১০ হাজার কোটি ডলারের মুকেশ আম্বানি

মুকেশ আম্বানি
মুকেশ আম্বানি

মুকেশ আম্বানি এখন ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিক। এর মধ্য দিয়ে তিনি জেফ বেজোস ও ইলন মাস্কের কাতারে চলে এসেছেন। গত শুক্রবার তাঁর শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সম্পদের মূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।

চলতি বছরেই তাঁর সম্পদের মূল্য ২৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। ব্লুমবার্গের তালিকায় সারা বছরই কোটিপতিদের সম্পদের মূল্য ওঠানামা করে। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে আছেন আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। ওই তালিকায় একাদশ স্থানে আছেন আম্বানি। গতকাল তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০১ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ১০০ কোটি ডলার।

মহামারির মধ্যেই মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সে ফেসবুক, গুগলসহ বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। মূলত এই বিনিয়োগের ওপর ভর করে আম্বানির কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতেই তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে ঢুকে গেছেন।

এ ছাড়া কিছুদিন আগে দূষণমুক্ত ব্যবসায় ৬০ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আগামী তিন বছর এই প্রকল্পের আওতায় গুজরাটের জামনগরে চারটি গিগা ফ্যাক্টরি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ওই কারখানাগুলোতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

ভারতের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তিনি বেশ প্রভাবশালী। সম্প্রতি এক বক্তৃতায় মুকেশ বলেছিলেন, এই অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফল সব স্তরের মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছায়নি। আর্থিকভাবে নিচের স্তরের মানুষের জন্য সম্পদ তৈরি করতে হলে দরকার উন্নয়নের ‘ভারতীয় মডেল’। যার মাধ্যমে অন্তত ১০০ কোটি মানুষের মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করে বাজার আরও প্রসারিত করা সম্ভব হবে। ২০৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতার শতবর্ষে পা রাখবে, তখন তার অর্থনীতি পাল্লা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে। ফলে তখন বড় মধ্যবিত্ত শ্রেণি ছাড়া ভারত পিছিয়ে পড়বে।

তবে বিলাসী জীবন যাপন করার জন্য আম্বানি পরিবার বেশ আলোচিত। বিশ্বের অন্যতম দামি বাড়ির মালিক তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *