ভালো কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রস্তাব পাইনি বলেই করিনি: পূর্ণিমা

পূর্ণিমা। তারকা অভিনেত্রী, মডেল ও উপস্থাপক। বাংলাভিশনে আজ রাতে প্রচার হবে তার অভিনীত একক নাটক ‘ভালোবাসাবাসি’। সাগর জাহান পরিচালিত এ নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

গল্প, চরিত্রে ভিন্নতা খুঁজে না পেলে অভিনয় করবেন না; বলেছিলেন। তাহলে কি এটা ধরে নেওয়া যায়, ‘ভালোবাসাবাসি’ নাটকটি একেবারে ভিন্ন ধরনের?

‘ভালোবাসাবাসি’ অন্যসব নাটক থেকে একেবারে ভিন্ন ধরনের- এটা বলব না। আমার আগের নাটক, টেলিছবিগুলো থেকে এর গল্প কিছুটা আলাদা মনে হয়েছে। তা ছাড়া সাগর জাহান তার নাটক, টেলিছবির গল্প যেভাবে দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলেন, সেটা ভীষণ ভালো লাগে। ‘ভালোবাসাবাসি’ নাটকে আমার চরিত্রের নাম মিসিসিপি, যাকে ঘর-সংসার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাবে। এ ধরনের স্ত্রীর চরিত্রে আগেও অভিনয় করেছি, কিন্তু গল্পের কারণে আমার মিসিসিপি চরিত্রটি এ নাটকে ভিন্নরূপে উঠে এসেছে।

‘ভালোবাসাবাসি’র গল্পে কী আছে, যার জন্য আগের নাটকগুলো থেকে এটা আলাদা মনে হয়েছে?

অনেকে বলেন, প্রেমের জন্য তারা জীবন দিতে পারেন। বাস্তবে তার নজির কমই দেখা যায়। কিন্তু ‘ভালোবাসাবাসি’র গল্পে আমার স্বামীকে দেখানো হয়েছে স্ত্রী অন্তপ্রাণ হিসেবে। যে স্ত্রীর ভালোবাসায় সবকিছু ফেলে তার পেছনে পড়ে থাকে। স্ত্রীকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য সবকিছু ফেলে বাসায় থাকা শুরু করে এবং তার সব কাজও নিজে করে। এতে স্বাধীনতা হারাতে বসায় স্বামীর ভালোবাসা বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়। এক পর্যায়ে তাই বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিই। তারপর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।

ছোটপর্দার মতো চলচ্চিত্রের কাজে অনেককে বাছ-বিচার কারতে দেখা যায় আজকাল। এত দেখে শুনে কাজ করার পরও কি মনে হয়েছে, ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ ছবি দুটি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক সেভাবেই নির্মিত হচ্ছে?

পর্দায় ছবি দেখার পর বুঝতে পারব- ভাবনার সঙ্গে বাস্তবের কতটা মিল আছে। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল যেভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন সেভাবেই ছবি দুটি নির্মাণ করছেন। তারপরও সবকিছু শেষ না হলে বলা কঠিন, কাজটি প্রত্যাশা মাফিক হয়েছে কিনা। যদিও শুরু থেকে কাজের মান নিয়ে কোনো সমঝোতা করতে চাইনি। এতদিন সে কাজটাই করতে চেয়েছি, যা দর্শক অনেক দিন মনে রাখবেন। সেদিক থেকে ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ ছবির গল্প ও চরিত্র পছন্দসই বলা যায়। সেখানে নিজেকে নতুনরূপে তুলে ধরার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছি। ‘জ্যাম’ অন্য সব ছবির মতো নাচে-গানে ভরপুর বা নায়ক-নায়িকাপ্রধান ছবি নয়। এতে আছে মনে দাগ কাটারে মতো অন্যরকম এক গল্প। ‘গাঙচিল ছবির কাহিনিও হৃদয় স্পর্শ করার মতো।

অনেক দিন উপস্থাপনায় নেই, কারণ কী?

এর মধ্যে ভালো কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনার প্রস্তাব পাইনি বলেই করিনি। যদিও এটা আমার নিয়মিত কাজ না, তারপরও উপস্থাপনার প্রতি এক ধরনের ভালোলাগা তৈরি হয়েছে। উপস্থাপনা করে ভালোবাসাও পেয়েছি অনেকের। তাই অভিনয় ও মডেলিংয়ের পাশাপাশি সুযোগ পেলে আবার দর্শকের সামনে উপস্থাপক হিসেবে দাঁড়াব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *