হাসিনার অতীতের কিছু কথা
উনিশ’শ একাত্তর সালে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কিছু আওয়ামী লীগার বাদে কেউই পরিবার-পরিজন বা নিজের লাভ-ক্ষতির কথা চিন্তা করেন নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাই তাঁদের অনেকের আত্মীয়-স্বজনকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রেপ্তার করেন।
বিজয়ের পর একাত্তরের ডিসেম্বরে যারা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্তি পান তাঁদের মধ্যে ছিলেন বেগম আইন উদ্দিন, বেগম হাবিবুল্লা বাহার, বেগম গাফফার হালদার, বেগম জেবুন্নেসা জাহাঙ্গীরসহ আরো বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। এদের সাথে মুক্ত হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই সন্তানও।
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় জিয়াউর রহমান তখন সিলেটে। তিনি জেড ফোর্সে তাঁর একজন সহযোদ্ধাকে পাঠান বেগম জিয়াকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসতে।
বেগম খালেদা জিয়ার এই বন্দিদশা সম্পর্কে শেখ হাসিনা ভালো করেই জানে। তাও এইটা নিয়ে শেখ হাসিনা প্রায়ই নোংরা ভাষায় আক্রমণ করে নিজের জাতের পরিচয় দেন। কথায় আছে, ব্যবহারে বংশের পরিচয়, শেখ হাসিনার মানসিকতা কেমন এইটা বোঝার জন্য তাঁর এই কথাবার্তাগুলা শুনলেই হয়।
যারা বিএনপির রাজনীতি করেন তাঁদেরকে সত্যটা জানানোর জন্য এই কথাগুলা বলা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পয়সায় একাত্তরে খাওয়া-পড়া এমনকি পিজি হাসপাতালে সন্তান দেয়া শেখ হাসিনার পরিবারের অবস্থা দেখেন। তার ছেলে-মেয়েরা কেউ তার কাছে থাকে না, সব বিদেশের নাগরিক। শেখ হাসিনার পারিবারিক জীবন কেমন, তার স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহ নিয়ে ব্রিটেনের দৈনিক দি গার্ডিয়ান ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে প্রায় অর্ধেক পাতা জুড়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সেখান থেকে কিছু অংশ উল্লেখ করছি-
“Please don’t call the prime minister Sheikh Hasina Wajed,” they said. “She doesn’t like to use her husband’s name.”
“I told her she should not spend hours on decoration – maybe just one hour. I told her: ‘You should spend time reading. You cannot manage to do anything if you are watching Zee TV [an Indian satellite channel.]’ It is against our culture. She is old enough not to spend so much time on decoration. It is a poor country. She should be reading and working.”[১]
এই হচ্ছে বাংলাদেশের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অবস্থা। আওয়ামী লীগ যারা করে তাদেরকে বলবো আপনাদের নেত্রীকে একটু বলেন কাঁচের ঘরে বসে ঢিল না ছুড়তে। ওনার অতীত কিন্তু সুন্দর করে নথিভুক্ত করা আছে দেশে-বিদেশে।