লুটে পুটে খায় সেই ব্যাপারটা’ আমার ধারণা এই আইনজীবী জুয়েল-ও জানেনা হাসিনার হিংস্রতা সম্পর্কে। যদি জেনে শুনে এই মামলা সে দিয়ে থাকে, তাহলে তার চারিত্রিক সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সে একজন অবিবেচক, অসৎ চাটুকার।”
মুকিত চৌধুরী (হবিগঞ্জ, সিলেট) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) – “আমার মন্তব্য আপনাদের আল-জাজিরা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ছাঁপানোতে আমি কৃতজ্ঞ কিন্তু একই সাথে খুবই ক্রোধান্বিত আমার এবং অন্যান্যদের স্বাধীন ও ন্যায্য প্রতিক্রিয়া তুলে ধরার কারণে আপনাদের পত্রিকা ও আমাদের সবার বিরূদ্ধে আওয়ামী বদমায়েশরা (জী, আপনাকে বলছি, জনাব সাংগঠনিক সম্পাদক অফ অর্থহীন আইনজীবী পরিষদ) মামলা ঠুকে দিলো! এতে অবশ্য কিছু যায় আসেনা। দেশনায়ক তারেক রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তমান যেদিন হবে, এসব কিছুর রক্তাক্ত প্রতিশোধ আমরা সেদিন নেবো। আপনারা ভয় পাবেন না। আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতা অম্লান হয়ে থাকুক। রক্তচোষক হাসিনা ও তার পিশাচসম পরিবার শাস্তি পাবে, এই কথা দিলাম মাতৃভূমিকে। আপনাদের কাছ থেকে আরো অনেক দুর্দান্ত লিখা দেখার আশায় রইলাম।”
আবু সাঈদ (২৫ / সিলেট) “আমি ভীষণ বিপর্যস্ত ও ক্ষুদ্ধ বোধ করছি এই ঘটনাপ্রবাহ দেখে। এই দেশ আমার চেনা নয়। আমি নিজে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিমালা যে পছন্দ করি তা নয়, কিন্তু আমার দেশ থেকে শুরু করে নবযুগ, এই যে যার অভিমত বা দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ নয়, তাকে কোনো কথা-ই বলতে দেবো না, এটা কী ধরণের মনোভাব? কোনোভাবেই সুস্থধারার মনোভাব নয় বলা যায়। অথচ আওয়ামী লীগের এই সমস্যা আজকের নয়। ৭২-৭৫ এর দিকে তাকালেও একই ঘটনা দেখা যায় এবং বর্তমান সময় ঐ বাকশালী কাঠামোর পুনরাবৃত্তি বৈ তো কিছু নয়। অথচ বর্তমান সময় তখনের চেয়েও খারাপ। এখন কোনো বিরোধী দল নেই, বা তাদের অস্তিত্ব রাখা হয়নি। সরকারের জন্যে বিরূপ হতে পারে এমন সংবাদ, সাংবাদিক ও সংবাদ-প্রকাশকদেরকেও জিম্মি করা হচ্ছে। রবিউল সাহেবের মতো আইনজীবীরা যদি দলীয় স্বার্থে ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে এধরণের কুটিলতার আশ্রয় নেন, তাহলে সেটি আইনজীবী পেশাকে অত্যন্ত নিঁচু একটা জায়গায় নিয়ে যায়। আমি ব্যথিত, হতাশ এবং রাগান্বিত। শেখ পরিবার আমাদের এই দেশ ধ্বংস না করে ছাঁড়বেনা বলেই দেখা যাচ্ছে। এদের উৎখাত অবিলম্বে প্রয়োজন।”
মোঃ আশিফ হোসাইন (৩৩ / যাত্রাবাড়ী, ঢাকা) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) – “আপনাদের মার্চের অসাধারণ প্রতিবেদনটিকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা-তে নিজের ভাবনা, দুঃখ, ক্রোধ ও সমবেদনা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারছিনা। ঐ চমতকার প্রতিবেদনটিতে আমার নিজের-ও একটা মন্তব্য ছাঁপা হয়েছিল এবং আমি যখন জানতে পারলাম যে ঐ লিখার কারণে আপনাদের ও আমাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। মানুষের সত্য ভাবনা তুলে ধরার অপরাধে যদি এমন অন্যায় এর মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে এই হাসিনা সরকারকে লাথি মেরে ফেলে দেয়া উচিত। r যে দেশে এরা সামান্য সমকামী এবং ট্রান্সসেক্সুয়্যালদের নূন্যতম অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি, বরঞ্চ আমাদের মতো সাধারণ জনতার মতামত তুলে ধরার কারণে একটা সংবাদ-মাধ্যমের বিরুদ্ধে এবং আমাদের মতো মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে, সে-ই সরকারকে ধিক! সে সরকারের আদিপিতাকেও ধিক্কার! শেখ পরিবার আর কতো ক্ষতি করবে এই বাংলার? যে আইনজীবী মামলাটি দায়ের করেছেন, তাকে বিবেকশূণ্য ছাঁড়া কিইবা বলার আছে? আমি আপনাদের সাথে আছি।”
মুমিনুর রাজা চৌধুরী (৪০ /ওসমানীনগর, সিলেট) – “সশ্রদ্ধ সালাম জানবেন। আমি একজন নিবিড় শুভানুধ্যায়ী পাঠক আপনাদের চমতকার সাহসী পত্রিকার। আমি খুবই হতাশ ও দুঃখিত বোধ করেছি আপনাদের নামে মামলা হওয়ার খবর পেয়ে। আপনারা কী তাহলে আপনাদের পাঠকদের স্বার্থ ও মতামত তুলে ধরবেন না? কারণ সেটা করতে গেলে আপনি এবং আপনার পাঠকেরা মামলা খেয়ে যেতে পারেন রবিউল আলম জুয়েলের মতো বঙ্গবন্ধু তোষকদের কাছ থেকে। ভয়াল থাবা সরকারী ক্ষমতার গ্রাস করতে চায় আমাদের! শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বাংলাদেশের সর্বশেষ দুই শত্রু। এরা ভন্ড, অসৎ, শঠ, হত্যাকারী এবং মোটেও বাংলাদেশ প্রেমী নয়। এদের গুড়িয়ে দিতে হবে। আপনাদের অকুতোভয় সাংবাদিকতা ছাড়া এই অত্যাচারের জবাব দেয়া সহজ হবে না। শেখ হাসিনা কুশপুত্তলিকা দাহ করার জন্যে বাংলার মানুষ দুনিয়াজুড়ে মুখিয়ে আছে।”
মোঃ রেজাউল ইসলাম (২৮ /গোলাপগঞ্জ, সিলেট)- ‘আমি দৈনিক নবযুগের দীর্ঘদিনের পাঠক ও শুভাকাঙ্খী। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে লক্ষ্য করছি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নমত তুলে ধরবার কারণে এই পত্রিকা ও এর পাঠককূল ও কন্ট্রিবিউটরদের সরকারী দলের রোষানলের শিকার হতে হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আরো মর্মান্তিক এবং বাংলাদেশের ক্রান্তিকাল নির্দেশ করে বলে মনে করি। আল–জাজিরা, মুশকার হত্যা এবং আরো বিবিধ বিষয়ে মানুষের সত্য যে মতামত বা মনোভাব, তা নির্ভীক সাহসিকতার সাথে ক’টি পত্রিকা তুলে ধরতে পেরেছে? বা তুলে ধরলে এর কারণে খারাপ পরিণতি বরণ করতে হয়নি? খুব বেশি কী? মনে হয় না। শেখ পরিবারের খেলনার পুতুল তো নই আমরা যে তারা যা খুশি করবেন। শেখ মুজিব অসংখ্য ভুল ও ব্যার্থতার মাশুল আমরা এখনো দিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনার যেখানে সাইকোথেরাপি নেয়ার কথা, সেখানে সে কিভাবে একটা প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পায়? শেখ মুজিবকে প্রতিটি সরকারী কাগজে ছবি আঁকারে ছাঁপানোর যে উন্মাদনা সেটি ওনার তথাকথিত (জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া) জাতির জনক পদবীর অমর্যাদা করে। আমি এই পরিবারকে চোর–ডাকাত ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনা গত দুই নির্বাচনের গণচুরি দেখে। জেনারেল আজিজ–এর ঘটনা পড়ে যে কেউই বুঝতে পারবে সে নির্বাচন জেতার জন্যে সবচেয়ে বড় ডাকাতের ভূমিকা পালন করেছে। এখন এইসব ব্যাপারে যদি কেউ মতামত দেয়, তাহলে অদ্ভূত সব আইনের অধীনের মামলা দিয়ে দিচ্ছে। মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে কিছু কী আছে আর? জানিনা। স্বদেশ এখন হায়েনাদের আখরা। বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদ নামক অর্থহীন চাটুকারমূলক সংগঠন এবং এদের সেখানে জায়গা পাওয়া একেবারেই বোগাস আইনজীবীরা (জুয়েল লোকটা যেমন) দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করে! হায় সেলুক্যাস! দৈনিক নবযুগের প্রতি আকুন্ঠ সমর্থন জানাই এবং বাকি সংবাদমাধ্যমগুলোকেও এগিয়ে আসতে বলি এই অবৈধ সরকারের মুখোশ উন্মোচনে এবং গণসচেতনতা তৈরিতে।’
মোঃ আল আমিন কায়সার (ধানমণ্ডি, ঢাকা) (মার্চ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী) “আপনাদের সাড়া-জাগানো আল-জাজিরা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আমার মন্তব্য নির্বাচন করেছিলেন দেখে আমি খুবই প্রীত। খুবই হতাশ হয়েছি ঐ লিখার কারণে দৈনিক নবযুগ এবং আমাদের মতো মন্তব্যপ্রদানকারী ও অংশগ্রহণকারীদের সরকারী রোষানলে পড়তে হয়েছে। আমার নিজের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার বিরূদ্ধে একাধিক মামলা আছে বাংলাদেশে যদিও যে ঘটনাগুলোর সূত্র ধরে মামলাগুলো হয়েছে, সেসময়ে আমি দেশেই ছিলাম না। এ-সত্বেও আমার বিরূদ্ধে বিএনপির সমর্থক-কর্মী হিসেবে মামলা হয়েছে, এবং তা চলছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে সশস্ত্র বিপ্লব না হলে এই আওয়ামী সরকারের পতন গণতান্ত্রিকভাবে সম্ভব হবে না। কিন্তু সে বিপ্লব হবে কিভাবে যেখানে সেনাবাহিনীর শীর্ষে রয়েছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং পুলিশ কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় মুশতাক আহমেদ এর মতো লেখককে মেরে ফেলছে। এমাতাবস্থায়, দৈনিক নবযুগ এর মতো পত্রিকা যদি গণমত ও জনমত তুলে ধরতে না পারে, তাহলে এই আওয়ামী দুঃশাসন কিভাবে আমাদের প্রভাবীত করছে, তা কিভাবে তুলে ধরা হবে? শেখ হাসিনা এবং তার বাকি পরিবার, শেখ মুজিব সমেত, বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছে এবং এর মুক্তির জন্যে আমাদের এই পরিবারকে উতখাত করতে হবে। ১৯৭৫ যদি আবারো জন্মাতে হয়, আমি তার সপক্ষে। কিন্তু এর হাল ধরবে কে? আমি তারেক রহমান ছাড়া আর কাউকে দেখি না। কিন্তু এই মতটুকু আমি যদি নবযুগ বা অন্য কোথাও স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে না পারি, করতে গেলেই যদি আমার বিরূদ্ধে ওঁত পেতে থাকা আওয়ামী আইনজীবী দুর্বৃত্ত, রবিউল আলম জুয়েলের মতো মামলা ঠুকে দেয়, তাহলে সে জীবন কেমন জীবন? আপনাদের আমার হাজার সালাম। আপনারা এগিয়ে যান। মামলা হয়েছে, হবে, কিছু যায় আসে না। মুক্তিযুদ্ধ চলবে।”
এম.ডি মারাজ মিয়া (২৭ / টাঙ্গাইল) “আমি একসময় আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করতাম। গত এক দশকে এদের কাজ-কারবার দেখে এদের আর সমর্থন করতে পারি না। আপনাদের ওপর যে ভয়-ভীতি, অন্যায় জুলুম করছে তা নতুন কিছু নয়। এগুলো একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের জ্বলন্ত উদাহরণ। শেখ পরিবারের বাংলাদেশকে নিজস্ব সম্পত্তি ভাববার প্রবণতা নস্যাত করে দিতে হবে। এজন্যে এদের যেকোনো ভাবে গদি-ছাঁড়া করতে হবে। এটি রাজনৈতিকভাবে না হলে, বলপ্রয়োগ করে হলেও করতে হবে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে অর্জিত। এরশাদের স্বৈরশাসনের অবসান-ও রক্তাত আন্দোলনের ফসল। ৯৬’-এর আন্দোলন-ও উদাহরণ হিসেবে দেখানো যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবার জন্যে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে যদি বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্যে নিকেশ করে দিতে হয়, সে-ই সই। আর যে লোক ঐ মামলা দিলেন, তাকে রাজাকার-দের মতো করে ট্রিট করা হবে। সাধু সাবধান!”
দিলদার আলী (৩৯ / মৌলভীবাজার, সিলেট)- ‘সম্প্রতি আপনাদের সাংবাদিকতার কারণে হেনস্থা ও হয়রানি হওয়ার ঘটনা আমার এবং আমি জানি আমার মতো অনেকের নজর এড়াইনি। আপনারা মানুষের সত্য মনোভাবনা তুলে ধরছেন বলে আজ এই অবস্থা। তবে আওয়ামী সরকারের বিরূদ্ধে সত্য কথা যারাই লিখেছেন, তারা কেউই ভালো নেই, বা ভালো থাকতে পারেনি। প্রথম আলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় এই ব্যাপারটি। মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা আমাদের সংবিধান নিশ্চিত করেছিল, সেটা এখন অর্থহীন এই জালেম সরকারের কাছে। আমরা এখন একটি পারিবারিক গণতন্ত্রের মধ্যে আছি। সেটি বিএনপি ও আওয়মী লীগ দুই পার্টির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাংলাদেশকে ধ্বংস করবার ক্ষেত্রে এই দুই দলেরই ভূমিকা অসীম। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন চুরি, মহামারী আকারে ভোট–ডাকাতি, স্বজনপ্রীতির অসংখ্য উদাহরণ যেখানে আওয়ামী লীগের নিজস্ব লোকজন শত বা হাজার কোটি টাকা নিয়ে ধরা পড়ছেন নিজেদেরই অন্তঃর্দন্দ্বের কারণে। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো সম্পূর্ণ চাটুকারবৃত্তি–নির্ভর সংগঠনের যারা পদবীধারী, তারাও আজকাল মামলা দিচ্ছে আপনাদের মতো সৎ সাংবাদিকদের বিরূদ্ধে এবং কোমর–ভাঙ্গা বিচারকরা এইসব মামলা লুফে নিচ্ছে সরকার–তোয়াজী লালসায়। আপনারা আরো সাহসী হয়ে লিখুন। এই মস্তিষ্কবিকৃত হাসিনা ও তার পরিবারের সমস্ত জারিজুরি ফাঁস করে দিন। মানুষ জানুক। বঙ্গবন্ধু যে আসলে একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন, সেকথা কী একটা আলোচনায় তোলা যাবে এখন? যাবে না কারণ শেখ মুজিবকে পয়গম্বর বানিয়ে দিয়েছে এই পৈশাচিক শেখ পরিবার। অথচ শেখ মুজিব পয়গম্বর কেন, একজন অত্যন্ত নিম্নমানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং হাসিনার মতোই স্বজনপ্রীতিতে দুষ্ট ছিলেন। ইতিহাস তুলে ধরুন; এইসব বঙ্গবন্ধু আইনজীবীদের মাজা ভেঙ্গে দিন! ইতিহাস আপনাদের সালাম দেবে।’
এম ডি শাইম (২০, দক্ষিন খান, ঢাকা), বলেন -‘আল জাজিরার ভিডিও দেখে আমি নির্বাক হয়ে গেছি। আমার মনে হয় দেশের মানুষের কিছু একটা করা উচিত। আর কতো এগুলো সহ্য করা যাবে? মুশতাক লোকটাকে মেরেই ফেলল! আমার দল বিএনপি আর রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে পদে পদে দমন নিপীড়ণ করলো এবং হত্যা করলো। এখন দেশে আর বিএনপি জামায়াত নেই। এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু। এই জালেম সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ভাওতা ধরে, এই সাইবার ট্রাইবুন্যালের পিশাচ, ইতর, ঘুষখোর বিচারকদের ব্যবহার করে জুলুম নির্যাতন করছে অকথ্য। সময় এসেছে আবারো এই শেখ পরিবারকে চিরতরে বিনাশ করার। এক মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জেলখানায় বসে বসে বাতাস মারা ছাড়া এরা কী করেছে দেশের জন্যে। ধিক এদের! হত্যার রাজনীতি চাই না, কিন্তু শেখ পরিবারকে ফাঁসিতে তোলা হোক! একই সাথে ঐ জুয়েল নামক লোকটাকে আইনপেশা থেকে বহিষ্কার করা হোক!’
শাহরিয়ার মোঃ নাফিস খান (৩২ / ঢাকা, বাংলাদেশ) যুগ্ম সম্পাদক, লন্ডন মহানগরী যুবদল (যুক্তরাজ্য বিএনপি)- ‘সাম্প্রতিক কিছু মিডিয়া রিপোর্টে আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতার নমুনা দেখে চমৎকৃত এবং মুগ্ধ হয়েছি। আল–জাজিরা, মুশতাক–মৃত্যুতে আপনাদের নির্ভীক লেখনী এবং আপনাদের পাঠকদের নিঃসঙ্কোচে তুলে ধরা মনোভাব বাংলাদেশের মৃত গণতন্ত্রের ব্যাপারে আমাকে এবং আমাদের মতো যারা বাংলাদেশের সুস্থ ও সঠিক ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনার জন্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি বিএনপির হয়ে। কিন্তু যে রাষ্ট্রে এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিষিদ্ধ, সেখানে সঠিক সংবাদ বা তথ্য তুলে ধরাটাও আপনাদের জন্যে বিপদ এবং আপনাদের বিরূদ্ধে একের পর এক মামলা সেটির–ই সুনিশ্চিত ইঙ্গিত বহন করে। শেখ মুজিবকে জাতির পিতা হিশেবে হাজির করবার যে প্রাণান্তকর চেষ্টা, তা আসলে আমাদের জাতিকে লাথি মারা ছাড়া কিছু নয়। কারণ, যে ব্যাক্তি পাকিস্তানের প্রধান হতে চেয়েছে, সে বাংলাদেশের জাতির পিতা হয় কী করে? শেখ হাসিনা ও তার হায়েনাসুলভ ব্যক্তিত্ব দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে চলছে এবং এদের পুরো বংশকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুঁছে না দিলে আমাদের সোনার বাংলা আওয়ামী দুঃশাসিত বাংলা হবে। আপনারা আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতা চালিয়ে যান। অবৈধ জালেম সরকারের নির্বাচন ও ভোটচুরি এবং সীমাহীন দুর্নীতির বিরূদ্ধে ও এইসব পা–চাটা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নামক সংগঠনের আইনজীবীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্যে জনমত গড়ে তুলুন। এই কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, বিএনপির শাসনামলে অনেক ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে, কিন্তু এমন অরাজকতা, এমন মাফিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিলো না, থাকবে না।’
শামীম আল মামুন (৩২ / টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ)- ‘আমি খুবই সংক্ষিপ্তাকারে আপনাদের কিছু কথা জানাতে চাই। আপনাদের আল-জাজিরা এবং অন্যান্য ইস্যুতে লেখা পড়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ নিজেদের কন্ঠস্বর ফিরে পেয়েছি বলে মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ধ্বংসের মুখে পতিত। পতিতা হাসিনা ও হায়েনা শেখের পরিবার আমাদের সমস্ত মান-সম্মান ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্র তো নেই, এখন স্বৈরতন্ত্র চলছে। আপনারা এইসব অরাজক বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো তুচ্ছ, হিংস্র ও চাদাঁবাজ অ-সংগঠনদের দ্বারা আনীত মামলায় কাবু হবেননা। ঐ রবিউল জুয়েল একটা নরপশু। কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চায় দুর্নীতি করে। সেকারণেই মামলা করেছে সরকারী কৃপা পাওয়ার তাগিদে। আমরা সবই বুঝি। সবই জানি। এইসব চৈনিক গণতন্ত্র শেখ পরিবারের অভ্যেসে পরিণত হয়ে গেছে। বাকশালী গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা। এদের কঠোরভাবে রুখে দিতে হবে। জেনারেল আজিজদের বংশ ধরে নির্বংশ করে দিতে হবে যেন ভোটচুরি, জান-কবজের ব্যবসা আর করতে না পারে এই সাইকো শেখ পড়িবার। অপেক্ষায় আছি আপনাদের মতো আরো সাহসী সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন এবং এই অবৈধ একনায়িকাতন্ত্রের অবসান ঘটবে।’
আহসানুল কবির, (৩৫, পালং, শরীয়তপুর) বলেন,- ‘এই শেখ হাসিনাকে তার পরিবার সহ রাজনীতি থেকে সরিয়ে না দিলে দেশের মুক্তি আসবে না এবং সেটা আশা করাটাও হবে বোকামী। আমি মনে করি বাংলাদেশ আর্মি কিছুদিনের জন্য ক্ষমতায় এসে একটা নির্বাচন দিয়ে দিলেই এই অচলাবস্থা থেকে আমরা মুক্তি পাবো।আর এই বঙ্গবন্ধু আইনজীবীর মতো ভন্ড সংগঠনের জুয়েল নামক আইনজীবীকে কচুকাটা করা হবে সময়মতো।’
মোঃ মিজানুর রহমান (৩৭ / দিনাজপুর, বাংলাদেশ; বর্তমানে লন্ডন, যুক্তরাজ্য)- ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করবো এতসব বিপদ–আপদ দেখে ভড়কে না যাওয়ার জন্যে। এই যে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, এরা যে মামলা করলো, এদের তো কোনো নৈতিক/সাংবিধানিক বৈধতা নেই। এরা ভুইফোঁড় তোষকের দল। আমার সন্দেহ হয় এরা আসলে আইনজীবী কি–না। খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে ঐ মামলার বাদী (জুয়েল মনে হয় নাম) নিজেই একজন বিশাল চোর/বাটপার এবং চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। ঠিক শেখ পরিবারের মতো। বাংলাদেশকে শুষে নিয়েছে এবং চুরি/বাটপারি করে যাচ্ছে। জেনারেল আজিজের মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে সেনাবাহিনীর প্রধান বানিয়েছে নির্বাচন–চুরির ব্যাপারটা সহজ করবার জন্যে। এই আজিজের পুরো পরিবার হলো খুনী/চাঁদাবাজ। এটা কেনা জানে? শেখ মুজিব ছিলো পাকিস্তানের ক্ষমতার জন্যে লালায়িত। বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বুলি দেয়া ছাড়া সে কিইবা করেছে? শুধু নিজের প্রেসিডেন্ট হওয়ার খায়েশ মেটানোর আকাঙ্খা ছাঁড়া কিছুই দেখিনা আমি। বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে মুক্তিযোদ্ধারা, আমাদের মা–বোনেরা। এই শেখ পরিবার নয়। এইসব কথা নির্মোহভাবে আলোচনা করবার জো আছে? সামান্য সমালোচনামূলক কথা হলেই, তা যতো গঠনমূলকই হোক না কেন, মামলা দিয়ে বসবে। বিবিসির খবরে দেখলাম গত ১২ বছরে ৩৫ লাখ বিএনপি/জামায়াত এর নেতা–কর্মীদের বিরূদ্ধে মামলা দিয়েছে। এই পরিশ্রমটুকু মানুষের মঙ্গলে করলে দেশটা বর্তে যেত। কিন্তু এই মনোবিকারগ্রস্ত হাসিনার পরিবার যতদিন থাকবে দেশে, শান্তি আসবে না। তাই বলে আপনারা আপনাদের কলম থামাবেননা। আপনারা আছেন বলেন এখনো দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি।’
সুলতানা জেবুন্নেসা (৪৩ / ঢাকা, বাংলাদেশ)- ‘সালাম জানবেন। আপনাদের পত্রিকার মাঝে মাঝেই দেখি এবং আপনাদের সংবাদ প্রকাশের ধরণ খুবই ভালো লাগে। আপনাদের বিরূদ্ধে তথাকথিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো একদমই অথর্ব এবং তোষনকারী একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মামলা করলো আর এতে কার বা কাদের লাভ হলো বা হবে? এই জুয়েল নামক সম্পাদক তার নিজের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্যে, বা আওয়ামী নাম খাটিয়ে চাঁদাবাজি করবার জন্যে এই মামলা করেছে এবং সরকারপক্ষ এই মামলাগুলো লুফে নিচ্ছে যেকোনো বিরূদ্ধমত দমন করবার জন্যে। আদালতগুলোও আওয়ামী আদালতে পরিণত হয়েছে। আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতা আমার মতো ভুক্তভোগীকেও সাহস জুগিয়েছে। আমি বাংলাদেশে থাকাকালীন দুর্বৃত্তদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছি, হয়রানির শিকার হয়েছি কিন্তু প্রতিকার পাইনি। গত এক যুগ দেশে ফেরত যাওয়ার সাহস সঞ্চয় করে উঠতে পারিনি কারণ আমাকে নিপীড়ণ করা দুর্বৃত্তরা এখন বহাল তবিয়তে আছে। ছাত্রলীগের ছেলেদের মেয়ে/নারীদের সম্ভ্রমহানির যেসমস্ত ভয়াল কাহিনী উঠে এসেছে, তাতে আমার মতো ভুক্তভোগীদের দেশে ফিরে যাওয়া মানে নরকে ফিরে যাওয়া। তবু দেশকে ভালবাসি। শেখ হাসিনার মতো পিশাচ তো নই যে পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষ খুন করে বেড়াবো! আপনারা আপনাদের সাহসী কর্মকাণ্ড অটুঁট রাখুন। আমরা আছি। একদিন বাংলাদেশ এই মানসিক-বিকারগ্রস্ত তথাকথিত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাবে।’
সামিউজ্জামান সিদ্দীক (৪০, বাসাবো, খিলগাঁও, ঢাকা) – ‘আমি কিন্তু একদমই অবাক বা বিস্মিত হইনি এই ধরণের ঘটনাপ্রবাহে। আদালতগুলো মুখিয়ে আছে সরকার-তোষণ করবার জন্যে এবং দেশপ্রেমীকদের বিরূদ্ধেও রাষ্ট্রদোহীতার মতো গুরুতর অভিযোগ আমলে নিয়ে এই শ্রেণীর বিচারকেরা তাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে উদগ্রীব। আর, বঙ্গবল্টু আইনজীবী পরিষদ নিয়ে কী বলবো? কয়েকদিন পর এরা শেখ মুজিব কোন শার্ট পড়তেন, সে-ই শার্ট খুঁজে বের করে ঐটা নিয়েও একটা সংগঠন খুলে বসবে। জুয়েল টাইপের তথাকথিত আইনজীবীদের আইন পেশা থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ এবং আইন পেশার সাথে যুক্ত কাউকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করতে দেয়া উচিৎ হবে না। আওয়ামী মুখোশ খসে পড়তে আর বেশি দেরী নেই। শেখ পরিবারের বিকৃতি আরো পরিষ্কার হবে জনগণের কাছে। ইতিহাস আপনাদের পক্ষে আছে। এগিয়ে যান।’
এমডি সাব্বির হোসাইন, সম্পাদক, পোর্টাল বাংলাদেশ (৩০, রাজবাড়ী, ঢাকা – বর্তমানে প্রবাসে) – ‘আপনাদের এ-বছর মার্চে প্রকাশিত আল-জাজিরা শীর্ষক লেখায় আমার-ও একটি মন্তব্য ছাঁপা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রদোহীতার মামলায় আমিও একজন হতভাগ্য আসামী। অথচ আমি নিজে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। পোর্টাল-বাংলাদেশ এর সম্পাদক হিসেবে আছি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সাথেও সংযুক্ত সক্রিয়ভাবে। নিজস্ব মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করে আসছি বলে আমার নামে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। এমনকি আমার পত্রিকার ওয়েবসাইট এখন আওয়ামী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বন্ধ হয়ে রয়েছে যেটা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী ছাত্র পরিষদ নামক সংগঠনকে কোনোরকম মর্যাদা দেয়া লজ্জাজনক। এটি নামকাওয়াস্তে সংগঠন কিন্তু আসলে চাদাবাজির আখড়া। এইসব সংগঠন ও সাংগঠনিক পদ ব্যবহার করে জুয়েলের মতো ক্ষমতালিপ্সু ও অর্থলিপ্সু লোকেরা এইসব মামলা দায়ের করে আওয়ামী লীগে বড় পদ পেতে চায়, টেন্ডারবাজি করবে, ধান্দাবাজি করবে – এইসব কারণে। এদের নির্ব্বংশ করা দরকার, যে জিনিসটিতে একটি পরিবারকে নিয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে একবার ভুল করেছে এবং যার খেসারত আজব্দি দিয়ে চলতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। এমন অবস্থায় আপনাদের সাহসী কন্ঠস্বর আমার মতো সৈনিকদের প্রেরণা যোগায়। আপনারা এগিয়ে যান। সাথে আছি।’
এমডি জহিরুল ইসলাম (৩৩, বরিশাল) – ‘আমি আসলে বাকরূদ্ধ হয়ে গেছি কিভাবে একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে। বাংলাদেশের সাথে স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর পার্থক্য কোথায়? এটা ওপেন সিক্রেট যে আওয়ামী (চোর) লীগ গত দুটি নির্বাচন ডাকাতি করেছে। শুধুমাত্র এর আগের নির্বাচনগুলোতে ভোট-শেয়ার দেখলেই এটা বুঝতে পারবেন। আওয়ামী-ভোট ব্যাংক বলতে যে আসনগুলোকে বোঝানো হতো, সেখানেও কিন্তু বিএনপির সম্মানজনক ভোট-শেয়ার ছিল, থাকতো এবং ভাইসভারসা। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভোট-শেয়ার দেখুন! তাহলে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যায়। বাংলাদেশে উন্নতির একমাত্র উপায় আওয়ামী লীগ করা এবং অন্তর্দলীয় কোন্দল অতিক্রম করে কোনোভাবে লাভজনক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা। আমি আপনাদের বিরূধে রাষ্ট্রদোহীতার মামলা ঠুকে দেয়া আইনজীবী জুয়েলের ওপর অতো কঠোর হতে চাইনা। কারণ ভালমতো খোঁজ নিলে দেখা যাবে সে নিজেও আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে কিন্তু নিজের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করবার জন্যে এধরণের পা-চাটা টাইপের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। আমি আশা করবো বাংলাদেশের মানুষ এই পিশাচগুলোকে মনে রাখবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আর এই হায়েনা শেখ পরিবারের কবলে পড়তে দেবেনা।’
আল মাহফুজ (২৪, বড়লেখা, মৌলভীবাজার, সিলেট) – ‘সৎ সাংবাদিকতার কারণে যদি আজকে রাষ্ট্রদোহীতার মতো অভিযোগে অভিযুক্ত হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশ ধ্বংস করবার জন্যে শেখ হাসিনা, তার পরিবার, তার দোসরেরা – এদের তো প্রকাশ্য দিবালোকে শিরোচ্ছেদ করা উচিৎ। কী বিচিত্র এই পরিস্থিতি! কী ভয়ংকর এই জিম্মি দশা আমাদের!’
পীরজাদা তানভীর আহমেদ (২৪, সিলেট) – ‘আমারো মামলা করতে ইচ্ছে করে শেখ হাসিনার বিরূদ্ধে, শেখ রেহানার বিরূদ্ধে, যে আওয়ামী জালেমেরা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, যে আওয়ামী মাফিয়ারা বাংলাদেশ ব্যাংক-এর হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, মুশতাক আহমেদের জামিন না কারাবরণ করা ও জামিন না হওয়ার জন্যে যে আওয়মী পৃষ্ঠপোষকেরা দায়ী, – তাদের বিরূদ্ধে দূর্নীতির কারণে, দেশকে ডুবিয়ে দেয়ার কারণে, হত্যার কারণে। জুয়েল সাহেব এবং বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদকে বলছি, করবেন এই মামলাগুলো? বিনিময়ে দূর্নীতি করবার মতো, চাদাঁবাজি করবার মতো সুযোগ কিন্তু করে দিতে পারবো না।’
এম ডি ওবায়দুর রহমান খান – ‘এইসব সন্ত্রাসী আইনজীবীদের আইন পেশা থেকে বিদায় নেয়া উচিৎ। এরা আইন পেশার অবমাননা ছাড়া কিছু নয়। হাসিনার ভোটচুরি করবার জন্যে জেনারেল আজিজের মতো সন্ত্রাসীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে সুবোধ পোষ্য ভৃত্যের মতো নির্বাচন রাহাজানি করে এনে দিয়েছে। লেখক মুশতাক কেন ক্যাপশন লিখলেন আওয়ামী পৃষ্ঠপোষোককে নিয়ে? তারা মেরেই ফেললো! এইসব নিয়ে আপনি গোসসাও করতে পারবেন না। করলেও সেটা মনের মধ্যে পুষে রাখতে হবে। কেন? কারণ এইসব ব্যাপারে যদি আপনার অসন্তোষ প্রকাশ করেন, তাহলে এডভোকেট জুয়েল মামলা দিয়ে বসবে আপনার বিরূদ্ধে। তাও যেন-তেন মামলা না। আপনাকে এক্কেবারে রাষ্ট্রদোহী বানিয়ে দেবে। সুতরাং, আপনারা কেন এইসব লিখা ছাঁপান। আপনাদের আক্কেল নেই? স্যাটায়ার এর চেষ্টা করলাম ভাইসব। কষ্টে, দুঃখে। একদিন এই আইয়ামে আওয়ামী জাহেলিয়ার অবসান ঘটবে। সেদিনের অপেক্ষায় আপনাদের সাথে আছি।’
মোহাম্মদ আরাথ হোসেন রনি – ‘খুনী হাসিনা ও তার আদেশে মহা-আনন্দে খুন করে চলা আজিজ পরিবারের বিরূদ্ধে কথা বলেছি বলে রাষ্ট্রদোহী মামলার শাস্তি? বাহ! খুনীকে সম্মান করা হয়তো আওয়ামী কেতা, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এই খুনীদের উৎখাত করবেই এবং একদিন শূলে চড়াবে। বিশেষ করে গণতন্ত্রকে এভাবে নষ্ট করবার শাস্তি এরা পাবেই। শেখ পরিবার গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। করলে বাকশাল করে না, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ডাকাতি করেনা। আল-জাজিরাকে সাধুবাদ। মুশতাককে সালাম। দৈনিক নবযুগ যুগ যুগ জীয়ে। আর বঙ্গশত্রু আইনজীবী পরিষদ ও জুয়েল বাটপার নিপাত যাক!’
নুরুল হুদা (২৯, সুনামগঞ্জ) – ‘কিছু বলবার নেই। আপনাদের সাথে আছি। সবসময় থাকব যতদিন আপনারা এই খুনী দূর্নীতিপরায়ন আওয়ামী দুর্বৃত্তদের ইঙ্কলুডিং এই ভুঁইফোড় বঙ্গবল্টু (বে)আইনজীবী পরিষদ, মুখোশ খুলে দেবার সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আপনারা যদি রাষ্ট্রদোহী হয়ে থাকেন, আমি যদি হয়ে থাকি, তাহলে বাংলাদেশের সবকটা দেশপ্রেমী লোক রাষ্ট্রদোহী। আমার প্রিয় বাংলা হায়েনা হাসিনা ও তার দোসরদের কবলে। আপনাদের সাহসিকতা আমাদের পাথেয়।’
উম্মা কুলসুম নারগিস বানু (৩৯, বনানী, ঢাকা) – ‘আমি আবারো বলছি আল-জাজিরার উচিৎ বাংলাদেশে আওয়ামী দুর্নীতির পুরো চিত্র তুলে ধরা আরো কিছু পর্বে। হাসিনা একজন খুনী, এই ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী সরকার অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের জন্যে দায়ী। অরাজনৈতিক মৃত্যুর জন্যেও। মুশতাক সাহেবের মৃত্যু হাসিনা পরিবারের রক্তলিপ্সাকে নিশ্চিত করে। এমন অত্যাচার দিনের পর দিন করে যাবে, আর একটা কিছু বললে লিখলে আমরা রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে গেলাম? হাসিনা আর শেখ পরিবার হলো সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রদোহী পাষণ্ড। এদের ঝাড়ে-বংশে নির্মূল করা উচিৎ এইসব ভুইফোঁড় বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সাথে।’
নুরুল ফারুক শাকের, (৩৫, সিলেট,বড়লেখা) – ‘আরেকটা বিপ্লব হচ্ছে না কেন? রক্তাক্ত বিপ্লব? কেন আমরা এমন মিইয়ে গেছি। হাসিনা আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে আজকের পাকিস্তানি হানাদার। রাষ্ট্রদোহী যদি হয়ে থাকি আমি হাসিনার পতনের ডাক দিয়ে, তাহলে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রদোহী। এইটা তো ঐ পাঁঠা বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের জুয়েল উন্মাদ বুঝবে না। ঘেন্না হয় এসব নরকের কীটের প্রতি!’
মোহাম্মেদ নিজামুল হক (৪৬, ফিরিঙ্গিবাজার, চট্টগ্রাম / বর্তমানে স্টকহোম, সুইডেনে) – ‘দৈনিক নবযুগ পত্রিকাটি ফলো করছি বেশি দিন নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে তো বাংলাদেশে এখন আর কিছু নেই, যেকারণে বাংলাদেশে মনে হয়না একটাও নিরপেক্ষ বা শক্তিশালী সংবাদপত্রিকা খুঁজে পাওয়া যাবে এখন। প্রথম আলোর বর্তমান সঙ্গীন অবস্থা দেখে কোনো সন্দেহ করবার অবকাশ মনে নয় নেই যে এই সরকার এবং সরকার-দল কোনো সমালোচনা বা বিরোধীতা সহ্য করে না এবং করবে না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বা সরকারকে অপছন্দ যারা করেন তাদের ক্ষেত্রে অসংখ্য রাজনৈতিক মামলা, গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক গুপ্ত হতা ও গুম হত্যা, হয়রানি, হেনস্থা, নিপীড়ন, জুলুম – আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও রক্তলিপ্সাকে নির্দেশ করে। আমি নিজে আজ বিদেশ বিভুঁইয়ে যদিও কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কম অত্যাচার সহ্য করিনি দেশে। আমার পরিবার এখনো আওয়ামী হেনস্থার শিকার। এখনো শুনি আমার বিরূদ্ধে নাকি বিভিন্ন মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিএনপি করি, সে-হিসেবে আমার ওপর এই অত্যাচার হয়তো নিষ্ঠুর আওয়ামী আমলে জায়েজ। কিন্তু আপনাদের সাথে যা করা হচ্ছে তা ভয়ংকর অন্যায়। রাজনৈতিক শোষণের একটা সীমা আছে। কারণ আপনারা সরকার-পক্ষীয় মতামত এর বাইরে গিয়ে জনমানুষের মতামত তুলে ধরছেন সরাসরি এবং সরকারের ব্যার্থতাগুলো চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশকে সঠিক পথে আগানোর কাছে সহায়তা করছেন। এটি রাষ্ট্রদোহীতা? তাহলে রক্ষীবাহিনী বা বাকশাল কি ছিল? ২০১৮ সালের নির্বাচন? এগুলো কোনো সুস্থ সমাজের উদাহরণ হতে পারে? যে আওয়ামী-চাটুকার এই মামলা দায়ের করেছেন এবং যে বিচারক এই মামলা তত্বাবধান করছেন, তাদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া কিছুই নেই। অনেকেই দেখলাম বলেছেন শেখ পরিবার চলে গেলে সব সমস্যার সমাধান হবে। কিছু উপকার হয়তো হবে, কিন্তু যতদিন এই শেখ মুজিবীয় আদর্শ চলমান থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ স্বৈরতন্ত্রের কবলে থাকবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা লাগবে। এই দল আমাদের কিছুই দেয়নি লুটপাট ও হত্যা ছাড়া। আপনাদের স্বাধীন সাংবাদিকতা জারি থাকুক।’
মোহাম্মদ ফাহিদুল আলম – ‘আমি নিজে একসময় মুজিবীয় আদর্শে বিশ্বাস করতাম। মুক্তিযুদ্ধের কারনে আওয়ামী লীগের অনেক ভুল ত্রুটি উপেক্ষা করেছি। কিন্তু ২০১৮ এর নির্বাচনে দুর্নীতির যে মহড়া আমি দেখেছি, আল-জাজিরার রিপোর্টে ক্ষমতার অপব্যাবহার, রাজনৈতিক নিষ্ঠুরতার আর চুরির যে নমুনা আমি দেখেছি, আমার সমস্ত বিশ্বাস উঠে গেছে। আমি পরিবর্তন চাই। সেটি বিএনপি হোক, তা চাই না। কিন্তু আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান চাই। শেখ হাসিনার শেষ দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের মতো শয়তান সংগঠনের বিলুপ্তি চাই এবং এর সদস্যদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড় করানো হক। আপনাদের সাহসী সাংবাদিকতা অক্ষুণ্ণ থাকুক, সেটি চাই।‘
এমডি কানজীদ হাসান (উত্তরা, ঢাকা) — “আমি আসলে এই ধরণের ঘটনায় আর অবাক হই না। দেখছি এই আওয়ামী হায়েনা হাসিনার সরকার কত নীচে নামতে পারে। যে মহিলার মনোবিকার খুবই স্পষ্ট তাকে নেত্রী মেনে দেশ চলতে বাধ্য হচ্ছে ভোটচুরির নির্বাচনের কারণে। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিদের ভন্ডামি দেখে খারাপ লাগে! গণতন্ত্রের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, অথচ এই ভোটচুরি ও ভোট-জালিয়াতি করা সরকারের অপশাসনের টুঁ শব্দ করবার সাহস রাখেনা। দু-একটা বিবৃতি দিয়ে খালাস! আমি হাসিনা পরিবারের কোর্ট-মার্শালের দাবী জানাই! আপনাদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রদোহীতার মামলা হলে তাদের বিরূদ্ধে কিসের মামলা হওয়া উচিৎ? বিনা বিচারে এদের ফাঁসি দেয়া দরকার! বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদে মিটিং ফিটিং চলাকালীন অবস্থায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়া দরকার। এরা সাইকো সব!”