ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধির ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারতে “মানবাধিকার লঙ্ঘন বৃদ্ধি” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিবালয়ে ড. অস্টিন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। -আল জাজিরা, এনডিটিভি

ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা সরকার, পুলিশ এবং কারাগারের কর্মকর্তাদের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বৃদ্ধিসহ ভারতে সাম্প্রতিক কিছু উন্নয়নের বিষয়ে নজর রাখছি। জয়শঙ্কর এবং সিং ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে তখন নিরব ছিলেন। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর প্রশ্ন করেন, কেন বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিষয়ে ভারত সরকারের সমালোচনা করতে এতো অনিচ্ছুক? এমন জিজ্ঞাসা করার কয়েকদিন পরেই ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিটি এসেছে। ইলহাম ওমর কংগ্রেসনাল ব্রিফিংয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ভারতে মুসলিম হওয়াকে কতটা অপরাধী করবে মোদী প্রশাসন ?

ভারতে মুসলিমবিরোধী প্রচারণার সময়ে এই বিবৃতিটি এসেছে, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরিধানকারী মহিলাদের লক্ষ্য করে নানা নেতিবাচক আচরণ, গরুর মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও মুসলিম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নানা মানবাধিকার লঙ্ঘণ চলছে। মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ডানপন্থী হিন্দুগোষ্ঠী সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন শুরু করেছে এবং দাবি করছে যে, তারা ধর্মান্তররোধ করার চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকটি ভারতীয় রাজ্য ধর্মান্তরবিরোধী আইন পাশ করেছে বা বিবেচনা করছে, যা সাংবিধানিকভাবে বিশ্বাসের স্বাধীনতার সুরক্ষিত অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে।

মধ্য প্রদেশ সরকার রাম নবমীর মিছিলে খারগোনে মুসলমানদের বাড়িঘর ও দোকান ভেঙে দিয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট তার ২০২০ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস প্রকাশ করেছিল, যেখানে ভারতে মানবাধিকারের উদ্বেগকে চিহ্নিত করেছিল স্টেট ডিপার্টমেন্ট। প্রতিবেদনে বেআইনিভাবে ও নির্বিচারে হত্যা, সরকারী কর্তৃপক্ষের নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং আটক, বেসরকারী সংস্থাগুলির উপর অত্যধিক বিধি-নিষেধ, নারী ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের উপর বিধিনিষেধ বাড়ায় ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনে উদ্বেগের কিছু বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।