নিলামে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পৌনে তিন টাকা

পেঁয়াজের চড়া দাম নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সারা দেশে হইচই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে পেঁয়াজের দাম পড়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে খালাস করেনি অনেক ব্যবসায়ী। সেই পেঁয়াজ আজ বুধবার নিলামে তোলে শুল্ক বিভাগ (কাস্টমস)।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত নিলাম শেষে দেখা যায়, একটি চালানে পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দর উঠেছে কেজিতে ২ টাকা ৭৯ পয়সা। আবার আরেকটি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। সব মিলিয়ে ১৯টি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড় দাম সাড়ে ১০ টাকা।

নিলামে তোলা পেঁয়াজের ছবি প্রকাশ করেছে কাস্টমস। তাতে দেখা যায়, কনটেইনারের ভেতর বস্তা ভেদ করে পেঁয়াজের চারা বের হয়েছে। দুটি চালানে চারা কিছুটা কম।বিজ্ঞাপন

চারা গজানো পেঁয়াজ
চারা গজানো পেঁয়াজ

নিলামে ওঠা এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। বাজারে দরপতনের কারণে ব্যবসায়ীরা এসব পেঁয়াজ খালাস নেননি। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে দীর্ঘদিন পড়ে থেকে পেঁয়াজের চারা বের হয়ে গেছে। নিয়মানুযায়ী, ৩০ দিন পার হওয়ার পর খালাস না হওয়া ১০ লাখ ৩৩ হাজার কেজি পেঁয়াজ নিলামে তুলেছে কাস্টমস।

অনলাইনে অনুষ্ঠিত নিলামে ঘুরেফিরে মোট ১০ ব্যক্তি অংশ নেন। নিলামে ওঠা ১৯টি চালানের ১৩টিই পেয়েছেন নুরুল আবছার নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া তিনটি করে পেয়েছেন মোহাম্মদ মইনুদ্দিন জাবেদ ও শেখ মইনুদ্দিন চৌধুরী।

ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার পর বাজারে বিকল্প দেশের পেঁয়াজের দর খুবই কম। বিকল্প দেশের সাধারণ মানের পেঁয়াজই এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩ টাকা থেকে ১৮ টাকায়।

মোহাম্মদ ইদ্রিস,ব্যবসায়ী

নিলামের দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, পচনশীল পণ্য হওয়ায় দ্রুত নিলামে তোলা হয়েছে এসব পেঁয়াজ। এখন সর্বোচ্চ দরদাতাদের দর পর্যালোচনা করে তা অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিকল্প দেশ থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের গড় মূল্য পড়েছে প্রতি টন ৪৪৩ ডলার। প্রতি কেজির আমদানি মূল্য পড়ছে প্রায় ৩৭ টাকা।

এ হিসাবে নিলামে ওঠা পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে সাড়ে চার লাখ ডলার বা পৌনে চার কোটি টাকায়। এই পেঁয়াজ নিলামে বিক্রি করে কাস্টমস পেয়েছে ৯৭ লাখ টাকা।

খাতুনগঞ্জে চারা গজানো পেঁয়াজের দর কেমন, জানতে চাইলে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার পর বাজারে বিকল্প দেশের পেঁয়াজের দর খুবই কম। বিকল্প দেশের সাধারণ মানের পেঁয়াজই এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩ টাকা থেকে ১৮ টাকায়। লাল রঙের নেদারল্যান্ডসের পেঁয়াজ ৩২-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চারা বের হওয়া পেঁয়াজের কোনো দাম নেই। যে যেভাবে দাম পায়, সেভাবেই বিক্রি করে দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *