‘অপমানের’ অভিযোগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রুশ সরকার
‘অপমানের’ অভিযোগ এনে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রুশ সরকার। রাশিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতকে ক্রেমলিনে তলব করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাশিয়ার উপযুক্তরাজ্যের “আক্রমণাত্মক বক্তব্য” এর কারণ।–ডিএনএ, স্ট্যান্ডার্ড ইউকে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ডেবোরা ব্রনার্টের কাছে রাশিয়া তার নেতা এবং কর্তৃপক্ষের সরকারী প্রতিনিধিদের পাশাপাশি রাশিয়ান জনগণের বিষয়ে ব্রিটিশ নেতৃত্বের একটি বিবৃতি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় ব্রনার্টকে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়, যাতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ভদ্র সমাজে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার রেওয়াজ আছে।
রাশিয়া তাকে বলেছে যে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য, বিশেষ করে কথিত রাশিয়ান ‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি’ সম্বলিত ব্রিটিশ বিবৃতি নিয়ে আপত্তি রয়েছে। বিবৃতিটি কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্যের কথা উল্লেখ করছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। তবে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে ব্রিটিশ সরকার ইউক্রেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ট সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এর আগে বলেছিলেন যে, পশ্চিমাদের পুতিনকে দেখাতে হবে যে, সংঘাতের সময়কালের জন্য ইউক্রেনীয়দের সমর্থন করার জন্য তাদের “স্থির ক্ষমতা” রয়েছে। যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বরিস জনসন বলেছেন যে, দখলকৃত অঞ্চল ফিরিয়ে নিতে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশকে সমর্থন করতে হবে।
জনসন আরও বলেন, আমি মনে করি, যদি ইউক্রেনকে চুরমার করা হয় বা দেশটিতে অশান্তি করতে বাধ্য করা হয়, সারা বিশ্বে স্বাধীনতার পরিণতি হবে ভয়াবহ। জনসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘তার বর্বর কর্মের পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করতে’ও বলেছেন।