হঠাৎ গণপরিবহণ বন্ধে দুর্ভোগ

লকডাউনে ঢাকার সঙ্গে বাস ট্রেন লঞ্চ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button
print sharing button
গণপরিবহণ

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর আশপাশের সাত জেলায় সোমবার লকডাউন ঘোষণার পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মঙ্গলবার জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় আসা ও রাজধানী থেকে বাইরে যাওয়া মানুষগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। বৃষ্টিস্নাত সকালে জলজট ও যানজটে বিপর্যস্ত শত শত মানুষ গাবতলী, সায়েদাবাদ, সাইনবোর্ড এবং আবদুল্লাহপুর প্রবেশ ও বহির্গমন পথে হেঁটে চলাচল করেছেন। গণপরিবহণ না পেয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষ ব্যাগ হাতে-কাঁধে এবং মাথায় নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। এ সময় বয়স্ক মানুষ নারী এবং শিশুদের বেশি কষ্ট হয়েছে।

এদিকে সোমবার লকডাউন ঘোষণার পর রাতেই বাস, যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধের ঘোষণা আসে। এরপর ট্রেন চলাচলে দেওয়া হয় বিধিনিষেধ। কিন্তু মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ফলে আজ ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাবে না এবং রাজধানীতে প্রবেশও করবে না। তবে ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যান্য সেকশনে ট্রেনগুলো আপাতত চলবে। করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, যে কোনো সময় সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়াই সবচেয়ে মঙ্গল কাজ। যাত্রীদের সেবা দিতে গিয়ে তাদের বিপদে ফেলতে পারি না। লকডাউনের প্রথম দিন মঙ্গলবার জলজট, যানজটের ধকল মাড়িয়ে কর্মব্যস্ত, জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষকে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। আর্থিক সামর্থ্যরে ভিত্তিতে তারা বেছে নিয়েছেন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। এসব বাহনে চড়েও মানুষকে রাজধানীতে প্রবেশ ও বাইরে যেতে দেখা গেছে। এজন্য গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ঢাকা থেকে বের হওয়া ও প্রবেশ করা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারেও অসচেতন দেখা গেছে। পুলিশের কিছুটা তৎপরতা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেটা বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে নগর ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক যুগান্তরকে বলেন, সরকার করোনার সংক্রমণ রোধে ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় লকডাউন দিয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে সারা দেশের গণপরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে। আগে থেকে প্রস্তুতি না থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

অপর এক বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার ২-১ দিনের সময় নিয়ে লকডাউনের ঘোষণা দিলে মানুষ প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেত। যারা ঢাকার বাইরে আছেন তারা ফিরতে পারতেন। একইভাবে যাদের ঢাকা ছাড়ার কথা তারা চলে যেতে পারতেন। কিন্তু এখন হঠাৎ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে গেছে। আটকে পড়া মানুষগুলোর ঘরে ফিরতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ ইচ্ছা করলেই এ দুর্ভোগ এড়ানো সম্ভব হতো।

সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় শত শত মানুষ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। ঢাকা ছাড়ার জন্য এদিন বা সময়টি তারা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। অনেকের আগাম টিকিট করা ছিল। তাদের অধিকাংশকেই জানানো হয়নি দূরপাল্লার বা ঢাকা থেকে কোনো বাস ছাড়বে না। দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের জেলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মানুষগুলো। সরকারের বিধিনিষেধের কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও গার্মেন্টসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। যে কোনো ভাবে তাদের অফিসে যেতে হবে। একই চিত্র ছিল গাবতলী, আবদুল্লাহপুর, সদরঘাট, গুলিস্তান, ফুলবাড়ীয়া এলাকায়। এসব স্থান থেকে কর্মজীবী অনেককে ছোট ছোট যানবাহনে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে সায়েদাবাস বাস টার্মিনালে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মো. রুস্তম আলী। তিনি ফতুল্লার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, নিয়মিত সায়েদাবাদের বাসা থেকে ফতুল্লা অফিস করি। আজ অফিস খোলা কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। মোটরসাইকেল ও সিএনজিতে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে। হঠাৎ লকডাউন গণপরিবহণ বন্ধ হওয়ায় আমাদের অন্তহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এর শেষ কোথায় তিনি জানতে চান।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় শত শত মানুষকে দূরপাল্লার বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বেশিরভাগই জানতেন না বাস চলাচল বন্ধের কথা। অনেকে আবার জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। বাস না পেয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনিবাসে এসব মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হতে দেখা গেছে। একই রকম চিত্র ছিল, শ্যামপুর, মাওয়া এলাকায়ও। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করেছেন। একইভাবে ঢাকার বাইরে থেকেও শত শত মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। ঢাকায় গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় মঙ্গলবার ঢাকা-চটগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে নেমে শত শত মানুষ হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করেন।

যুগান্তরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে ছুটেছে শিল্পাঞ্চল নারায়ণগঞ্জের কর্মজীবী মানুষেরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেক পোস্টে যানবাহন আটকে দেওয়ায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর নগরীর অংশে বন্দর সেন্ট্রাল ঘাটে সকাল থেকেই স্বাভাবিক নিয়মেই নৌকা ও ট্রলার চলাচল করেছে। বন্দর উপজেলা থেকে হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ নদী পারাপার হয়েছেন। তবে দুপুরের আগে কয়েক ঘণ্টা নৌকা চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুরের পর তা স্বাভাবিক হয়। বন্দর সেন্ট্রাল ঘাট এর পাশাপাশি ৫ নম্বর ঘাট, বরফ কল ঘাট, টানবাজার ঘাট, নবীগঞ্জ ঘাটসহ বেশ কয়েকটি খেয়া পারাপারের ঘাটও ছিল উন্মুক্ত। আর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস দেখা না গেলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা ও প্রাইভেট কারের আধিক্য ছিল।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। সকালের দিকে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার নৈশ কোচ পাটুরিয়া থেকে ঢাকার গাবতলী অভিমুখে যেতে দেখা গেছে।

হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করায় গার্মেন্ট কর্মীদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। শহরের সেওতা এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন গার্মেন্ট কারখানা নারী শ্রমিক আম্বিয়া খাতুন। প্রতিদিন কর্মস্থলে যাতায়াত করেন গণপরিবহণে। গতকাল গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় আম্বিয়া খাতুনসহ তার সহকর্মীরা হেঁটে রিকশায় চড়ে গার্মেন্টসে গেছেন। গার্মেন্ট কর্মীসহ বেসরকারি খাতের কর্মীদের কর্মস্থলে চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে দেখা গেছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের প্রথম ঢিলেঢালাভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে মুন্সীগঞ্জে। লঞ্চ, বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি, অটোরিকশা লেগুনায় স্বাভাবিক দিনের মতো চলাচল করেছে মানুষ। জেলার ১০টি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে ছিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও। জেলার লঞ্চ টার্মিনাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পণ্য পরিবহণের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরি সীমিত পরিসরে চলাচল করেছে।

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাজবাড়ীতে নসিমন, অটোরিকশা ও টেম্পোসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে। এসব পরিবহণে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করতে দেখা গেছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউনের প্রথম দিন ছিল ঢিলেঢালা। জেলার অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বাস ছাড়া প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন বিভিন্ন পেশার কর্মজীবীরা। এ সুযোগে অধিক ভাড়া আদায় করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ইজিবাইক চালকেরা।

গাজীপুরের ভাষা শহিদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক বলেন, গাজীপুর হচ্ছে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। এ জেলায় বিভিন্ন ধরনের পোশাক কারখানাসহ ছোটবড় প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের লাখ লাখ শ্রমিক পরিবহণের নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের যাতায়াত নিশ্চিত করে লকডাউন কঠোর করা প্রয়োজন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জে করোনা রোধে গোটা জেলাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে জেলার ৫টি উপজেলায় কঠোর লকডাউন পালন করা হচ্ছে। জেলার সব উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে এ লকডাউন পালনে বাধ্য করছেন পুলিশ। উপজেলাগুলোর প্রবেশ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। প্রবেশের রাস্তাগুলোর বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বাইরে থেকে আসা কোনো যানবাহন। আর গোপালগঞ্জ শহরে প্রবেশের পথ লঞ্চঘাট, চাপাইল ব্রিজ, ঘোনাপাড়া মোড়, মান্দারতলা, এলজিইডি মোড়, পুলিশ লাইনস মোড়, বেদগ্রাম, গেটপাড়া ও কুয়াডাঙ্গা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জেলা শহরের চেয়ে ভিন্ন চিত্র গ্রামের। জেলা ও উপজেলা সদরগুলোতে বিধিনিষেধ মানা হলেও-গ্রামাঞ্চলে মানা হচ্ছে না। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলা চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় মহাসড়কের পাশেই বসেছে সাপ্তাহিক বাজার। সেখানে পালন করা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ লোকের মুখে নেই মাস্ক। এই বাজারগুলোতে পুলিশের টহল চোখে পড়েনি।

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে ঢাকামুখো সড়কে গতকাল তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে আশপাশের সাত জেলায় লকডাউনসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ঢাকার সাথে সারা দেশের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণায় খাগড়াছড়ি থেকে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার পূর্ব নির্ধারিত সব বাস যাত্রীকে টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক যাত্রী। গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার হতে শুরু হওয়া কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ নৌরুটের ফেরিতে সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে। তবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেরি সংকটের কারণে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক গাড়ি আটকে থাকতে দেখা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *