তাইওয়ানের আকাশে চীনের ৩৮ যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’

তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাসীমানায় চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে
তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাসীমানায় চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে

নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাসীমায় চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনেছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল শুক্রবার চীনের জাতীয় দিবসের দিনে এ ঘটনা ঘটে। একে এখন পর্যন্ত তাইওয়ানের আকাশে চীনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল প্রথম ধাপে ২৫টি সামরিক উড়োজাহাজ তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাসীমানায় প্রবেশ করে। এর মধ্যে ১৮টি জে–১৬ ও ৪টি সু–৩০ মডেলের যুদ্ধবিমান ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধবিমানের ওই বহরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম দুটি বোমারু বিমান ও একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী উড়োজাহাজ ছিল।

দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৩টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। স্থানীয় সময় গতকাল দিবাগত রাতে অনুপ্রবেশ করা উড়োজাহাজের ওই বহরে ১০টি জে–১৬, ২টি এইচ–৬এস এবং পূর্বসতর্কতা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ১টি উড়োজাহাজ ছিল।

এদিকে গতকালের অনুপ্রবেশের ঘটনায় উড়োজাহাজের যাত্রাপথের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে তাইওয়ান। সেখানে দেখা যায়, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের কাছ দিয়ে উড়ে যায়। পরের ১৩টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান ও ফিলিপাইনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বাশি চ্যানেল অতিক্রম করে।

অনুপ্রবেশের পর চীনের যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি যুদ্ধবিমানও পাঠানো হয়। যদিও এসব নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীন। তবে এ নিয়ে আগে দেশটি বলেছিল, চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতেই যুদ্ধবিমানগুলো পাঠানো হয়ে থাকে।

এর আগে গত জুনে চীনা বিমানবাহিনীর ২৮টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাসীমায় প্রবেশ করে। পরে গত মাসের শুরুর দিকেও ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনে দেশটি। এ নিয়ে সে সময় শঙ্কা প্রকাশ করেছিল তাইওয়ান সরকার।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। তাই এর নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। অধিকাংশ তাইওয়ানবাসী চীনের অধীন থাকার আগ্রহ দেখায় না। তবে চীনের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে তাইওয়ানকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা কম। এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাইওয়ানকে সমর্থন দিয়ে ও অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *