ভারতও বলছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটা হবে জম্পেশ
দোহায় অনুশীলনে জাতীয় ফুটবল দল। ছবি: বাফুফে
সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ড্র করার পর আগ্রহ আবার বেড়েছে সমর্থকদের। সোমবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ারা কী করবেন—এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ভারত র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও ২০১৯–এর ম্যাচের মতোও জম্পেশ লড়াই আশা করছেন সবাই। দুই দলের খেলোয়াড়েরাই বলছেন, আরেকটি উত্তেজনাকর ম্যাচ যোগ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল দ্বৈরথে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্রয়ের দিনে কাতারের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে ভারত। ১৭ মিনিটে গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পরে ১০ খেলোয়াড় নিয়ে বাকিটা সময় দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে ভারত।
কাতারের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক সহজ প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বিপক্ষেও দারুণ ম্যাচের প্রত্যাশা করছেন দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আদিল খান। ২০১৯ সালে কলকাতায় ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে বাংলাদেশকে জয়বঞ্চিত করা এই সেন্টারব্যাক বলেন, ‘কাতারের বিপক্ষে রক্ষণভাগে আমরা খুব ভালো করেছি। বাংলাদেশও খুব ভালো খেলছে। আমরা সমপর্যায়ের দুটি দল। আগের ম্যাচে তারা আমাদের বিপক্ষে যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আগামী ম্যাচেও খুব ভালো একটি লড়াই হবে। আমরা সে জন্য প্রস্তুত আছি।’
শুধু রক্ষণভাগ নয়, ভারতীয় দলের আক্রমণভাগও অনেক শক্তিশালী। সুনীল ছেত্রী, মানভির সিংয়ের মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ডরা আছেন।
তাঁদের বিপক্ষে ভুল করলে খেসারত দিতে হবে, সেটা ভালোই জানা বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের। ফুলব্যাক রহমত মিয়া বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বড় দলের বিপক্ষে রক্ষণভাগ সামলানোর চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। ভুল করলেই এর বিপরীতে গোল হজম করতে হতে পারে। বেশি মনোযোগ দিতে হবে। জমাট থাকতে হবে। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
অনুশীলন ও তাত্ত্বিক ক্লাসে সুনীল ছেত্রীদের নিয়ে বাড়তি কাজ হচ্ছে বলেও জানান রহমত, ‘ভারতের শক্তি ও দুর্বলতা আমাদের ভালো জানা। আরও দুটি অনুশীলন পর্ব আছে। সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ছাড়া ক্লাসেও তাদের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে কাজ হচ্ছে।’