নূর-রাশেদের দ্বন্দ্বের অবসান
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্তৃত্ব নিয়ে ডাকসুর সদ্য সাবেক সভাপতি নুরুল হক নুরের সঙ্গে সংগঠনের আহ্বায়ক রাশেদ খানের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে।
গত রাতে রাশেদকে বহিষ্কার করে একটি বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে পোস্ট করেন নুর। এতে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের ‘সমন্বয়ক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
নুরের এমন সিদ্ধান্তে রাশেদ চটেন। নুরকে দেন পাল্টা চিঠি। এতে কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা নিয়ে কারণ দর্শাতেও বলা হয়।
এই পাল্টাপাল্টি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে হঠাৎ ইউটার্ন নেন রাশেদ। তিনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। এর অবসান হয়েছে।
রাশেদ লেখেন, ‘দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বয়সে তরুণ, যে কারণে মাঝে মাঝে বক্তব্য, কথা, কাজের মধ্যে ভুল করে বসি। নুর ও আমার মধ্যে যে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হয়েছে।‘
ভবিষ্যতে চলার পথে আরও বেশি সতর্ক থাকবেন জানিয়ে রাশেদ লেখেন, ‘নুর ও আমার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিন থেকে সুসম্পর্ক ছিল। ভবিষ্যতেও সম্পর্ক ধরে রেখে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
দেশের মানুষকে তারা অভিভাবক মনে করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুল হলে অবশ্যই সমালোচনা করবেন, পরামর্শ দেবেন, যাতে শুধরিয়ে নিয়ে নিজেদের পরিপক্ব হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
সবার কাছে আবারও ক্ষমা প্রার্থনা করে তার বক্তব্য শেষ করেন রাশেদ খান।
এ বিষয়ে রাশেদ খাঁন যুগান্তরকে বলেন, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মতানৈক্য ও সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের। আগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে এরপর কাউন্সিল হবে। ততদিন পর্যন্ত আমি আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করব।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেন, প্রত্যেক সংগঠনে কিছু মতানৈক্য থাকে। আমাদের মধ্যেও হয়েছিল। আমরা আলোচনা করে বিষয়টার সমাধান করে নিয়েছি।
অব্যাহতি ও সম্মেলনের বিষয়ে নুর বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন, ডিসিপ্লিনারি বোর্ড সবই বলবৎ থাকবে শুধুমাত্র রাশেদ খাঁনের সাময়িক অব্যাহতি তুলে নেওয়া হয়েছে।