বিকাশ, রকেট, নগদের ওপর বাড়তি কর প্রত্যাহার চায় আইসিএবি
বিকাশ, রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফএস) থেকে সেবা নেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিম্নবিত্তরা। অথচ এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর করহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলমান কোভিডের সময়ে গ্রাহককে আরও বেশি এমএফএস সেবার প্রতি আকৃষ্ট করতে এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করা উচিত।
সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের আয়োজনে (আইসিএবি) আজ শনিবার অনুষ্ঠিত ‘ভ্যাট, আয়কর, শুল্ক কর এবং জাতীয় বাজেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
আইসিএবির সভাপতি মাহমুদুল হাসান খসরু এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। আইসিএবির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাউন্সিল সদস্য মো. শাহাদাৎ হোসেন এবং স্নেহাশীষ বড়ুয়া। আর সমাপনী বক্তব্য দেন আইসিএবির সদস্য সিদ্ধার্থ বড়ুয়া।
আইসিএবি বলেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমএফএস কোম্পানিগুলোর করহার প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর তালিকা–বহির্ভূতের ক্ষেত্রে তা ৪০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশে কোনো এমএফএস প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না হওয়ায় সব এমএফএসকেই ৪০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনে এ হার নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সামষ্টিক অর্থনীতি নিয়ে আইসিএবি বলেছে, ঘাটতি বাজেট হয়েছে, তবে তা নেতিবাচক নয়। অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ধার করে হলেও সরকারি ব্যয় বাড়াতে হবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে ও জনগণের কাছে অর্থের প্রবাহ বাড়বে।
আরও বলেছে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় কর, অর্থাৎ কর-জিডিপি হার প্রস্তাবিত বাজেটে আরও কমে গেল। আইসিএবি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যৌথ উদ্যোগে তথ্য যাচাইকরণ পদ্ধতি (ডিবিএস) চালু করায় সব করদাতা কোম্পানি সময়মতো আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধে বাধ্য হবে। বিষয়টি রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
আইসিএবি বলেছে, সাধারণ ছুটি, লকডাউন, উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিভিন্ন সময় বন্ধ থাকায় কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। সে বিবেচনায় সামাজিক সুরক্ষা খাতে আরও বরাদ্দ দরকার। আর নতুন প্রস্তাবে সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর কর্তনের হার ৫ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে। এতে আগের বছরের তুলনায় কর চাপ বাড়বে। এরও যৌক্তিকীকরণ দরকার।