বলে প্রথম থুতু দেওয়ার ভুলটা সিবলির

খেলার মাঠে ভুল করে রেকর্ড হয়। ভুল করে ইতিহাস হয়। ডমিনিক সিবলির ভুলটা সম্ভবত স্মৃতি। ছোট খাটো ইতিহাসও বটে! করোনা প্রাদুর্ভাবে নিয়ম-নীতি মেনে শুরু হয়েছে ক্রিকেটে। সেই নিয়মের অন্যতম বলে থুতু দেওয়া যাবে না। কিন্তু এটা মানা সব সময় সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

কারণ বলে থুতু দিয়ে তা উজ্জ্বল করা ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিনের অভ্যাস। সেই অভ্যাসটা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা সাউদাম্পটন টেস্টে ভালো মতোই সামলেছিলেন। কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের চতুর্থ দিনে ভুলটা করে বসলেন সিবলি।

এরপরই ছুটে গেলেন আম্পায়ারের কাছে। সরল স্বীকারোক্তি, ‘বলে থুতু লাগিয়ে ফেলেছি।’ মাঠে ক্রিকেটাররা ভুল করে ফেলতেই পারেন। আম্পায়ার তাই পকেট থেকে বের করলেন স্যানিটাইজার। সেটা বলে লাগিয়ে করলেন জীবানুমু্ক্ত। এরপর ফেরত দিলেন ইংল্যান্ড দলকে।

এর আগে বলে কৃত্রিম কিছু লাগানোর নিয়ম ছিল না। ক্রিকেটাররা বলে ঘাম-থুতুর বাইরে কিছু লাগালে সেটাকে বল টেম্পারিং বলে গণ্য করা হতো। থুতু লাগানোর ভুলের কারণে তাই দেখা গেলও আরও একটি ঘটনা। বল  স্যানিটাইজ করা। এটাকে অবশ্য অনেকে আইনসিদ্ধ বল টেম্পারিং বলছেন। কারণ বলে স্যানিটাইজার লাগানোয় তা ভিজে নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্যানিটাইজার যেহেতু অ্যালকোহল থাকে তাই বল ফুলেও যেতে পারে।

করোনা মহামারির মধ্যে শুরু হওয়া ক্রিকেটে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। যেমন উইকেট পাওয়ার পরে একত্রিত হয়ে উদযাপন করা যাবে না। মাঠে হাত মেলানো যাবে না। ঘাম মুছার পরে টাওয়েল আম্পায়ারকে দেওয়া যাবে না। এছাড়া ড্রেসিংরুম ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

তবে এর মধ্যে বলে থুতু লাগানোটা ক্রিকেটের নিয়মে আসা বড় পরিবর্তন। দু’বার যে ভুল করলে জরিমানা হবে পাঁচ রান। সেজন্য ডমিনিক সিবলি একবার থুতু লাগাতেই যত কথা হচ্ছে তত কথা প্রথম টেস্ট জয়ের পর জেসন হোল্ডার সতীর্থ ব্লাকউডকে জড়িয়ে ধরার পরে হয়নি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *