অভিজিৎ ব্যানার্জির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জির বাড়িতে গিয়ে তার মা নির্মলা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিকেলে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অভিজিতের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বৈশ্বিক দারিদ্র্য লাঘবে অবদান রাখায় এবছর অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান তার স্ত্রী এস্থার দুফলো এবং মাইকেল ক্রিমার।
মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, অভিজিৎ ব্যানার্জিকে সংবর্ধনা জানাতে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
২২ অক্টোবর রাতে কলকাতা পৌঁছাবেন অভিজিৎ।
নোবেল জয়ের পর অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, অভিজিৎ ব্যানার্জিকে অভিনন্দন, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক ছাত্র অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। আরও এক বাঙালি দেশকে গর্বিত করেছেন। আমরা খুবই আনন্দিত।
অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা প্রতিভাবান লোকজনের জায়গা। যদি আপনারা খুঁজে দেখেন, তা হলে দেখবেন, প্রায় সব প্রতিভাবানের সঙ্গে বাংলার মাটির যোগ রয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় কীভাবে কাজ হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান নির্মলা ব্যানার্জি। মমতা জানান, যারা সরকারি প্রকল্পের আওতায় আছেন, তারা তো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনই। বাইরের লোকেরাও সেই সুবিধা পান। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত, কৃষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাজ নিয়েও আলোচনা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। লিভার ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক অভিজিতের সঙ্গে ওর যোগাযোগ ছিল। ওরা দু’জনে বীরভূমে গিয়ে কোয়াক চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু ঠিক করে দেওয়া যায়, সেই কাজ করেছেন। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।
মমতা জানান, দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্যই অভিজিৎকে প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপে রাখা হয়েছিল। রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে অভিজিৎকে কাজে লাগানো হবে।
অভিজিৎ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকেই ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৮৮ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন অভিজিৎ। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ফোর্ড ফাউন্ডেশন অধ্যাপক পদে বর্তমানে কর্মরত আছেন তিনি।