বাসের কি করোনা হবে!
প্রতীকী ছবিসংক্রমণের হার তেমন একটা কমেনি। মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে প্রতিদিন। তারপরও ১১ই আগস্ট থেকে প্রায় সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে দেশে। খুলছে স্কুল কলেজ ছাড়া সব প্রতিষ্ঠানই। তবে ‘লকডাউন’ এভাবে প্রত্যাহারের পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি রয়েছে। কারণ জীবনের প্রশ্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ জীবিকার প্রশ্নও। তাছাড়া, লকডাউন দিলেও তা খুব একটা কার্যকর হয় না। কিন্তু সরকারি নতুন নির্দেশনার একটি বিষয় ব্যাপক কৌতূহল তৈরি করেছে।নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সড়কপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু রাখা যাবে।
আগে করোনার বিশেষ পরিস্থিতিতে গণপরিবহন চালু রাখার সময় অর্ধেক সিট খালি রাখা হয়েছিল। এবার ঠিক উল্টো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন এ সিদ্ধান্ত তার কারণ বোঝা খুব কঠিন। অনেকেই চেষ্টা করছেন। বুঝতে পারছেন না! সাধারণ যুক্তি হচ্ছে, যতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায় সংক্রমণের শঙ্কা ততটা কমে। এক্ষেত্রে বাসে ভিড় বা গাদাগাদি কম হলে ঝুঁকি কম। সম্ভবত এ কারণেই আগে অর্ধেক সিট খালির কথা বলা হয়েছিল। যদিও সেটা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। কিন্তু এবার গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় হবে বেশি। বাসে বহু মানুষকেই দাঁড়িয়ে যেতে দেখা যাবে। লড়াই করবেন বাসে উঠতে এবং সিট পেতে। এতে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাহলে কী কারণে চলবে অর্ধেক বাস? অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরস করে বলছেন, সম্ভবত গণপরিবহনের যেন করোনা না হয় তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহও বুঝতে পারছেন না কেন এই সিদ্ধান্ত। তিনি ঢাকার একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন, প্রথমত শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক বাস চললে চাপ বাড়বে। এর কী যুক্তি থাকতে পারে, সেটি তাঁরাও বুঝতে পারছেন না। শতভাগ বাস চললে আগের মতোই ভাড়ায় চলতে পারবেন। কিন্তু অর্ধেক গাড়ি চালানো হবে কিভাবে? এমনিতেই শ্রমিকরা কর্মহীন অবস্থায় আছেন। এখন অর্ধেক বাস চললে শ্রমিকেরাও অসুবিধায় পড়বেন। এ জন্য এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা দরকার।