ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

৮৪৮ ইউপিতে আ.লীগে ৮৯৭ ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী

দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় সব কটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মূলত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর ভূমিকায় আছেন।

সারা দেশে ৬৩ জেলায় আওয়ামী লীগের প্রচুর বিদ্রোহী প্রার্থী পাওয়া গেছে। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়ে ৮৪৮টি ইউপিতে ৮৯৭ জন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন সাংসদের স্বজনও আছেন। আবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকা নেতারাও অনেকে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

* বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন সাংসদের স্বজনও আছেন। * আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। * প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১১৯টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

যশোরের ঝিকরগাছায় ১১টি ইউপিতে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে আটটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে যশোর-২ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ নাসির উদ্দীনের ভাই ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম গিয়াস উদ্দীনও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেনমাগুরা ইউপি থেকে। এ ছাড়া চৌগাছায় ১১ ইউপিতে ১৯ বিদ্রোহী আছেন।

জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘আমি মাগুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়েছি। যে কারণে প্রার্থী হয়েছি। ভাই সাংসদ হলেও আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদপদবি নেই। এ জন্য আমার হারানোর কিছু নেই। আমি নির্বাচন করেই যাব।’

মাগুরা ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘গিয়াস উদ্দীন গতবারও বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু আমি পাস করেছি। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিষয়ে দল ও সাংসদ নিজে ব্যবস্থা নেবেন।’

শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ প্রার্থীসহ ৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ছয় ইউপিতে সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমানের বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি কামারিয়া ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন বলেন, তাঁর পক্ষে জনমত আছে। সে জন্য তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এখানে দু-একজন মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তি প্রার্থী হতেই পারেন। এতে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।

রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ীর ১৬টি ইউপিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে তানোরের ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৪ জন ও গোদাগাড়ীর ৯টি ইউনিয়নে ৩৮ জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুই উপজেলায় ২৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন।

তানোরের কলমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর চাচাতো ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী।

খাদেকুন্নবী বাবু চৌধুরী বলেন, এলাকার ভোটার আর নেতা-কর্মীদের চাপে পড়েই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এলাকাবাসী মনে করেন, তিনি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা। ফলে তিনি এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবেন।

পাবনার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউপিতে ৩৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। বিদ্রোহীদের মধ্যে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে পাবনা-২ (বেড়া-সুজানগর) আসনের সাংসদ আহম্মেদ ফিরোজ কবিরের ছোট ভাইও আছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম শামসুল আলম সাতবাড়িয়ায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাবনা-২ (বেড়া-সুজানগর) আসনের সাংসদ আহম্মেদ ফিরোজ কবিরের ছোট আহমেদ ফেরদৌস কবির ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আবুল হোসেন।

জানতে চাইলে সাংসদ আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘ভাই হলেও তাঁর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক কোনো সম্পর্ক নেই।’

অনেক নেতাও ‘বিদ্রোহী’র কাতারে

লালমনিরহাটের আদিতমারীর আটটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ছয়টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সারপুকুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নীল কমল রায়। একই ইউপিতে আরেক বিদ্রোহী হচ্ছেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি বাদশা আলমগীর।

কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারায় ১৭টি ইউপিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দুই উপজেলায় ১৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন। মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শারমিন আক্তার। তাঁর বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ারুরজ্জামান বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। তৃণমূল কর্মীদের চাপে পড়েই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ভেড়ামারায় জুনিয়াদহ ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান, ধরমপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল হক ও চাঁদগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মজিবুল হকও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যাঁদের মনোনীত করেছে, তাঁরাই দলের প্রার্থী। তবে ৯টি ইউনিয়নে দলের কয়েকজন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের ১১ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৪৬ জন। এর মধ্যে আটটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ জন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন জয়মন্টপ ইউনিয়নে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দিন ফকির ও মো. অলি আহমেদ মোল্লাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সিঙ্গাইরের জয়মন্টপ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন দুই মেয়াদ ধরে চেয়ারম্যান আছেন। এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। স্থানীয় সাংসদ কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বাড়ি এ ইউনিয়নে। এলাকায় চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সাংসদের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। এ কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জানিয়েছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বলেন, ভোটের মাঠে তিনি এগিয়ে আছেন। ভোটারদের অনুরোধেই তিনি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য তাঁকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

কোথাও বিদ্রোহীশূন্য, কোথাও ছড়াছড়ি

চারটি জেলায় আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। রাজবাড়ীতে দুটি, হবিগঞ্জে পাঁচটি, খাগড়াছড়িতে ১০টি ও রাঙামাটিতে ১১টি ইউপির একটিতেও আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে হ‌বিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী প্রথম আলো‌কে ব‌লেন, দল ও স্থানীয় নেতৃ‌ত্বের প্রতি আস্থা রে‌খে আজ‌মিরীগঞ্জ উপ‌জেলার ৫‌টি ইউনিয়নে কেউ বি‌দ্রোহী প্রার্থী হন‌নি। এ ছাড়া দল বি‌দ্রোহী‌দের সংগঠন থে‌কে ব‌হিষ্কারসহ নানা শা‌স্তিমূলক ব‌্যবস্থা রে‌খে‌ছে। এ বি‌ধির প্রতি সম্মান দে‌খি‌য়ে কেউ দ‌লের বি‌দ্রোহী প্রার্থী হন‌নি।

আবার উল্টো চিত্র আছে বেশ কয়েকটি স্থানে। নওগাঁয় ২০টি ইউপির বিপরীতে সবচেয়ে বেশি—৪২ জন বিদ্রোহী প্রার্থী পাওয়া গেছে। এত বেশি ‘বিদ্রোহী’ কেন, জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন প্রদানে অনেক ইউনিয়নে হয়তো তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। এ কারণে মনোনয়নপত্র দাখিল করা বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা আমাদের দলে একটু বেশি। তবে দলের মনোনয়ন বোর্ড যাঁদের মনোনীত করেছে, দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে তাঁদেরই মেনে নিতে হবে।’

জেলায় বেশিসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার নজির আরও আছে। সিরাজগঞ্জের ১৭ ইউপিতে ৩৫ জন, পাবনার ১০ ইউপিতে ৩৩, নেত্রকোনার ২৬ ইউপিতে ৩৬, নরসিংদীর ১২ ইউপিতে ৩২ এবং সুনামগঞ্জের ১৯টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের ৩৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আমরা দল এবং ওই এলাকার সম্মানিত সাংসদের পক্ষ থেকে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছি। এরপরও যদি কেউ সেটা না করেন, তাহলে দলীয়ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

[প্রতিবেদন তৈরিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক, অফিসপ্রতিনিধিরা সহায়তা করেছেন]

ক্রমিকএলাকার নামইউপি নির্বাচন কতটিতেবিদ্রোহী কতজন
বরিশাল১২
সুনামগঞ্জ১৯৩৩
জয়পুরহাট
যশোর২২৩৩
গাইবান্ধা১৩১২
চট্টগ্রাম৩৯২৪
লালমনিরহাট
দিনাজপুর
খুলনা২৫৩০
১০কুষ্টিয়া১৭১৩
১১নীলফামারী১১১৯
১২মাদারীপুর১৩
১৩শেরপুর১৪
১৪রাজশাহী১৬২৪
১৫সিরাজগঞ্জ১৭৩৫
১৬মানিকগঞ্জ১১১৩
১৭সিলেট১৫১৫
১৮পাবনা১০৩৩
১৯পঞ্চগড়
২০বগুড়া২০১১
২১ঠাকুরগাঁও১১১১
২২কুড়িগ্রাম
২৩রংপুর১৮
২৪চাঁপাইনবাবগঞ্জ
২৫চাঁদপুর১০১৪
২৬নওগাঁ২০৪২
২৭নাটোর১২২১
২৮মেহেরপুর২৭
২৯চুয়াডাঙ্গা
৩০ঝিনাইদহ১২১৬
৩১মাগুরা১৩১৫
৩২বাগেরহাট
৩৩নড়াইল১৩১৫
৩৪সাতক্ষীরা১৩১৪
৩৫বরগুনা
৩৬পটুয়াখালী১৯১৪
৩৭ভোলা
৩৮পিরোজপুর১০
৩৯জামালপুর১৫১৫
৪০ময়মনসিংহ৩০৩১
৪১নেত্রকোনা২৬৩৬
৪২ঢাকার ধামরাই১৫১৮
৪৩টাঙ্গাইল১৯১০
৪৪কিশোরগঞ্জ২৯২৫
৪৫মুন্সিগঞ্জ১৪১২
৪৬গাজীপুর১১১১
৪৭নরসিংদী১২৩২
৪৮নারায়ণগঞ্জ১৬২৪
৪৯রাজবাড়ী
৫০ফরিদপুর১৭২৫
৫১গোপালগঞ্জ১৪২৯ (৭টিতে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি)
৫২শরীয়তপুর১০১০
৫৩মৌলভীবাজার
৫৪হবিগঞ্জ
৫৫ব্রাহ্মণবাড়িয়া১৩
৫৬কুমিল্লা২২১৬
৫৭ফেনী
৫৮নোয়াখালী১৫১৭
৫৯কক্সবাজার২১
৬০লক্ষ্মীপুর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *