প্রিন্স উইলিয়াম, বেকহামরাও আনন্দে মাতলেন কেইনদের জয়ে

ইংল্যান্ডের জয় দেখলেন প্রিন্স উইলিয়াম পরিবার নিয়ে

ইংল্যান্ডের জয় দেখলেন প্রিন্স উইলিয়াম পরিবার নিয়েছবি: এএফপি

ইউরোর শেষ ষোলোতে জার্মানিকে হারিয়ে ‘ফুটবল ঘরে ফেরানোর’ স্বপ্নে আবারও বিভোর ইংল্যান্ড। কাল ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গর্জনে মেতে উঠেছিলেন ৪০ হাজার ফুটবল সমর্থক। এঁদের সঙ্গে সরাসরি মাঠে বসে রহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেইনদের জয় উদ্‌যাপন উপভোগ করেছেন দি ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামস ও কেট মিডলটন দম্পতি। তাঁদের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিল প্রিন্সের বড় ছেলে জর্জ।

ডেভিড বেকহাম কথা বলছেন তাঁর এক ভক্তের সঙ্গে।
ডেভিড বেকহাম কথা বলছেন তাঁর এক ভক্তের সঙ্গে।

ওয়েম্বলির রয়্যাল বক্স যেন তারকায় ঠাসা ছিল। ঘরের মাঠে ফুটবল, আর সেই ম্যাচ দেখতে আসবেন না ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ডেভিড বেকহাম, তা কি হয়? সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার এসেছিলেন ১৮ বছর বয়সী ছেলে রোমিওকে নিয়ে।

তাঁদের পাশে বসে খেলা দেখেছেন সোনালি চুলের ব্রিটিশ গায়িকা এলি গোল্ডিং, তাঁর স্বামী কাসপার জপলিং, ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী, গীতিকার এড শিরান ও তাঁর স্ত্রী চেরি শিবোর্ন, ব্রিটিশ টেলিভিশন উপস্থাপক ডেভিড বাডিয়েল, কৌতুক অভিনেতা ফ্রাঙ্ক স্কিনার। খেলার মাঝেই বেকহাম ও এড শিরান মেতে ওঠেন আড্ডায়, খুনসুটিতে। গ্যালারিতে দর্শক আর ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে তাঁদের।

ডেভিড বেকহামের সঙ্গে দেখা গেল ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী এলি গোল্ডিংকেও (লাল পোশাক)
ডেভিড বেকহামের সঙ্গে দেখা গেল ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী এলি গোল্ডিংকেও (লাল পোশাক)

প্রিন্স উইলিয়াম এমনিতেই ফুটবল পাগল। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তিনি। খেলা থাকলেই ছুটে আসেন মাঠে। বাবার মতো ছেলে জর্জও প্রচণ্ড ফুটবল পাগল। বাবার মতোই অ্যাস্টন ভিলার সমর্থক জর্জ। সাত বছর বয়সী জর্জ স্কুল থেকে ফিরে বাবার সঙ্গে গিয়েছিল মাঠে। তবে কোনো জার্সি পরে নয়, বাবার মতো স্যুট পরে গিয়েছিল। জর্জের মা কেট পরেছিলেন লাল রঙের ব্লেজার।

বাবা উইলিয়াম ও মা কেটের সঙ্গে জর্জ।
বাবা উইলিয়াম ও মা কেটের সঙ্গে জর্জ। 

এবারের ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে এর আগেও স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম ও জর্জ। গ্রুপ পর্বে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে সেদিন একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রিন্স উইলিয়াম। ওই দিন রহিম স্টার্লিংকে যে গোলের জন্য বলটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলা অধিনায়ক জ্যাক গ্রিলিশ!

ইংল্যান্ডের জয় প্রাণভরে উপভোগ করলেন ইংল্যান্ডের অন্য জগতের তারকারা।
ইংল্যান্ডের জয় প্রাণভরে উপভোগ করলেন ইংল্যান্ডের অন্য জগতের তারকারা।

কালও একইভাবে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বাবা ও ছেলে। যখনই বল পায়ে জার্মানির বক্সে ঢুকেছেন রহিম স্টার্লিং উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন প্রিন্স উইলিয়ামস ও জর্জ। আর জার্মানদের স্তব্ধ করে দিয়ে ৭৫ মিনিটে যখন রহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড, বাবা ও ছেলের উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়। দুজনই হাত তালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছিলেন। প্রিন্স উইলিয়াম দুই হাত মুঠো করে এমনভাবে উদ্‌যাপন করলেন, যেন বলছিলেন, ‘হ্যাঁ আমরা এবার পেরেছি।’

রয়্যাল বক্সে স্ত্রী কেটের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
রয়্যাল বক্সে স্ত্রী কেটের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিন্স উইলিয়াম।

সত্যিই তো, সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর ওয়েম্বলিতে বড় কোনো টুর্নামেন্টে জার্মানিকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার সেই স্বপ্ন সত্যি করেছে ইংলিশরা। আগামী ৩ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড রোমে মুখোমুখি হবে ইউক্রেনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *