বন্দুক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
–
বন্দুক সহিংসতার বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে।
অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো স্থানীয় সময় ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে বন্দুক সহিংসতাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য মহামারি হিসেবে বিবেচনা করে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কই প্রথম অঙ্গরাজ্যে, যেখানে বন্দুক সহিংসতার বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।
৪ জুলাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস। এই সপ্তাহান্তে শুধু নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যেই ৫১টি গুলির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে ২৫টি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটে নিউইয়র্কের নগরকেন্দ্রে।
সংবাদ সম্মেলন গভর্নর কুমো বলেন, বন্দুক সহিংসতা নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার কথা অঙ্গরাজ্যবাসীর সঠিকভাবে জানা ও সতর্ক থাকার জন্যই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে সহিংসতায় ব্যবহৃত বন্দুকের অধিকাংশই বাইরের অঙ্গরাজ্য থেকে আসে। যেসব অঙ্গরাজ্যে বন্দুক সংগ্রহ করা সহজ, সেখান থেকে সড়কপথে নিউইয়র্কে দ্রুতই বন্দুক আনা যায়।
গভর্নর কুমো বলেছেন, নিউইয়র্কের সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র আটকে দেওয়ার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে। জরুরি অবস্থা জারির ফলে অন্য অঙ্গরাজ্য থেকে নিউইয়র্কে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার আইন কার্যকর করা হয় অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে। নিউইয়র্কে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় সহজ নয়। কিন্তু কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সহজে দোকান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করতে পারেন।
বন্দুক সহিংসতার উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করে আলাদা বিভাগ খোলা হচ্ছে।
গভর্নর কুমো জানিয়েছেন, বন্দুক সহিংসতার বিস্তারিত তথ্য এ-সংক্রান্ত প্রতিরোধ ইউনিটের কাছে দেবে অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বিভাগ। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ঝুঁকিপূর্ণ যুবসমাজের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে ৫৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। এ কাজের জন্য নতুন ২১ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর কুমো। এ কর্মসংস্থানের ব্যয়ভার অঙ্গরাজ্য গ্রহণ করবে।
গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এমনিতেই অপরাধ বেড়ে যায়। নানা পার্টি, উৎসব, সমাবেশে অস্ত্রের ঝনঝনানি ওঠে। ৪ জুলাইয়ের উৎসব ঘিরে গোলাগুলির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।