ফ্যাসিস্ট-হিন্দুত্ববাদী বিজেপির দিন ফুরিয়ে আসছে: অরুন্ধতী

নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে ফুঁসে উঠেছে গোটা ভারত। চলমান বিক্ষোভে জনতার সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বুকারজয়ী লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়। 

জনগণের প্রতিবাদী স্পৃহাকে অভিবাদন জানিয়ে ফ্যাসিস্ট-হিন্দুত্ববাদী বিজেপির দিন ফুরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। অরুন্ধতী বলেন, ভারত জেগে উঠেছে। সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। আজ এমন দিন, যখন ভালোবাসা আর সংহতি ধর্মান্ধতা ও ফ্যাসিবাদের মুখোমুখি। খবর এনডিটিভির।

অরুন্ধতী দাবি করেছেন, সিএএ এবং এনআরসি দিয়ে বিজেপি সরকার আমাদের সংবিধানকে পঙ্গু করতে চায়। এগুলো বৈষম্যমূলক দাবি করে তিনি বলেন, এটা শুধু শরণার্থীসংশ্নিষ্ট নয়। যদি তা হয়ও, তারপরও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক হওয়ায় এটা অবৈধ। সিএএ, এনআরসি দেশের সব নাগরিককে আবেদনকারীতে পরিণত করেছে। এ আইন শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়; দরিদ্রদের বিরুদ্ধেও। 

তিনি বলেন, সব ধর্ম ও জাতিসত্তার মানুষ একত্রিত পদচারণায় বিভেদ সৃষ্টিকারী, ফ্যাসিবাদী ও ধর্মান্ধ সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করছে।

বিজেপি সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, এ সরকারের দিন ফুরিয়ে আসার সূচনা পর্ব এটা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব-ঘৃণা ছড়ানো ও আন্দোলনে গুণ্ডা-পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও তিনি মনে করেন, বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রাখতে পারবে না তারা। এই ফ্যাসিবাদের অবসান হবেই। 

গত ১২ ডিসেম্বর ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আইনটিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অরুন্ধতী বলেন, অসাংবিধানিক সিএবি ও এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সবাই অংশ নিয়েছে। প্রতিবাদে দলিত, মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, আদিবাসী, মার্কসবাদী, অম্বেদকারবাদী, কৃষক, শ্রমিক, গবেষক, লেখক, কবি, শিল্পী, শিক্ষার্থী- সবাই অংশ নিয়েছেন। এখন আপনারা (সরকার) আমাদের থামাতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *