পুলিশের অপরাধ গোপনের চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা

কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নীতিবহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বিষয়টি জানাতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। এ ধরনের ঘটনা গোপন করার চেষ্টা হলে সংশ্নিষ্ট ইউনিট প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশে পাঠানো এক চিঠিতে এমনই কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে অবৈধ আর্থিক লেনদেন বা ঘুষ-দুর্নীতি ঠেকাতে ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি মেনে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এ সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হননি।

সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন বা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডেও পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এসব ঘটনায় দু-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ কারণে সারাদেশের পুলিশ ইউনিটগুলোকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও এসেছে বিধিনিষেধ। প্রত্যেক পুলিশ সদস্য যেন যথাযথভাবে পোশাক পরেন এবং কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ব্যবহার বা অসদাচরণ না করেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্নিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অপরাধ চিহ্নিত ও দমন করাসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে নৈতিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়। প্রত্যেক সদস্যই আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। পুলিশ আইন, পিআরবি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সম্পর্কে সব সদস্যকে প্রতি মাসে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে রোলকলে, কল্যাণ সভায় বা অন্যান্য সভাতেও এসব আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো উদ্ৃব্দত করে নৈতিক স্খলনের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

সম্প্রতি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা ‘আয়’ করার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়েও একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার বা কোনো বাহিনী/বিভাগ/সংস্থা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো পোস্ট দিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট বা সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আঘাত বা সামাজিক বিতর্ক তৈরি করে এমন বিষয় পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না। নারী-শিশু নির্যাতন বা অন্য কোনো স্পর্শকাতর ঘটনা শেয়ার বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার (ইন্টারনেট ব্রাউজিং/চ্যাটিং/গান বা ওয়াজ শোনা) না করতেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এদিকে মাঠপর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সেবাপ্রত্যাশীকে হয়রানির প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যায়। সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে। বলা হয়েছে, আসামি গ্রেফতার, পরিবহন ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পুলিশ প্রবিধান অনুসরণ করতে হবে। পুলিশের মাধ্যমে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সব সময় ভালো ব্যবহার করতে হবে সেবাপ্রত্যাশীর সঙ্গে।

এছাড়া যেসব পুলিশ সদস্যের পরিবার তার কর্মস্থল থেকে দূরে থাকে, তাদের ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে ও নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পুলিশ লাইন্স, থানা ও ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা, বিশেষ করে ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারম, দাবা, টেবিল টেনিস, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলাধুলার আয়োজন করতেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর পল্টন থানার ওসির বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের কথা বলে দেড় বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে রাজধানীর আরেক থানার ওসির বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাহিনীর কোনো সদস্যের নৈতিক স্খলন ঘটলে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এ সম্পর্কে আর কিছু বলতে রাজি হননি।

সংশ্নিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন বা অপরাধমূলক কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডেও পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এসব ঘটনায় দু-একজন পুলিশ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ কারণে সারাদেশের পুলিশ ইউনিটগুলোকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও এসেছে বিধিনিষেধ। প্রত্যেক পুলিশ সদস্য যেন যথাযথভাবে পোশাক পরেন এবং কর্মক্ষেত্রে কোনো দুর্ব্যবহার বা অসদাচরণ না করেন সে ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্নিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, অপরাধ চিহ্নিত ও দমন করাসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে নৈতিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়। প্রত্যেক সদস্যই আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত। পুলিশ আইন, পিআরবি এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা সম্পর্কে সব সদস্যকে প্রতি মাসে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে রোলকলে, কল্যাণ সভায় বা অন্যান্য সভাতেও এসব আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো উদ্ৃব্দত করে নৈতিক স্খলনের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

সম্প্রতি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা ‘আয়’ করার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিয়েও একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার বা কোনো বাহিনী/বিভাগ/সংস্থা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে কোনো পোস্ট দিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট বা সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আঘাত বা সামাজিক বিতর্ক তৈরি করে এমন বিষয় পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না। নারী-শিশু নির্যাতন বা অন্য কোনো স্পর্শকাতর ঘটনা শেয়ার বা পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার (ইন্টারনেট ব্রাউজিং/চ্যাটিং/গান বা ওয়াজ শোনা) না করতেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

এদিকে মাঠপর্যায়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সেবাপ্রত্যাশীকে হয়রানির প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যায়। সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সদর দপ্তর থেকে। বলা হয়েছে, আসামি গ্রেফতার, পরিবহন ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফৌজদারি কার্যবিধি এবং পুলিশ প্রবিধান অনুসরণ করতে হবে। পুলিশের মাধ্যমে যেন সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সব সময় ভালো ব্যবহার করতে হবে সেবাপ্রত্যাশীর সঙ্গে।

এছাড়া যেসব পুলিশ সদস্যের পরিবার তার কর্মস্থল থেকে দূরে থাকে, তাদের ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে ও নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পুলিশ লাইন্স, থানা ও ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্যদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা, বিশেষ করে ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, ক্যারম, দাবা, টেবিল টেনিস, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলাধুলার আয়োজন করতেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর পল্টন থানার ওসির বিরুদ্ধে এক তরুণীকে বিয়ের কথা বলে দেড় বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর আগে রাজধানীর আরেক থানার ওসির বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সদর দপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাহিনীর কোনো সদস্যের নৈতিক স্খলন ঘটলে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *