মধ্য মে’তে কী সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইইউ?
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জ্বালানি তেল নিয়ে বড় ধরনের সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইউরোপ। এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দপ্তর ব্রাসেলস। ইইউ বলছে, রুবলে জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধের যে প্রস্তাব মস্কো দিয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করলে এ সংকট দেখা দেবে। কারণ, এখনো রাশিয়ার জ্বালানি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা ইইউর হাতে নেই। খবর ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি গাজপ্রম গত সপ্তাহে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে দিয়েছে।
গাজপ্রম এ-ও জানিয়েছে, যদি কেউ রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদেরও এ দুটি দেশের মতো পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।
ইইউর জ্বালানিবিষয়ক কমিশনার কেডরি সিমসন বলেছেন, গত সপ্তাহে ইইউর জ্বালানিমন্ত্রীদের এক সভায় সবাই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে এ মুহূর্তে রাশিয়ার বেঁধে দেওয়া ব্যবস্থা তথা রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধের শর্ত মেনে নেওয়া হলে তা হবে দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাবিরোধী। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরপরই ইইউসহ পশ্চিমা মিত্রদেশগুলো নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার ওপর। এখন রাশিয়ার শর্ত মেনে জ্বালানির মূল্য রুবলে পরিশোধ করা হলে তা হবে এ নিষেধাজ্ঞাবিরোধী।
সিমসন আরও জানান, মে মাসের মাঝামাঝি ইউরোপীয় অনেক জ্বালানি কোম্পানি বা সংস্থা রাশিয়ার গাজপ্রমকে জ্বালানির মূল্যবাবদ পরবর্তী কিস্তি পরিশোধ করবে। কীভাবে এ মূল্য পরিশোধ করা হবে, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় রয়েছে ইউরোপীয় জ্বালানি কোম্পানি বা সংস্থাগুলো। তাই এসব সংস্থা বা কোম্পানিকে এটা পরিষ্কার করে জানাতে হবে যে যদি কেউ রুবলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করে, তবে তা হবে নিষেধাজ্ঞাবিরোধী সিদ্ধান্ত।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ইইউভুক্ত দেশগুলো রাশিয়া থেকে ১৫৫ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৫০০ ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছে, যা ইইউর মোট আমদানি করা গ্যাসের ৪৫ শতাংশ।