স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন ডিপিপি এখনও অনুমোদন হয়নি

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশ ও কভারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওই ডিপিপি এখনও অনুমোদন হয়নি। ভুল-ত্রুটি যাচাই-বাছাই করে এটি প্রি-একনেকে অনুমোদন করা হবে। এরপর প্রকল্পটি পাসের জন্য একনেকে উঠবে। এখনও প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদন হয়নি। ভুলভ্রান্তি যা হয়েছে, সেগুলো অবশ্যই ঠিক করা হবে।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

‘নিরন্তর গবেষণা: উন্নততর চিকিৎসা ও শিক্ষার সোপান’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবনায় প্রকল্পটির প্রায় সব যন্ত্র ও আসবাব সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক ধরে কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বালিশ কিনতে ২৭ হাজার ৭২০ টাকা এবং বালিশের কভার কিনতে ২৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় দেখা যায়, একটি সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের দাম ৮৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ৩০০-৪০০ টাকা মূল্যের একটি রেক্সিনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। ২০-২৫ টাকা মূল্যে স্টেরাইল হ্যান্ড গ্লাভসের দাম ৩৫ হাজার টাকা, ২৫০-১০০০ টাকা মূল্যের কটন টাওয়েল ৫ হাজার ৮৮০ টাকা, ১৫-৫০ টাকার ৫ এমএল সাইজের টেস্টটিউব-গ্লাস মেড ৫৬ হাজার টাকা, ২৫০-৫০০ টাকার থ্রিপিন ফ্লাট ও রাউন্ড প্লাগযুক্ত মাল্টিপ্লাগ উইথ এক্সটেনশন কড ৬ হাজার ৩০০ টাকা, ৫০০-৭০০ টাকার রাবার ক্লথ ১০ হাজার টাকা, ১০০০-২০০০ টাকার হোয়াইট গাউনের দাম ৪৯ হাজার টাকা, ২০-৫০ টাকার ডিসপোজাল কু-কভার সাড়ে ১৭ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডিপিপি প্রণয়নের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, অবশ্যই তাদের আমরা দেখব। কেন তারা এখানে কিছু ভুল তথ্য দিল। আমরা মনে করি, প্রস্তাবটি ভুল হয়েছে। এমন ভুল আগামীতে যাতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএমআরসি ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, তিন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার, অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান ও অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *