নিষিদ্ধ র্যাব ও ২০২৩ নির্বাচন – অবশেষে কী আন্তর্জাতিক মহল আওয়ামী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে?
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী শাসন-ব্যবস্থা ও বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিনি সরকারের কঠোর ভূমিকা সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে র্যাব-কে নিয়ে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপ আওয়ামী সরকারের জন্যে একটি বিশাল ধাক্কা এবং আওয়ামী সরকারের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে কুঠারাঘাতের শামিল। এই ব্যাপারে সন্দেহ নেই যে দু-দুটো বিতর্কিত এবং প্রশ্নসাপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন এবং সে-নির্বাচনগুলোতে নিরঙ্কুশ বিজয় আওয়মী সরকারের রাজনৈতিক ও আইনী মূল্যবোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছে। এটি অনস্বীকার্য যে মার্কিন সরকার এবং মার্কিন সরকারের মিত্রদের র্যাব-এর ব্যাপারে অবস্থান আওয়ামী সরকারের নির্বাচন আয়োজন ও বিজয়ের যে কৌশল তা পরবর্তী নির্বাচনে কায়েম করার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এমাতাবস্থায়, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফেরত আসবার একটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ এবং মার্কিন-ভারত সম্পর্ক অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে বলে ধরে নেয়া যায়।
আমরা আমাদের সুপ্রিয় পাঠকদের আহবান করবো আমাদের জানাতে র্যাব-এর বিষয়ে মার্কিনি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তারা কী ভাবছেন এবং বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা আন্তর্জাতিক মহলের ওপরে কতটুকু নির্ভরশীল বলে তারা মনে করেন।
বরাবরের মতোই, আমাদের ই-মেইলে (thedailynobojug@gmail.com সহ অন্যান্য ই-মেইলে) আপনার মন্তব্য পাঠানোর অনুরোরধ থাকলো। মন্তব্যের সাথে আপনার নাম, ঠিকানা, বয়েস এবং সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিতে ভুলবেননা। মন্তব্য পাঠানোর শেষ তারিখ ১৭ই জুলাই*, ২০২২। আমাদের পক্ষে সমস্ত মন্তব্য ছাঁপানো সম্ভব হবে না এবং একারণে যাদের মন্তব্য আমরা ছাঁপাতে পারবোনা, তাদের হতাশ না হবার অনুরোধ করছি। মন্তব্যের শব্দ সংখ্যা সর্বোচ্চ ২৫০।
সম্পাদকীয় বিভাগ, দৈনিক নব্যযুগ
* বিশেষ বিবেচনায়, ঈদ-উল-আযহার প্রেক্ষিতে, সময়সীমা ২২শে জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে ১২ই জুলাই থেকে।