তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ‘প্রথম শ্রেণি’র দুর্নীতি
ছারোয়ার হোসাইন একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ‘সহকারী’ পদে কর্মরত এই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীই এখন কোটি টাকার সম্পদের মালিক। যার পুরোটাই দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্জিত বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএর কার্যকরী সভাপতি ছারোয়ারের সম্পদের তালিকায় রয়েছে বেনামে বাড়ি ও ফ্ল্যাট, প্লট, গাড়ি এবং জাহাজ। স্ত্রী ও আত্মীয়-পরিজনকে চাকরি দিয়ে বিআইডব্লিউটিএতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বলয়। ঘাট ইজারা, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করেও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। সংস্থার বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছারোয়ার হোসাইনের নানা দুর্নীতি-অনিয়মের তদন্ত করছে। দুদকে নতুন করে জমা পড়েছে আরও অভিযোগ। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকেও তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্ত করা হয়েছে। এর পরও মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার প্রশ্রয়ে তার অপকর্ম অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ সংস্থার সাধারণ কর্মচারীরাও।
সূত্রমতে, প্রায় ২৬ বছর ধরে বিআইডব্লিউটিএতে কর্মরত ছারোয়ার হোসাইন এক সময় বিএনপির কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে নিজেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের লোক হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক লীগের একজন শীর্ষনেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তিনি তার দুর্নীতি-অনিয়ম অব্যাহত রাখেন। সে সময় বিআইডব্লিউটিএ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদরঘাট শাখা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন ২০১৬ সালের জুনে সংস্থার সিবিএ হিসেবে কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পেলে এর সহসভাপতি হন তিনি। পরে সিবিএর কার্যকরী সভাপতি নুরুল আমীন সরকার মারা গেলে ওই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকেই সিবিএ সভাপতি আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতাদের যোগসাজশে দুর্নীতি-অনিয়ম চালিয়ে আসছেন। যদিও সিবিএর দু’বছরের মেয়াদ আরও প্রায় দেড় বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সব তারা তারাই :ছারোয়ার হোসাইন প্রভাব খাটিয়ে স্ত্রীসহ ৭০-৮০ জন নিকটাত্মীয়কে বিআইডব্লিউটিএতে চাকরি দিয়েছেন। স্ত্রী কামরুন্নাহার মলি বিআইডব্লিউটিএর প্রধান কার্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে ‘ট্রেসার’ পদে কর্মরত। এ ছাড়া তার আপন ফুফাতো ভাই আব্বাস আলী ও আপন খালাতো ভাই আশ্রাব সংস্থার হিসাব বিভাগে; আপন শ্যালক জাহাঙ্গীর, চাচাতো শ্যালক কাইয়ুম, চাচাতো ভাই সামশুল আলম খান ও আপন খালু আবদুল জলিল বন্দর বিভাগের ‘শুল্ক্ক আদায়কারী’; নিকটাত্মীয় আনিসুর রহমান ‘শুল্ক্ক প্রহরী’; ভাবি নাজমা বেগম ড্রেজিং বিভাগে; আপন ভাস্তিজামাই তাইজু ড্রেজিং বিভাগের ‘ট্রেসার’; আপন খালাতো ভাই আনু নৌনিট্রা বিভাগের ‘সহকারী’; আপন মামা ইউসুফ আরিচা শাখায়; চাচাতো শ্যালক কাইয়ুমের স্ত্রী রোমেনা আখতার হিসাব বিভাগে ‘নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর’; চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম ‘গাড়িচালক’ এবং নিকটাত্মীয় মোজাফফর ‘অফিস সহায়ক’ পদসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন নানা পদে কর্মরত রয়েছেন। এসব নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ছারোয়ার বিআইডব্লিউটিএতে একটা বলয় সৃষ্টি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেনামে এত সম্পদ :অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তুললেও দুদকের মামলা-মোকদ্দমা থেকে বাঁচতে চতুর ছারোয়ার এসব সম্পদের বেশিরভাগই বেনামে করিয়েছেন। বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনসহ ঘনিষ্ঠদের নামেই এসব অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি।
বেনামে গড়ে তোলা ছারোয়ারের সম্পদের মধ্যে রয়েছে তার যুক্তরাজ্য প্রবাসী শ্যালিকা নূরুন্নাহার পারভীনের নামে থাকা রাজধানীর খিলগাঁও তিলপাপাড়ার ২২ নম্বর সড়কের ৬৪১/এ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট। ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে ১৬০০ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটটি শ্যালিকার নামে ক্রয় করার পর ২০১৬ সাল থেকে সেখানে সপরিবারে বসবাস করছেন তিনি। শ্যালিকার নামে রাজধানীর মাদারটেক ও বেইলি রোডে রয়েছে তিনটি এবং খিলগাঁও রেন্ট-এ কারে ভাড়ায় দেওয়া একটি প্রাইভেট কার ও দুটি হায়েস মাইক্রোবাস মিলিয়ে তিনটি গাড়িও রয়েছে। এ ছাড়া ছারোয়ার টাঙ্গাইল শহরে তার মা রমিছা খাতুনের নামে কিনেছেন একটি বাড়ি।
তবে ছারোয়ার সবচেয়ে বেশি অর্থ লগ্নি করেছেন জাহাজ ব্যবসায়। এক্ষেত্রেও চতুরতার আশ্রয় নিয়ে তার ‘বিশেষ সহকারী’ হিসেবে পরিচিত বিআইডব্লিউটিএর নৌনিট্রা বিভাগের নিম্নমান সহকারী এমদাদুল হক সুমনের স্ত্রী সুমনা হকের নামে একটি জাহাজ রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন তিনি। যার নাম ‘এমভি সুমনা হক-১’, রেজিস্ট্রেশন নম্বর:এম-০১-২০৪৫, কোম্পানির নাম :মেসার্স সুমনা করপোরেশন। এই জাহাজটির নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। আরেকটি জাহাজ ‘এমভি মর্নিং ভয়েজ-১’ এর মালিকানা প্রবাসী শ্যালিকা নূরুন্নাহার পারভীনের নামে করিয়েছেন তিনি। এই জাহাজটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর :এম-০১-১৫৯৩, কোম্পানির নাম :লিজেন্ড-১০ শিপিং লাইন্স (প্রা.) লি.। বেনামে গড়ে তোলা ছারোয়ারের এসব কোম্পানির নামে রাজধানীর পুরানা পল্টনের ৫৫/বি নোয়াখালী টাওয়ারের দশম তলায় সুবিশাল অফিসও রয়েছে। এ ছাড়া তিনটি বালুবাহী জাহাজ ও তিনটি অয়েল ট্যাঙ্কার এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের বিপরীতে খন্দকার শিপইয়ার্ডেও তার অংশীদারিত্ব রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসএস রহমান ট্রেডার্স’-এর সঙ্গেও ছারোয়ারসহ সংস্থার কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশীদার হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রকিবুল আলম দীপু রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় তুরাগ নদের চ্যানেল দখল করে ‘আমিন-মোমিন হাউজিং লিমিটেড’ নামে অবৈধ হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলেছিলেন। যেখানে ছারোয়ারেরও প্রায় ছয়টি প্লট কেনা ছিল। অবশ্য ঢাকার পার্শ্ববর্তী তিনটি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি অবৈধ হাউজিং প্রকল্পটি সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়ে তুরাগ নদের চ্যানেলটিকে আদিরূপে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ, বদলি, ঘাট ইজারা বাণিজ্য এবং অর্থ আত্মসাৎ :তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও সংস্থার নিয়োগ, বদলি ও ঘাট ইজারা নিয়ন্ত্রণ করেন ছারোয়ার। সদরঘাট নদীবন্দরে ৭০টি শুল্ক্ক আদায়কারীর পদ থাকলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত ২২ জনকে দিয়ে শুল্ক্ক আদায় করাচ্ছেন তিনি। অথচ অন্য নদীবন্দরগুলোতে শুল্ক্ক আদায়কারীর পদে সংকট রয়েছে। সদরঘাটের শুল্ক্ক আদায়কারীদের বদলি ও অন্যদের পদায়ন করেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সংস্থার বিভিন্ন পদে শতাধিক কর্মচারীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং কর্মচারীদের ঢাকার বাইরে বদলির ভয় দেখিয়ে কিংবা অনেককে সুবিধাজনক স্থানে পোস্টিং করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি জনপ্রতি এক লাখ টাকা করে নিয়ে সংস্থার এমএমই শাখার ‘গ্রিজার’ পদে কর্মরত ১৬ জন নৌ-কর্মচারীর (ইঞ্জিন ক্রু) বদলির একটি তালিকা কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন ছারোয়ারসহ সিবিএ নেতারা। এই সুপারিশ বাস্তবায়ন এখন প্রক্রিয়াধীন।
অভিযোগ রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের তারাব পয়েন্ট এবং খানপুর আরসিসি জেটি ও সারুলিয়া পয়েন্টসহ বিভিন্ন ঘাট থেকেও টোল আদায়ের অর্থ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকেন ছারোয়ার। এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতকে ঘাট ইজারা দেওয়া নিয়ে ইজারাদারের থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে রাজধানীর মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ ভবনের নিচতলায় সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে খোলা ‘বিআইডব্লিউটিএ কর্মচারী কল্যাণ তহবিল’ এবং ‘বিআইডব্লিউটিএ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’ নামের পৃথক দুটি হিসাব থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই আত্মসাতের ঘটনাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্তকালে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয় গত ৩ সেপ্টেম্বর ছারোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি তদন্ত করেছে।
এদিকে, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ সম্প্রতি ছারোয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে প্রধান কার্যালয়ে থেকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করেছিলেন। তবে তিন মাসেও সুপারিশটি বাস্তবায়ন হয়নি। বিআইডব্লিউটিএর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে সখ্য থাকায় তাকে কখনও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি- এমন গুঞ্জন রয়েছে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। ছারোয়ারের কথার অবাধ্য হলেই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়ে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করে দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ছারোয়ার যা বললেন :অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে ছারোয়ার হোসাইন সমকালকে বলেছেন, তার কোনো সম্পদই নেই। শ্যালিকার নামে যে ফ্ল্যাটটি কেনার কথা বলা হচ্ছে, সেটি শ্যালিকাই কিনেছেন। তবে শ্যালিকা যেহেতু বিদেশে থাকেন, সেই কারণে ফ্ল্যাটটি যাতে দখল না হয়ে যায়, সেই কারণেই সেখানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মাত্র। তাছাড়া ফ্ল্যাটটি এখনো রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। আর মায়ের নামে টাঙ্গাইল শহরে বাড়ি কেনা হলেও সেটি একতলা টিনশেড বাড়ি এবং খুব বেশি অর্থ দিয়ে কেনা হয়নি। আর ‘আমিন-মোমিন হাউজিং লিমিটেড’ এ আরও তিনজন অংশীদারের সঙ্গে সমিতি করে ছয় কাঠার একটি প্লট তিনি কিনেছিলেন, এটা সত্য। কিন্তু হাউজিং প্রকল্প উচ্ছেদের পর আর কোনো টাকা-পয়সা দেননি তাদের। বেনামে জাহাজ, গাড়ি ও দোকানসহ অন্যান্য সম্পদ বানানোর অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। দুদকের তদন্ত কমিটির কাছেও তার প্রকৃত সম্পদের হিসাবসহ আয়কর পরিশোধের যথাযথ তথ্য-প্রমাণ দাখিল করেছেন তিনি।
বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘অনিয়ম-দুর্নীতি করে কারও কাছ থেকে কখনও একটি পয়সা নিয়েছি অথবা আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায়ের ঘটনা প্রমাণ হলে- যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।’ সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি তাকে অন্যত্র বদলির যে সুপারিশ করেছিল- সেই প্রসঙ্গে তার দাবি, তাকে নয়, শুল্ক্ক আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের বদলির সুপারিশ করা হয়েছিল।
বিআইডব্লিউটিএর মেয়াদোত্তীর্ণ সিবিএর এই কার্যকরী সভাপতি বলেন, ‘চাকরির পয়সায় চলি আমি, অসৎপথে অর্জিত অর্থে নয়। আসলে বিআইডব্লিউটিএ সিবিএতে আমার প্রতিপক্ষ নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য অহেতুক আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ আনছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে লেখালেখিও করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।’